আল্লাহর পথে দানের বিনিময়
আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমের অনেক আয়াতে তার রাস্তায় ধন-সম্পদ ব্যয় করার নির্দেশ দিয়েছেন। ঈমান গ্রহণের পর একজন ঈমানদারকে আল্লাহ এভাবে নির্দেশ প্রদান করেছেন যে, তোমরা যারা ঈমান এনেছ, তারা তার রাস্তায় ধন-সম্পদ উৎসর্গ করতে প্রস্তুত থাক।
আল্লাহর পথে ধন-সম্পদ ব্যয় করলে তিনি সে সম্পদে সীমাহীন বরকত দান করবেন। বরকতের ফজিলত বর্ণনা করেই আল্লাহ তাআলা এ আয়াতে কারিমা নাজিল করেন। আল্লাহ তাআলা বলেন-
সুরা বাকারার ২৬১নং আয়াতে আল্লাহর পথে খরচ করার ফজিলত বর্ণনা করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা দানে সম্পদ বৃদ্ধির উপমা প্রদান করেছেন। এ উপমা হচ্ছে রূপক। আল্লাহ চাইলে দান আরো বেশি বৃদ্ধি করবেন।
ঈমান গ্রহণের পর মুমিন বান্দা যেন আল্লাহর পথে খরচ করার ব্যাপারে প্রস্তুত থাকে সে নির্দেশ দানের পর তিনি দানের ফজিলত বর্ণনা করেছেন।
ধন-সম্পদ যদি প্রয়োজন পূরণ করার জন্য ব্যয় করা হয় অথবা পরিবার-পরিজন, সন্তান-সন্ততির ভরণ-পোষণের জন্য খরচ করা হয় বা আত্মীয়-স্বজনের দেখা-শুনার জন্য খরচ করা হয় কিংবা অভাবীদের জন্য সাহায্যার্থে খরচ করা হয় অথবা জনকল্যাণমূলক এবং জিহাদের উদ্দেশ্যে অথবা অন্য কোনো খাতেই ব্যয় করা হোক না কেন, তা যদি আল্লাহর বিধান অনুযায়ী একমাত্র তাঁর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে ব্যয় করা হয় তবেই তা আল্লাহর পথে ব্যয় করা হয়েছে বলে গণ্য হবে।
আর তখনই আল্লাহ তআলা ঘোষিত ফজিলত লাভে সম্পদ বৃদ্ধি পাবে। এখানে এক থেকে সাত; আবার তার প্রতিটি করে একশত শস্য দানার মতো ফজিলত বর্ণনা করা হয়েছে। এ উপমা রূপক।
আল্লাহ যদি এক থেকে সাত। আবার সাত থেকে সাতশ দান করতে পারেন। তবে তার চেয়েও বেশি কিছু তিনি দান করতে পারেন। এ কারণেই আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যার ইচ্ছা তা বহুগুণে বৃদ্ধি করে দেবেন।’ এখানে কোনো পরিমাণ উল্লেখ করেননি।
তবে দানের ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে-
যে পরিমাণ আন্তরিকতা ও নিষ্ঠা ও গভীর আবেগ-উদ্দীপনা সহকারে মানুষ আল্লাহর পথে অর্থ ব্যয় করবে; আল্লাহর পক্ষ থেকে তার প্রতিদানও তত বেশি ধার্য হবে।
No comments