প্রশ্নঃ ২১.নিজের যা গচ্ছিত রয়েছে তা হতে কুরবানি করলে অর্থ সংকট হতে পারে। এমন অবস্থায় কুরবানির মধ্যে কিছু অর্থ যোগ করে কুরবানিতে শামিল হতে পারবো, না আমাকে পৃথক কুরবানি করতে হবে?
প্রশ্নঃ ২১. আসসালামুআলাইকুম
ওয়া
রাহমাতুল্লাহ, শায়েখ আমার কয়েকটা
প্রশ্ন
আছে।
১ঃ
আমার
সামনে
বিবাহ,আমার
কাছে
যে
নগদ
অর্থ
ছিলো
সেটা
খরচ
হয়ে
গেছে,
সামনে
আরও
খরচ
আছে,
কুরবানি
দেওয়ার
মতো
নগদ
অর্থ
থাকবে
না।
কিন্তু
ডিপিএসে
৫০
হাজারের
উপরে
অর্থ
আছে
সেটা
তো
ভাঙতে
পারছি
না,
এখন
যদি
আমি
কুরবানি
না
দেই
তাহলে
আমার
গুনাহ
হবে
কী?২ঃ
আমি
যদি
মোহরানা
শোদ
না
করতে
পারি
তাহলে
কি
স্ত্রী
কে
স্পর্শ
করা
যাবে
না?
আর
স্ত্রী
যদি
বলে
মোহরানা
মাফ
করবে
না
তখন
আমার
কি
করনীয়?৩ঃআমি
নতুন
বিবাহ
করবো
ইনশাআল্লাহ। এখন জানার বিষয়
হলো,
আমার
স্ত্রী
প্রতি
আমার
কী
কী
হক
বা
দায়িত্ব
আছে,
আর
স্ত্রী
উপরে
স্বামীর
প্রতি
কী
কী
হক
বা
দায়িত্ব
আছে?
৪ঃ
সহবাস
করার
নিয়ম
এবং
ফরজ
গোসলের
নিয়ম
কী?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
একবারের প্রশ্নে একটি প্রশ্ন করা যাবে।
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার ওপর কুরবানী ওয়াজিব। বিস্তারিত জানতে দয়া করে নিচের রেফারেন্স উত্তরটি দেখুন।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর
রেফারেন্স উত্তর:
- প্রশ্নঃ ৭৩৪৫. আসসালামুআলাইকুম ওয়া
রাহমাতুল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম
আমি এবং
আমার বাবা
পরিবারে আয়
করি। আমার
বাবার এবং
আমার উভয়ের
কুরবানি করার
সামর্থ্য আছে।
কিন্তু বর্তমান
করোনা পরিস্থিতিতে আমার নিজের
যা গচ্ছিত
রয়েছে তা
হতে কুরবানি
করলে অর্থ
সংকট হতে
পারে। এমন
অবস্থায় আমি
কি আমার
বাবার কুরবানির মধ্যে কিছু
অর্থ যোগ
করে কুরবানিতে শামিল হতে
পারবো, না আমাকে
পৃথক কুরবানি
করতে হবে?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
ওয়া আলাইকুমুস সালাম,
প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থমস্তিষ্ক সম্পন্ন প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী, যে ১০ যিলহজ্ব ফজর থেকে ১২ যিলহজ্ব সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে প্রয়োজন-অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে তার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব। টাকা-পয়সা, সোনা-রূপা, অলঙ্কার, বর্তমানে বসবাস ও খোরাকির প্রয়োজন আসে না এমন জমি, প্রয়োজন অতিরিক্ত বাড়ি, ব্যবসায়িক পণ্য ও অপ্রয়োজনীয় সকল আসবাবপত্র কুরবানীর নেসাবের ক্ষেত্রে হিসাবযোগ্য।
আর নিসাব হল স্বর্ণের ক্ষেত্রে সাড়ে সাত (৭.৫) ভরি, রূপার ক্ষেত্রে সাড়ে বায়ান্ন (৫২.৫) ভরি। টাকা-পয়সা ও অন্যান্য বস্ত্তর ক্ষেত্রে নিসাব হল সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার মূল্যের সমপরিমাণ হওয়া। আর সোনা বা রূপা কিংবা টাকা-পয়সা এগুলোর কোনো একটি যদি পৃথকভাবে নেসাব পরিমাণ না থাকে কিন্তু প্রয়োজন অতিরিক্ত একাধিক বস্ত্ত মিলে সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার মূল্যের সমপরিমাণ হয়ে যায় তাহলেও তার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব। যেমন কারো নিকট কিছু স্বর্ণ ও কিছু টাকা আছে, যা সর্বমোট সাড়ে বায়ান্ন তোলা চাঁদির মূল্য সমান হয় তাহলে তার উপরও কুরবানী ওয়াজিব।
এই হলো কুরবানীর নিসাব।
অতএব,যার উপর কুরবানী ওয়াজিব হয়েছে। তার কাছে এই মুহূর্তে নগদ টাকা উপস্থিত না থাকলে তিনি ঋণ করে হলেও কুরবানী করতে হবে।
আপনি নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে আপনার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব। অর্থ সংকটের চিন্তা থেকে কুরবানী বাদ দেয়া জায়েয হবে না।
সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি এই ইবাদত পালন করে না তার ব্যাপারে হাদীস শরীফে কঠোর ধমকি এসেছে,
عن أبي هريرة قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : من وجد سعة
لأن يضحي فلم يضح فلا يقربن مصلانا.
হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘যার কুরবানীর সামর্থ্য আছে তবুও সে কুরবানী করল না সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে।’-মুসনাদে আহমদ ২/৩২১; মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস : ৭৬৩৯; আত্তারগীব ওয়াত্তারহীব ২/১৫৫
والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেনঃ হাফেয মাওলানা শুআইব মাহদী মাহী
No comments