আল্লাহর সাহায্য লাভে যে কুরআনি দোয়া পড়বেন মুমিন
মানুষের জীবন পরিচালনার গাইড মহাগ্রন্থ আল কুরআন। শুধু জীবন পরিচালনাই নয় বরং মানুষের সুখ-দুঃখ, রোগ-ব্যাধি ও আনন্দ-ব্যাথায় শান্ত্বনা ও প্রতিকার লাভের গ্রন্থও আল-কুরআন। এ মহাগ্রন্থে আল্লাহ তাআলা মানুষকে দিয়েছেন সব সমস্যার সমাধান ও শিক্ষা।
মানুষ
যেন
শুধু
আল্লাহর
কাছেই
সাহায্য
প্রার্থনা
করে,
এ
জন্য
যুগে
যুগে
নবি-রাসুলগণ
বিভিন্ন
বিষয়ে
আল্লাহর
কাছে
নানান
সমস্যায়
সাহায্য
প্রার্থনা
করেছিলেন।
নবি-রাসুলদের
সেসব
প্রার্থনা
উম্মতের
মুহাম্মাদির
জন্য
আল্লাহ
তাআলা
কুরআন
মাজিদে
তুলে
ধরেছেন।
যাতে
মানুষ
অন্য
কারো
কাছে
সাহায্য
না
চেয়ে
শুধু
মহান
মনিব
আল্লাহ
তাআলার
কাছেই
যাবতীয়
বিষয়ে
সাহায্য
প্রার্থনা
করেন।
যেমনিভাবে
সাহাবায়ে
কেরামরাও
মহান
রবের
কাছে
তাদের
অনিচ্ছ্বাকৃত
কোনো
কাজের
জন্য
সীমা
লঙ্ঘন
থেকে
বেঁচে
থাকতে
দোয়া
করতেন।
যার
বর্ণনা
এসেছে
কুরআনে
বিভিন্ন
আয়াতে।
যে
কোনো
সীমালঙ্ঘন
থেকে
বেঁচে
থাকতে
কুরআনের
শেখানো
দোয়া
করাই
মুমিন
মুসলমানের
জন্য
একান্ত
আবশ্যক।
আর
তাহলো-
رَبَّنَا اغْفِرْلَنَا ذُنُوْبَنَا وَ إِسْرَافَنَا
فِيْ أَمْرِنَا وَ ثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَ انْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ
الْكَافِرِيْنَ
উচ্চারণ
: রাব্বানাগফিরলানা
জুনুবানা
ওয়া
ইসরাফানা
ফি
আমরিনা
ওয়া
ছাব্বিত
আক্বদামানা
ওয়াংছুরনা
আলাল
ক্বাওমিল
কাফিরিন।
অর্থ
: ‘হে
আমাদের
প্রতিপালক!
আমাদের
পাপ
এবং
আমাদের
কাজের
সীমা
লঙ্ঘন
তুমি
ক্ষমা
কর,
আমাদের
পদচারণা
সুদৃঢ়
রাখ
এবং
অবিশ্বাসী
সম্প্রদায়ের
বিরুদ্ধে
(যে
কোনো
চক্রান্তের
বিপরীতে)
আমাদের
সাহায্য
কর।’(সুরা
আল-ইমরান
: আয়াত
১৪৭)
ওহুদ
যুদ্ধের
সময়
অবিশ্বাসী
কাফেররা
এ
কথা
রটিয়ে
দেয়
যে,
মুহাম্মাদ
(সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়া
সাল্লাম)
কে
হত্যা
করা
হয়েছে।
এ
কথা
শুনে
সাহাবাদের
অনেকে
যুদ্ধ
বন্ধ
করে
দেয়।
তখন
আয়াত
নাজিল
হয়-
‘আর
বহু
নবি
ছিলেন,
যাঁদের
সঙ্গী-সাথীরা
তাঁদের
অনুবর্তী
হয়ে
জেহাদ
করেছে।
আল্লাহর
পথে-তাদের
কিছু
কষ্ট
হয়েছে
বটে,
কিন্তু
আল্লাহর
রাহে
তারা
হেরেও
যায়নি,
ক্লান্তও
হয়নি
এবং
দমেও
যায়নি।
আর
যারা
সবর
করে,
আল্লাহ
তাদেরকে
ভালবাসেন।’
(সুরা
আল-ইমরান
: আয়াত
১৪৬)
আয়াত
নাজিল
হলে,
সাময়িক
যুদ্ধ
বন্ধের
পর
সাহাবায়ে
কেরামদের
যারা
না
বুঝে
যুদ্ধ
বন্ধ
করে
দিয়েছিল,
তারা
পুনরায়
নিজেদেরকে
জেহাদে
নিয়োজিত
করেন।
অতঃপর
পরবর্তী
আয়াতে
আল্লাহ
তাআলা
ক্ষমা
প্রার্থনার
এ
আয়াত
নাজিল
করেন।
যাতে
রয়েছে
ইসলামের
ওপর
অটল-অবিচল
থাকার
ও
চূড়ান্ত
সাহায্য
ও
বিজয়
লাভের
প্রার্থনা।
মহান
আল্লাহ
তাআলা
মুসলিম
উম্মাহকে
দান
করেছিলেন
ইসলামের
বিজয়
ও
পরাজিত
ও
লাঞ্ছিত
করেন
অবিশ্বাসীদের।
সুতরাং
দুনিয়ার
যাবতীয়
ফেতনা-ফাসাদ
থেকে
মুক্তি
পেতে
মহান
আল্লাহর
শেখানো
ভাষায়
তারই
কাছে
অবনত
শিরে
প্রার্থনা
করাই
মুমিন
মুসলমানের
একান্ত
কর্তব্য।
এ
দোয়ার
মাধ্যমেই
মানুষ
অনিচ্ছ্বাকৃত
যে
কোনো
ভুল
ও
পেরেশানিতে
আল্লাহ
তাআলার
সাহায্য
লাভ
করবেন
মুমিন।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কুরআনের ভাষায় নিজেদের দুনিয়া ও পরকালের কল্যাণে দোয়া করার তাওফিক দান করুন। মহান আল্লাহর সুস্পষ্ট সাহায্য লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
No comments