আল্লাহর কাছে সৃষ্টিজগত রক্ষণাবেক্ষণ যেমন
সুরা বাকারার ২৫৫ নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা ১০টি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। যে কারণে হাদিসে পাকে আয়াতুল কুরসির মর্যাদা ও ফজিলত অনেক বেশি বর্ণনা করা হয়েছে।
আয়াতের আগের (অষ্টম) অংশে আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেছেন আসমান-জমিন ব্যাপী তাঁর কুরসি।- তাঁর এ কুরসির বিশদ বর্ণনা করা হয়েছে হাদিসে পাকে।
অতঃপর এ আয়াতাংশের নবম বিষয় হলো তিনি আসমান ও জমিন পরিবেষ্টনকারী এ কুরসি রক্ষনাবেক্ষণে তাঁকে ক্লান্ত করে না। আর আয়াতের শেষাংশে তিনি তাঁর বড়ত্ব ও মহিমার বর্ণনা করেছেন।
আয়াতে বলা হয়েছে যে, আল্লাহ তাআলার বৃহৎ সৃষ্টি আসমান ও জমিনের হেফাজত তথা রক্ষণাবেক্ষণ করা তাঁর জন্য কোনো কঠিন কাজ বলে মনে হয় না। কারণ এ অসাধারণ ও একক পরিপূর্ণ সত্ত্বার পক্ষে এ কাজটি একান্তই সহজ। কারণ মহাশক্তিশালী আল্লাহর কুদরতের সামনে এ সব বস্তু অতি নগন্য ও তুচ্ছ।
আয়াতের সর্বশেষ অংশে ঘোষণা করেন, ‘তিনি অতি মহান ও মর্যাদাবান।’ এখানে আল্লাহ তাঁর নিজের একত্ববাদ ও উত্তম গুণাবলীর বিষয়াদি অতি স্পষ্ট। এ আয়াতে উল্লেখিত গুণাবলী দেখার ও বুঝার পর প্রত্যেক জ্ঞানী ব্যক্তিই বলতে বাধ্য হবে যে, সব শান-শওকত; বড়ত্ব-মহত্ব এবং শক্তির মালিক আল্লাহ তাআলা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে আয়াতুল কুরসিতে ঘোষিত গুণগুলোর ওপর বিশ্বাস স্থাপন করে শিরকমুক্ত ঈমান লাভের পাশাপাশি হাদিসে ঘোষিত ফজিলত লাভের তাওফিক দান করুন।আমিন।
No comments