জান্নাতে অনুগ্রহ পাওয়ার দোয়া
ভালো কাজ ও ভালো মানুষের সংস্পর্শ কল্যাণের দিকে ধাবিত করে। আর অন্যায় ও গোনাহের কাজ এবং অসৎ ব্যক্তির সঙ্গ পেলে মানুষ মন্দের দিকে ধাবিত হয়। আর রমজানের রোজা মানুষকে বরকত ও কল্যাণের দিকেই ধাবিত করে।
অন্যায় পরিহার করে নেক কাজে মনোযোগী হলে মহান আল্লাহ ওই বান্দাকে জান্নাতে অনুগ্রহ করবেন। তাই খারাপ ও মন্দ কাজ থেকে বেঁচে থেকে জান্নাতের অনুগ্রহ পেতে প্রত্যেক রোজাদারের এ দোয়াটি বেশি বেশি পড়া-
اَللَّهُمَّ وَفِّقْنِي فِيْهِ لِمُوَافِقَةِ الْأَبْرَارِ،
وَجَنِّبْنِيْ فِيْهِ مُرَافَقَةَ الْأَشْرَارِ، وَآَوِنِيْ فِيْهِ بِرَحْمَتِكَ
إِلَى دَارِ الْقَرَارِ، بِإِلَهِيَّتِكَ يَا إِلَهَ الْعَالَمِيْنَ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ওয়াফফিক্বনি ফিহি লি-মুয়াফিক্বাতিল আবরারি, ওয়া ঝান্নিবনি ফিহি মুরাফাক্বাতিল আশরারি, ওয়া আয়িনি ফিহি বিরাহমাতিকা ইলা দারিল ক্বারারি, বি-ইলাহিয়্যাতিকা ইয়া ইলাহাল আলামিন।’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! এ দিনে আমাকে তোমার নেক বান্দাদের সংস্পর্শ লাভের তাওফিক দাও। মন্দ লোকদের সঙ্গে বন্ধুত্ব থেকে দূরে রাখো। তোমার প্রভুত্বের (জাতের) শপথ করে বলছি, তোমার রহমতের স্থানে (বেহেশতে) আমাকে জায়গা দাও। হে জগতসমূহের একচ্ছত্র মালিক।’
রোজাদারের মনে রাখা জরুরি-
আল্লাহ তাআলা মন্দ কাজ সংঘটিত হওয়ার সব বিষয়গুলোকে হালকা করেছেন রোজাদারের ইবাদত-বন্দেগি করার জন্য। জান্নাতের দরজা খুলে দিয়েছেন জান্নাতি পরিবেশ লাভের জন্য। আবার জাহান্নামের দরজা ও শয়তানকে বেড়ি পড়ানোর মাধ্যমে অপরাধ প্রবণতা কমিয়ে দিয়েছেন।
সুতরাং রমজানের দ্বিতীয় দশকে আল্লাহ ক্ষমা লাভে অস্রু বিসর্জনের বিকল্প নেই। আল্লাহর কাছে ঈমানদার রোজাদারের চোখের পানির মূল্য অনেক। ঈমানদার যদি আল্লাহর ক্ষমা লাভে অস্রু বিসর্জন দিতেই পারে তবে সে পানি মাটিতে পরার আগেই আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেবেন।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তার রহমতের ওসিলায় দুনিয়ার যাবতীয় অন্যায় ও খারাপ কাজ থেকে বিরত থেকে ক্ষমা লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
No comments