প্রশ্ন : মহিলারা মেক’আপ করতে পারবে কি না?
উত্তর: মহিলাদের উচিৎ তাদের স্বামীদের সামনে নিজেদেরকে উসকু-খুশকো, অপরিচ্ছন্ন ও নোংরা অবস্থায় না রেখে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও সেজে-গোজে পরিপাটি করে থাকা। এ উদ্দেশ্যে শরয়ী পরিসীমার মধ্যে থেকেই মহিলাদের মেক’আপ করা জায়েয।
প্রশ্ন : প্রসাধনী সামগ্রী ও মেক’আপে ব্যবহৃত অনেক জিনিস যেমন-পাউডার, ক্রীম, লিপস্টিক, লোশন, নেইল পালিশ ইত্যাদি বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানী হয়। এগুলোর ব্যাপারে সন্দেহ করা হয় যে, প্রস্তুত কালে এ সাথে শুকরের চর্বি অথবা মৃত জীব-জন্তু ও তাদের চর্বি ইত্যাদি হারাম জিনিস মিশানো হয়ে থাকে। স্বাভাবতই প্রশ্ন জাগে এগুলোর ব্যবহার শরয়ী দৃষ্টি কোন থেকে জায়েয হবে কিনা?
উত্তর : যদি কোন প্রাসাধনীর ব্যাপারে নিশ্চিত ভাবে অবগত হওয়া যায় যে, এ গুলোতে ব্যবহৃত হয়েছে এমন সব বস্তু যা শরয়ী দিক থেকেও ব্যবহার করা হারাম। যেমন-শুকুরের চর্বি অথবা মৃত জীব-জন্তু ও তাদের চর্বি ইত্যাদি এবং এ বিষয়টিও সন্দেহতীতভাবে জানা যায় যে, এ সকল নাজায়েয ও নাপাক বস্তুকে যে কোন রাসায়নিক পদ্ধতিতে তার মূল স্বত্ত্ব থেকে রূপান্তরিত করা হয়নি। তাহলে এ অবস্থায় এগুলোর ব্যবহার না জায়েয, কেননা এতে ব্যবহৃত বস্তু হারাম ও নাপাক। তাই এর ব্যবহার থেকে বিরত থাকা ওযাজিব।
আর যদি এগুলোতে হারাম বস্তুর ব্যবহার সম্পর্কে সুনিশ্চিত ভাবে জানা না যায় শুধুমাত্র সন্দেহ করা হয়, তাহলে নিছক সন্দেহের বশবতী হয়ে এগুলোর ব্যবহারকে না জায়েয বলা যাবে না। কিন্তু যদি নিশ্চিতভাবে জানা যায় যে এগুলোতে হারাম বস্তু ব্যবহার করা স্বত্ত্বেও রাসায়নিক পদ্ধতিতে তাতে ব্যবহৃত বস্তু সমূহের মূলস্বত্ত্বাকে পরিবর্তন করা হয়েছে। তাহলে এ অবস্থায় এ সকল সামগ্রীর বাহ্যিক ব্যবহারের অনুমতি আছে। তবে সর্বাবস্থায় এমন সন্দহমূলক বস্তু ব্যবহার থেকে বিরত থাকা বাঞ্চনীয়।
উত্তর : যদি কোন প্রাসাধনীর ব্যাপারে নিশ্চিত ভাবে অবগত হওয়া যায় যে, এ গুলোতে ব্যবহৃত হয়েছে এমন সব বস্তু যা শরয়ী দিক থেকেও ব্যবহার করা হারাম। যেমন-শুকুরের চর্বি অথবা মৃত জীব-জন্তু ও তাদের চর্বি ইত্যাদি এবং এ বিষয়টিও সন্দেহতীতভাবে জানা যায় যে, এ সকল নাজায়েয ও নাপাক বস্তুকে যে কোন রাসায়নিক পদ্ধতিতে তার মূল স্বত্ত্ব থেকে রূপান্তরিত করা হয়নি। তাহলে এ অবস্থায় এগুলোর ব্যবহার না জায়েয, কেননা এতে ব্যবহৃত বস্তু হারাম ও নাপাক। তাই এর ব্যবহার থেকে বিরত থাকা ওযাজিব।
আর যদি এগুলোতে হারাম বস্তুর ব্যবহার সম্পর্কে সুনিশ্চিত ভাবে জানা না যায় শুধুমাত্র সন্দেহ করা হয়, তাহলে নিছক সন্দেহের বশবতী হয়ে এগুলোর ব্যবহারকে না জায়েয বলা যাবে না। কিন্তু যদি নিশ্চিতভাবে জানা যায় যে এগুলোতে হারাম বস্তু ব্যবহার করা স্বত্ত্বেও রাসায়নিক পদ্ধতিতে তাতে ব্যবহৃত বস্তু সমূহের মূলস্বত্ত্বাকে পরিবর্তন করা হয়েছে। তাহলে এ অবস্থায় এ সকল সামগ্রীর বাহ্যিক ব্যবহারের অনুমতি আছে। তবে সর্বাবস্থায় এমন সন্দহমূলক বস্তু ব্যবহার থেকে বিরত থাকা বাঞ্চনীয়।
No comments