প্রশ্নঃ ৩৫. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, যিনি উত্তর দিবেন আমার কথা গুলো ভাল ভাবে খেয়াল করবেন প্রশ্ন -হাদিসে আছে যে কোরবানীর গোশত তিন ভাগে ভাগ করে এক ভাগ গরিবদের দেওয়া! এখন আমার কথা হচ্ছে আমাদের গ্রামের মানুষজনেরা আন্দাজ করে দিয়ে দেই যেমন ধরুন আমরা গোশত কাটি আর সকাল থেকেই গরিবরা আসতে থাকে আমরাও দিতে থাকি এভাবেই আমাদের এলাকার পাশের এলাকার সব গরিবরাই গোশত পায়! কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বর্তমান আলেমরা বলতে থাকে মে আন্দাজ করে দেওয়া ঠিক না মেপে দেওয়া উত্তম এইজন্য এখন কিছু মানুষ সকালে বাড়ির গেইট বন্ধ করে দেই গরিবরা এসে খালি হাতে ফিরে যেতে হয় এখন কি গরিবদের এভাবে ফিরিয়ে দেওয়া কি ঠিক? আগে আমরা আন্দাজ করেই দিতাম ঠিকই কিন্তু আমরা এক তৃতীয়াংশ এর বেশি দিতাম কিন্তু আপনাদের বাড়াবাড়ির জন্য এখন গরিবরা কষ্ট পাচ্ছে! এই প্রসঙ্গে আপনি কোরআন হাদীস থেকে সমাধান দিন!!!!!

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

والله اعلم بالصواب

উঃ- আসসালামু আলাইকুম

কোরবানির গোশত তিন ভাগের এক ভাগ মিসকীনদেরকে দান করে দেয়া, আরেক ভাগ আত্মীয়-স্বজনকে দেয়া, আরেক ভাগ নিজের জন্য রাখা। এই নিয়মে কোরবানির গোশত বন্টন করা মোস্তাহাব। তবে কেউ যদি কুরবানীর গোশত এক-তৃতীয়াংশ/অর্ধাংশ অথবা এর চেয়ে বেশি মিসকিনদের মাঝে বন্টন করে দেয়, অথবা পুরোটাই মিসকিন আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে বন্টন করে দেয়, এতেও কোন অসুবিধা নেই।

মেপে দেওয়া উত্তমআলেমরা কথাটা এজন্যই বলে থাকেন, যেন গরিবদের বন্টনে কম না হয়। এজন্য নয় যে, অনুমান করে তাদেরকে দেয়া যাবে না, বেশি দেয়া যাবে না, বা দিলে হারাম হবে। আলেমদের বর্ণিত মাসআলা কেউ না বুঝলে সেটা নিজেদের জ্ঞানের দুর্বলতা, আলেমদের দোষ নয়।

সুতরাং আপনি চাইলে কোরবানির পশুর গোশতকে উপরোল্লিখিত নিয়মানুযায়ী তিন ভাগ করে, সেখান থেকে একভাগ মিসকীনদেরকে দিতে পারেন, অথবা অর্ধেক দিয়ে দিতে পারেন, অথবা পুরোটাই দিয়ে দিতে পারেন। ঠিক তেমনিভাবে আপনার পারিবারিকভাবে যদি প্রয়োজন হয়, পরিবারের লোকজন খুব বেশি হয়, তাহলে প্রয়োজনানুসারে আপনি পুরোটাই রেখে দিতে পারেন, এতে আপনার কোরবানির কোন সমস্যা হবে না। তবে এভাবে বন্টন করে গরীব বা আত্মীয় স্বজনকে বঞ্চিত করা অনুত্তম।

প্রমাণাদি

(ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া, খন্ড-5, পৃষ্ঠা-346, আল বাহরুর রায়েক, খন্ড-8, পৃষ্ঠা-326, ফাতোয়ায়ে মাহমুদিয়া, খন্ড-১৭ পৃষ্ঠা-৪২৮)

উত্তর দিয়েছেনঃ মোহাম্মদ আমীর হোসাইন, মুফতি মুহাদ্দীস,
শাইখ আবু সাঈদ ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, মোহাম্মাদপুর।

No comments

Powered by Blogger.