ঘুম থেকে ওঠার পর যে কারণে দোয়া পড়বেন
প্রবাদ আছে, ‘ঘুম আর মৃত্যু সমান কথা’। কিন্তু এ প্রবাদবচন প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাদিসেও প্রমাণিত। তিনি মানুষকে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এভাবে দোয়া করতে বলেছেন, ‘আল্লাহুম্মা বিসমিকা আ’মু-তু ওয়া আ’হইয়া। অর্থাৎ ‘হে আল্লাহ! তোমারই নামে আমি মৃত্যুবরণ করছি এবং তোমারই অনুগ্রহে জীবিত হব।’ (বুখারি)
যেহেতু মানুষ ঘুমের মাধ্যমে কিছু সময়ের জন্য মৃত্যুবরণ করে; আবার আল্লাহর অনুগ্রহে জীবিত হয়। তাই সাময়িক ঘুম নামক মৃত্যু থকে জেগে ওঠার কারণেই আল্লাহর শোকরিয়া আদায় এবং দোয়া করা প্রত্যেক ঈমানদারের জন্য জরুরি।
ঘুম থেকে ওঠার পর মানুষ যে কারণে আল্লাহ তাআলার শোকরিয়া আদায় করবে এবং নিজেদের জন্য দোয়া করবে তা হাদিসে পাকে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুস্পষ্ট করেছেন।
তাই প্রত্যেক ব্যক্তির উচিত ঘুম থেকে ওঠার পর প্রিয়নবির শিখানো এ দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা শোকরিয়া আদায় এবং নিজেদের জন্য দোয়া করা জরুরি। দোয়াটি হলো-
اَلْحَمْدُ لِلّهِ
الَّذِىْ عَافَانِىْ فِىْ جَسَدِىْ – وَرَدَّ عَلَىَّ رُوْحِىْ – وَأَذِنَ لِىْ
بِذِكْرِهِ
উচ্চারণ : ‘আল-হামদুলিল্লাহিল্লাজি আ’ফানি ফি ঝাসাদি, ওয়া রাদ্দা আলাইয়্যা রুহি, ওয়া আজিনালি বি-জিকরিহি’
অর্থ : সব প্রশংসা সেই আল্লাহর জন্য, যিনি আমার দেহকে (ক্ষয়-ক্ষতি, অসুখ-বিসুখ থেকে) সুস্থ রেখেছেন, আমার রূহ আমার কাছে ফেরত পাঠিয়েছেন এবং আমাকে তাঁর জিকির করার জন্য অবকাশ দিয়েছেন।’
উল্লেখিত শোকরিয়া ও দোয়া থেকে বুঝা যায়, আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক মানুষকে ঘুমের মাধ্যমে কিছু সময়ের জন্য জীবন নিয়ে নেন। আবার কোনো ধরনের সমস্যা ছাড়াই ঘুমের সময়টিতে তাকে সুস্থ রাখছেন। আবার রূহ ফেরত দেয়ার মাধ্যমে তাকে ঘুম থেকে জাগ্রত করেন।
মানুষ জাগ্রত হওয়ার পর আল্লাহ তাআলার জিকির-আজকার, হুকুম-আহকাম পালন করে থাকেন। আর এ কারণেই মানুষ ঘুম থেকে ওঠে মহান রাব্বুল আলামিনের শোকরিয়া আদায় করে থাকেন। এ শোকরিয়া আদায় করতে পারা মুমিন মুসলমানের জন্য অনেক বড় নেয়ামত।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ঘুম থেকে ওঠে তার শোকরিয়া আদায় করতে উল্লেখিত দোয়াসহ তাঁর জিকির-আজকার ও হুকুম-আহকাম যথাযথ পালন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
No comments