রোমক ও পারসিকদের যুদ্ধের কাহিনী
রোমক ও পারসিকদের যুদ্ধের কাহিনী
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম এর মক্কায় অবস্থানকালে পারসিকরা রোমকদের উপর আক্রমণ করে। তাদের এই যুদ্ধ শামদেশের আযরুআত ও বুসরার মধ্যস্থলে সংঘটিত হয়। এই যুদ্ধ চলাকালে মক্কার মুশরিকরা পারসিকদের বিজয় কামনা করত। কেননা শিরক ও প্রতিমা পূজায় তারা ছিল পারসিকদের সহযোগী। অপরপক্ষে মুসলমানদের আন্তরিক বাসনা ছিল রোমকরা বিজয়ী হোক। কেননা ধর্ম ও মাযহাবের দিক দিয়ে তারা ইসলামের নিকটবর্তী ছিল। কিন্তু হলো এই যে, তখনকার মতো পারসিকরা যুদ্ধে বিজয় লাভ করে। এমন কি তারা কনস্টান্টিনোপলও অধিকার করে নিল এবং সেখানে উপাসনার জন্য একটি অগ্নিকুন্ড নির্মাণ করল। এটা ছিল পারস্য স¤্রাট পারভেজের সর্বশেষ বিজয়। এরপর তার পতন শুরু হয় মুসলমানদের হাতে সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম এর মক্কায় অবস্থানকালে পারসিকরা রোমকদের উপর আক্রমণ করে। তাদের এই যুদ্ধ শামদেশের আযরুআত ও বুসরার মধ্যস্থলে সংঘটিত হয়। এই যুদ্ধ চলাকালে মক্কার মুশরিকরা পারসিকদের বিজয় কামনা করত। কেননা শিরক ও প্রতিমা পূজায় তারা ছিল পারসিকদের সহযোগী। অপরপক্ষে মুসলমানদের আন্তরিক বাসনা ছিল রোমকরা বিজয়ী হোক। কেননা ধর্ম ও মাযহাবের দিক দিয়ে তারা ইসলামের নিকটবর্তী ছিল। কিন্তু হলো এই যে, তখনকার মতো পারসিকরা যুদ্ধে বিজয় লাভ করে। এমন কি তারা কনস্টান্টিনোপলও অধিকার করে নিল এবং সেখানে উপাসনার জন্য একটি অগ্নিকুন্ড নির্মাণ করল। এটা ছিল পারস্য স¤্রাট পারভেজের সর্বশেষ বিজয়। এরপর তার পতন শুরু হয় মুসলমানদের হাতে সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।
এ ঘটনায় মক্কার মুশরিকরা আনন্দে আত্মহারা হয়ে গেল এবং মুসলমানদেরকে লজ্জা দিতে লাগল যে, তোমরা যাদের সমর্থন করতে তারা হেরে গেছে। ব্যাপার এখানেই শেষ নয়; বরং আহলে কিতাব রোমকরা যেমন পারসিকদের মোকাবিলায় পরাজয় বরণ করেছে, তেমনি আমাদের মোকাবেলায় তোমরাও একদিন পরাজিত হবে। এতে মুসলমানরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত হয়।
‘সূরা রূমের’ প্রাথমিক আয়াতগুলো এ ঘটনা সম্পর্কেই অবতীর্ণ হয়েছে। এসব আয়াতে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে যে, কয়েক বছর পরেই রোমকরা পারসিকদের মোকাবিলায় বিজয়ী হবে। ইরশাদ হল-
অর্থ- আলিফ-লাম-মীম, রোমকরা পরাজিত হয়েছে, নিকটবর্তী এলাকায় এবং তারা তাদের পরাজয়ের পর অতিসত্বর বিজয়ী হবে, কয়েক বছরের মধ্যে। [সূরা-রূম, আয়াত- ১-৪]
হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা) যখন এসব আয়াত শুনলেন, তখন মক্কার চতুষ্পার্শ্বে এবং মুশরিকদের সমাবেশ ও বাজারে উপস্থিত হয়ে ঘোষণা করলেন, তোমাদের হর্ষোৎফুল্ল হওয়ার কোনো কারণ নেই। কয়েক বছরের মধ্যে রোমকরা পারসিকদের বিরুদ্ধে জয়লাভ করবে। মুশরিকদের মধ্যে উবাই ইবনে খালফ কথা ধরল এবং বলল, তুমি মিথ্যা বলছ। এরূপ হতে পারে না। হযরত আবু বকর (রা) বললেন, আল্লাহর দুশমন তুই মিথ্যাবাদী। আমি এই ঘটনার জন্য বাজি রাখতে প্রস্তুত আছি। যদি তিন বছরের মধ্যে রোমকরা বিজয়ী না হয় তবে আমি তোমাকে দশটি উষ্ট্রী দেব। উবাই এতে সম্মত হল। [বলা বাহুল্য, এটা ছিল জুয়া কিন্তুু তখন জুয়া হারাম ছিল না] একথা বলে হযরত আবু বকর (রা.) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে উপস্থিত হয়ে ঘটনা বিবৃত করেন। রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন আমি তো তিন বছরের সময় নির্দিষ্ট করিনি। কাজেই তিন থেকে নয় বছরের মধ্যে এ ঘটনা ঘটতে পারে। তুমি যাও এবং উবাইকে বল যে, আমি দশটি উষ্টীর স্থলে একশ উষ্ট্রীর বাজি রাখছি, কিন্তু সময়কাল তিন বছরের পরিবর্তে নয় বছর এবং কোনো কোনো রেওয়ায়েত মতে সাত বছর নির্দিষ্ট করছি। হযরত আবু বকর (রা.) আদেশ পালন করলেন এবং উবাইও নতুন চুক্তিতে সম্মত হলো। বিভিন্ন হাদীস থেকে জানাযায় যে, হিজরতের পাঁচ বছর পূর্বে এই ঘটনা সংঘটিত হয় এবং সাত বছর পূর্ণ হওয়ার পর বদর যুদ্ধের সময় রোমকরা পাসিকদের বিরুদ্ধে বিজয় লাভ করে। তখন উবাই ইবনে খালফ বেঁচে ছিল না। হযরত আবু বকর তার উত্তরাধিকারীদের কাছ থেকে একশ’ উষ্ট্রী দাবী করে আদায় করে নিলেন। হযরত আবু বকর (রা.) বাজিতে জিতে গেলেন এবং একশ’ উষ্ট্রী লাভ করলেন। তখন সেগুলো নিয়ে রাসূলুল্লাহ্ এর কাছে উপস্থিত হলেন। তিনি বললেন, উষ্ট্রীগুলো সদকা করে দাও।
মায়ারিফ- ১০৩৭।
‘সূরা রূমের’ প্রাথমিক আয়াতগুলো এ ঘটনা সম্পর্কেই অবতীর্ণ হয়েছে। এসব আয়াতে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে যে, কয়েক বছর পরেই রোমকরা পারসিকদের মোকাবিলায় বিজয়ী হবে। ইরশাদ হল-
অর্থ- আলিফ-লাম-মীম, রোমকরা পরাজিত হয়েছে, নিকটবর্তী এলাকায় এবং তারা তাদের পরাজয়ের পর অতিসত্বর বিজয়ী হবে, কয়েক বছরের মধ্যে। [সূরা-রূম, আয়াত- ১-৪]
হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা) যখন এসব আয়াত শুনলেন, তখন মক্কার চতুষ্পার্শ্বে এবং মুশরিকদের সমাবেশ ও বাজারে উপস্থিত হয়ে ঘোষণা করলেন, তোমাদের হর্ষোৎফুল্ল হওয়ার কোনো কারণ নেই। কয়েক বছরের মধ্যে রোমকরা পারসিকদের বিরুদ্ধে জয়লাভ করবে। মুশরিকদের মধ্যে উবাই ইবনে খালফ কথা ধরল এবং বলল, তুমি মিথ্যা বলছ। এরূপ হতে পারে না। হযরত আবু বকর (রা) বললেন, আল্লাহর দুশমন তুই মিথ্যাবাদী। আমি এই ঘটনার জন্য বাজি রাখতে প্রস্তুত আছি। যদি তিন বছরের মধ্যে রোমকরা বিজয়ী না হয় তবে আমি তোমাকে দশটি উষ্ট্রী দেব। উবাই এতে সম্মত হল। [বলা বাহুল্য, এটা ছিল জুয়া কিন্তুু তখন জুয়া হারাম ছিল না] একথা বলে হযরত আবু বকর (রা.) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে উপস্থিত হয়ে ঘটনা বিবৃত করেন। রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন আমি তো তিন বছরের সময় নির্দিষ্ট করিনি। কাজেই তিন থেকে নয় বছরের মধ্যে এ ঘটনা ঘটতে পারে। তুমি যাও এবং উবাইকে বল যে, আমি দশটি উষ্টীর স্থলে একশ উষ্ট্রীর বাজি রাখছি, কিন্তু সময়কাল তিন বছরের পরিবর্তে নয় বছর এবং কোনো কোনো রেওয়ায়েত মতে সাত বছর নির্দিষ্ট করছি। হযরত আবু বকর (রা.) আদেশ পালন করলেন এবং উবাইও নতুন চুক্তিতে সম্মত হলো। বিভিন্ন হাদীস থেকে জানাযায় যে, হিজরতের পাঁচ বছর পূর্বে এই ঘটনা সংঘটিত হয় এবং সাত বছর পূর্ণ হওয়ার পর বদর যুদ্ধের সময় রোমকরা পাসিকদের বিরুদ্ধে বিজয় লাভ করে। তখন উবাই ইবনে খালফ বেঁচে ছিল না। হযরত আবু বকর তার উত্তরাধিকারীদের কাছ থেকে একশ’ উষ্ট্রী দাবী করে আদায় করে নিলেন। হযরত আবু বকর (রা.) বাজিতে জিতে গেলেন এবং একশ’ উষ্ট্রী লাভ করলেন। তখন সেগুলো নিয়ে রাসূলুল্লাহ্ এর কাছে উপস্থিত হলেন। তিনি বললেন, উষ্ট্রীগুলো সদকা করে দাও।
মায়ারিফ- ১০৩৭।
No comments