প্রশ্ন : মহিলারা পরচুলা ব্যবহার করতে পারবে কি না?

উত্তর: বর্তমানে দেশ-বিদেশে বিভিন্নভাবে পরচুলা অর্থাৎ কৃত্রিম চুলের ব্যবহার ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে আধুনিক বিজ্ঞান বিষয়ে যথেষ্ট উৎকর্ষতা সাধন করেছে নতুন নতুন পদ্ধতিতে চুলের সংযোজন পদ্ধতি সমূহকে আমরা দুভাগে বিভক্ত করতে পারি
. মানুষের চুলের পরচুলা
. কৃত্রিম চুলের পরচুলা
হাদীসের আলোকে কথা সুস্পষ্ট প্রামাণিত হয় যে, মানুষের চুলের তৈরী পরচুলা জায়েয নেই, হারাম এক্ষেত্রে মেশিনের সাহয্যে স্থায়ী ভাবে সংযোজন করে নেয়া (যা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হবার নয়) আর অস্থায়ী ভাবে ব্যবহার সমান
মহিলারা সাধারণত নিজেদেরকে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য চুলের সঙ্গে অন্য কারো চুল মিশিয়ে চুলকে দীর্ঘ, ঘন ফুলিয়ে দেখানোর চেষ্টা করে এটা তো স্পষ্ট ধোঁকা শঠতা তাই হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এটাকে অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ হিসেবে ঘোষণা করেছেন তাই জাতীয় কাজ থেকে মহিলাদের বিরত থাকা বাঞ্চনীয়
হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে- হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম এরশাদ করেন- এমন মহিলার উপর আল্লাহ তাআলার অভিসম্পাত পতিত হোক যে (নিজের চুলকে লম্বা বা ফুলিয়ে দেখানের উদ্দেশ্যে) নিজের চুলের সঙ্গে অন্য কারো চুল মিশায় এবং সে মহিলার উপরও অভিসম্পাত যে অন্য কোনো মহিলাকে বলে যে, অন্যের চুল আমার চুলের সঙ্গে মিশিয়ে দাও (সহীহ বুখারী : ৫৪৭৭/৭৮/৭৯)
তবে যদি পরচুলা কৃত্রিম চুল দ্বারা হয় তাহলে তা ব্যবহারের অবকাশ আছে প্রয়োজনে তা ব্যবহার করা যেতে পারে

প্রশ্ন : পরচুলাতে মাসহ্ গোসলের হুকুম কি?
উত্তর : পরচুলা যদি শরীরের সাথে এমন স্থায়ী ভাবে সংযোজন করা হয়, যা শরীর থেকে পৃথক করা যায় না, তাহলে অযু করার সময় তার উপর মাসাহ্ করা জায়েয
এমতাবস্থায় ফরয গোসলও সহীহ হবে চুল যদি অস্থায়ীভাবে লাগানো হয়, তাহলে এর উপর মাসাহ্ জায়েয হবে না এবং শরীরের আসল লোমকুপ পর্যন্ত যদি পানি না পৌঁছে তাহলে ফরয গোসলও জায়েয হবে না তাই অযু করার সময় তা মাথা থেকে সরিয়ে রেখে মাথা মাসাহ্ করতে হবে এবং ফরজ গোসলে সময় তা খুলে রেখে গোসল করা ওয়াজিব

No comments

Powered by Blogger.