সাবা সম্প্রদায় ও তাদের প্রতি আল্লাহর নেয়ামত রাজি
সাবা সম্প্রদায় ও তাদের প্রতি আল্লাহর নেয়ামত রাজি
ইয়ামানের সম্রাট ও সে দেশের অধিবাসীদের উপাধি হচ্ছে ‘সাবা’। ‘তাবাবেয়া’ সম্প্রদায়ও সাবা সম্প্রদায়ের অন্তভুক্ত ছিল। তারা ছিল সে দেশের ধর্মীয় সম্প্রদায়। সূরা নামলে সোলায়মান (আঃ) এর সাথে রাণী বিলকিসের ঘটনা বর্ণীত হয়েছে। তিনিও এই সম্প্রদায়েরই একজন ছিলেন। আল্লাহ তা’য়ালা তাদের সামনে জীবনোপকরণের দ্বার উম্মুক্ত করে দিয়ে ছিলেন। এবং পয়গাম্বরগণের মাধ্যমে এসব নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করার আদেশ দান করেছিলেন। দীর্ঘকাল পর্যন্ত তারা এ অবস্থার উপর কায়েম থাকে, এবং সর্বপ্রকার সুখ ও শান্তি ভোগ করতে থাকে। অবশেষে ভোগ বিলাসে মত্ত হয়ে তারা আল্লাহ তা’য়ালার প্রতি গাফেল হয়ে পড়ে, এমনকি তারা আল্লাহ তা’য়ালা কে অস্বিকার করতে থাকে। তখন আল্লাহ তাআলা তাদের কে হুশিয়ার করার জন্য তের জন পয়গাম্বর প্রেরণ করেন। তাঁরা তাদেরকে সৎপথে আনার জন্য সর্ব-প্রযতেœ চেষ্টা করেন। কিন্তু তাদের চৈতন্যোদয় হয়নি। অবশেষে আল্লাহ তা’য়ালা তাদের উপর বন্যার আযাব প্রেরণ করেন। ফলে তাদের শহর ও বাগ-বাগিচা বিধ্বস্ত হয়ে যায়।
ইয়ামানের সম্রাট ও সে দেশের অধিবাসীদের উপাধি হচ্ছে ‘সাবা’। ‘তাবাবেয়া’ সম্প্রদায়ও সাবা সম্প্রদায়ের অন্তভুক্ত ছিল। তারা ছিল সে দেশের ধর্মীয় সম্প্রদায়। সূরা নামলে সোলায়মান (আঃ) এর সাথে রাণী বিলকিসের ঘটনা বর্ণীত হয়েছে। তিনিও এই সম্প্রদায়েরই একজন ছিলেন। আল্লাহ তা’য়ালা তাদের সামনে জীবনোপকরণের দ্বার উম্মুক্ত করে দিয়ে ছিলেন। এবং পয়গাম্বরগণের মাধ্যমে এসব নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করার আদেশ দান করেছিলেন। দীর্ঘকাল পর্যন্ত তারা এ অবস্থার উপর কায়েম থাকে, এবং সর্বপ্রকার সুখ ও শান্তি ভোগ করতে থাকে। অবশেষে ভোগ বিলাসে মত্ত হয়ে তারা আল্লাহ তা’য়ালার প্রতি গাফেল হয়ে পড়ে, এমনকি তারা আল্লাহ তা’য়ালা কে অস্বিকার করতে থাকে। তখন আল্লাহ তাআলা তাদের কে হুশিয়ার করার জন্য তের জন পয়গাম্বর প্রেরণ করেন। তাঁরা তাদেরকে সৎপথে আনার জন্য সর্ব-প্রযতেœ চেষ্টা করেন। কিন্তু তাদের চৈতন্যোদয় হয়নি। অবশেষে আল্লাহ তা’য়ালা তাদের উপর বন্যার আযাব প্রেরণ করেন। ফলে তাদের শহর ও বাগ-বাগিচা বিধ্বস্ত হয়ে যায়।
ইবনে কাসীরের বর্নণা অনুযায়ী সাবা সম্প্রদায়ের বাঁধের ইতিহাস এইঃ ইয়ামনের রাজধানী সানআ থেকে তিন মনজিল দূরে মাআরেব নগরী অবস্থিত ছিল। এখানে ছিল সাবা সম্প্রদায়ের বসতি। দুই পাহাড়ের মধ্যবর্তী উপত্যকায় শহরটি অবস্থিত ছিল বিধায় উভয় পাহাড়ের উপর থেকে বৃষ্টির পানি বন্যার আকারে নেমে আসত। ফলে শহরের জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে যেত। দেশের সম্রাটগণ উভয় পাহাড়ের মাঝখানে একটি শক্ত ও মজবুত বাঁধ নির্মাণ করলেন। এ বাঁধ পাহাড় থেকে আগত বন্যার পানি রোধ করে পানির একটি বিরাট ভান্ডার তৈরী করে দেয়। পাহাড়ী ঢলের পানিও এতে সঞ্চিত হতে থাকে। বাঁধের উপরে-নীচে ও মাঝখানে পানি বের করার তিনটি দরজা নির্মাণ করা হয় যাতে সঞ্চিত পানি সুশৃংখলভাবে শহরের লোকজনের মধ্যে এবং তাদের ক্ষেতে ও বাগানে পৌঁছানো যায়। প্রথমে উপরের দরজা খুলে পানি ছাড়া হত। উপরের পানি শেষ হয়ে গেলে মাঝখানের এবং সর্বশেষে নীচের তৃতীয় দরজা খুলে দেওয়া হত। পরবর্তী বছর বৃষ্টির মওসমে বাঁধের তিনটি স্তরই আবার পানিতে পূর্ণ হয়ে যেত। বাঁধের পানি নিচে সংরক্ষন করার উদ্দেশ্যে একটি সুবৃহৎ আধার নির্মাণ করা হয়েছিল। এতে পানির বারটি খাল তৈরি করে শহরের বিভিন্ন দিকে পৌঁছানো হয়েছিল। সব খালে একই গতিতে পানি প্রবাহিত হত এবং নাগরিকদের প্রয়োজন মেটাত।
শহরের ডানে ও বায়ে অবস্থিত পাহাড়দ্বয়ের কিনারায় ফল-মুলের বাগান তৈরী করা হয়েছিল। এসব বাগানে খালের পানি প্রবাহিত হত। এসব বাগান পরস্পর সংলগ্ন অবস্থায় পাহাড়ের কিনারায় দু’সারিতে বহুদুর পর্যন্ত ছিল। এগুলো সংখ্যায় অনেক হলেও কোরআনে দু’টি বাগানের কথা ব্যক্ত করা হয়েছে। কারণ, এক সারিতে সমস্ত বাগান পরস্পর সংলগ্ন হওয়ার কারণে এক বাগান এবং অপর সারির সমস্ত বাগানকে একই কারনে দ্বিতীয় বাগান বলে অভিহিত করা হয়েছে।
এসব বাগানে সবরকম বৃক্ষ ফল-মূল প্রচুর পরিমাণে উৎপন্ন হত। কাতাদাহ প্রমুখের বর্নণা অনুযায়ী, একজন লোক মাথায় খালি ঝুড়ি নিয়ে গমন করলে গাছ থেকে পতিত ফলমূল দ্বারা তা আপনা-আপনি ভরে যেত। হাত লাগানোরও প্রয়োজন হত না। -(ইবনে কাসীর)
আল্লাহ তা’য়ালা পয়গাম্বরগণের মাধ্যমে তাদেরকে আদেশ দিয়েছিলেন, তোমরা আল্লাহ প্রদত্ত এই অফুরন্ত জীবনোপকরণ ব্যবহার কর এবং কৃতজ্ঞতা স্বরূপ সৎকর্ম ও আল্লাহর আনুগত্য করতে থাক। আল্লাহ তা’য়ালা তোমাদের এই শহরকে পরিচ্ছন্ন স্বাস্থ্যকর করেছেন। শহরটি নাতিশীতোষ্ণ মন্ডলে অবস্থিত ছিল এবং আবহাওয়া স্বাস্থ্যকর ও বিশুদ্ধি ছিল।
সমগ্র শহরে মশা-মাছি ছারপোকা ও সাপ-বিচ্ছুর মত ইতর প্রাণীর নামগন্ধও ছিল না। বাইরে থেকে কোন ব্যক্তি শরীরে কাপড়-চোপড়ে উকুন ইত্যাদি নিয়ে এ শহরে পৌছালে সেগুলো আপনা আপনি মরে সাফ হয়ে যেত।
আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে এও জানিয়ে দিয়েছেন যে, এসব নেয়ামত ভোগ-বিলাস কেবল পার্থিব জীবন পর্যন্তই সীমিত নয়, বরং শুকরিয়া আদায় করতে থাকলে পরকালে আরও বৃহৎ ও স্থায়ী নেয়ামতের ওয়াদা রয়েছে। কারণ এসব নেয়ামতের স্রষ্টা ও তোমাদের পালনকর্তা ক্ষমাশীল। শুকরিয়া আদায়ে ঘটনাক্রমে কোন ত্রুটি- বিচ্যূতি হয়ে গেলে তিনি ক্ষমা করবেন।
আল্লাহ তায়ালা সুবিস্তৃত নেয়ামত ও পয়গম্বরগণের হুশিয়ারী সত্ত্বেও যখন সাবা সম্প্রদায় আল্লাহর আদেশ পালনে বিমুখ হল, তখন আল্লাহ তায়ালা তাদের উপর বাঁধভাঙ্গা বন্যা ছেড়ে দিলেন। বন্যাকে বাঁধের সাথে সম্বন্ধযুক্ত করার কারণ এই যে, যে বাঁধ তাদের হেফাযত ও স্বাচ্ছন্দের উপায় ছিল, আল্লাহ তায়ালা তাকেই তাদের বিপর্যয় ও মুসিবতের কারণ করে দিলেন। তফসীরবিদগণ বর্ণনা করেন, আল্লাহ তায়ালা যখন এ মস্প্রদায়কে বাঁধভাংঙ্গা বন্যা দ্বারা ধ্বংস কারার ইচ্ছা করলেন, তখন এই সুবৃহৎ বাঁধের গোড়ায় অন্ধ ইঁদুর নিয়োজিত করে দিলেন। তারা এর ভিত্তি দুর্বল করে দিল। বৃষ্টির মওসুমে পানির চাপে দুর্বল ভিত্তের মধ্যে ফাটল সৃষ্টি হয়ে গেল। অবশেষে বাঁধের পেছনে সঞ্চিত পানি সমগ্র উপত্যকায় ছড়িয়ে পড়ল। শহরের সমস্ত ঘর-বাড়ী বিধ্বস্ত হল এবং গাছপালা উজাড় হয়ে গেল। পাহাড়ের কিনারায় দু’সারি উদ্যানের পানি শুকিয়ে গেল। কোন কোন বর্ণনা কারী বর্ণনা করেছেন যে, তাদের কিতাবে লিখিত ছিল এ বাঁধটি ইঁদুরের মাধ্যমে ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে। সে মতে বাঁধের কাছে ইঁদুর দেখে তারা বিপদ সংকেত বোঝতে পারল। ইঁদুর নিধনের উদ্দেশ্যে তারা বাঁধের নীচে অনেক বিড়াল ছেড়ে দিল যাতে ইঁদুররা বাঁধের কাছে আসতে না পারে। কিন্তু আল্লাহর তকদীর প্রতিরোধ করার সাধ্য কার? বিড়ালেরা ইঁদুরের কাছে হার মানল এবংং ইঁদুরেরা বাঁধের ভিত্তিতে প্রবিষ্ট হয়ে গেল।
ঐতিহাসিক বর্ণনায় আরও বলা হয়েছে যে, কিছুসংখ্যক বিচক্ষণ ও দূরদর্শী লোক ইঁদুর দেখা মাত্রই সেস্থান ত্যাগ করে আস্তে আস্তে অন্যত্র সরে গেল। অবশিষ্টরা সেখানেই রয়ে গেল; কিন্ত বন্যা শুরু হলে তারাও স্থান্তরিত হয়ে গেল এবং অধিকাংশই বন্যায় প্রাণ হারাল। মোটকথা, সমস্ত শহর জনশূন্য হয়ে গেল। বন্যার ফলে শহর ধ্বংস হওয়ার পর তাদের দু’সারি উদ্যানের অবস্থা পবিত্র কুরআনুল কারীমে এভাবে বিবৃত হয়েছে যে, আল্লাহ তায়ালা তাদের মুল্যবান ফল-মুলের বৃক্ষের পরিবর্তে তাতে এমন বৃক্ষ উৎপন্ন করলেন, যার ফল ছিল বিস্বাদ। এ ছিল সাবা সম্প্রদায় ও তাদের প্রতি আল্লাহর নেয়ামত রাজির কাহিনী।
শহরের ডানে ও বায়ে অবস্থিত পাহাড়দ্বয়ের কিনারায় ফল-মুলের বাগান তৈরী করা হয়েছিল। এসব বাগানে খালের পানি প্রবাহিত হত। এসব বাগান পরস্পর সংলগ্ন অবস্থায় পাহাড়ের কিনারায় দু’সারিতে বহুদুর পর্যন্ত ছিল। এগুলো সংখ্যায় অনেক হলেও কোরআনে দু’টি বাগানের কথা ব্যক্ত করা হয়েছে। কারণ, এক সারিতে সমস্ত বাগান পরস্পর সংলগ্ন হওয়ার কারণে এক বাগান এবং অপর সারির সমস্ত বাগানকে একই কারনে দ্বিতীয় বাগান বলে অভিহিত করা হয়েছে।
এসব বাগানে সবরকম বৃক্ষ ফল-মূল প্রচুর পরিমাণে উৎপন্ন হত। কাতাদাহ প্রমুখের বর্নণা অনুযায়ী, একজন লোক মাথায় খালি ঝুড়ি নিয়ে গমন করলে গাছ থেকে পতিত ফলমূল দ্বারা তা আপনা-আপনি ভরে যেত। হাত লাগানোরও প্রয়োজন হত না। -(ইবনে কাসীর)
আল্লাহ তা’য়ালা পয়গাম্বরগণের মাধ্যমে তাদেরকে আদেশ দিয়েছিলেন, তোমরা আল্লাহ প্রদত্ত এই অফুরন্ত জীবনোপকরণ ব্যবহার কর এবং কৃতজ্ঞতা স্বরূপ সৎকর্ম ও আল্লাহর আনুগত্য করতে থাক। আল্লাহ তা’য়ালা তোমাদের এই শহরকে পরিচ্ছন্ন স্বাস্থ্যকর করেছেন। শহরটি নাতিশীতোষ্ণ মন্ডলে অবস্থিত ছিল এবং আবহাওয়া স্বাস্থ্যকর ও বিশুদ্ধি ছিল।
সমগ্র শহরে মশা-মাছি ছারপোকা ও সাপ-বিচ্ছুর মত ইতর প্রাণীর নামগন্ধও ছিল না। বাইরে থেকে কোন ব্যক্তি শরীরে কাপড়-চোপড়ে উকুন ইত্যাদি নিয়ে এ শহরে পৌছালে সেগুলো আপনা আপনি মরে সাফ হয়ে যেত।
আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে এও জানিয়ে দিয়েছেন যে, এসব নেয়ামত ভোগ-বিলাস কেবল পার্থিব জীবন পর্যন্তই সীমিত নয়, বরং শুকরিয়া আদায় করতে থাকলে পরকালে আরও বৃহৎ ও স্থায়ী নেয়ামতের ওয়াদা রয়েছে। কারণ এসব নেয়ামতের স্রষ্টা ও তোমাদের পালনকর্তা ক্ষমাশীল। শুকরিয়া আদায়ে ঘটনাক্রমে কোন ত্রুটি- বিচ্যূতি হয়ে গেলে তিনি ক্ষমা করবেন।
আল্লাহ তায়ালা সুবিস্তৃত নেয়ামত ও পয়গম্বরগণের হুশিয়ারী সত্ত্বেও যখন সাবা সম্প্রদায় আল্লাহর আদেশ পালনে বিমুখ হল, তখন আল্লাহ তায়ালা তাদের উপর বাঁধভাঙ্গা বন্যা ছেড়ে দিলেন। বন্যাকে বাঁধের সাথে সম্বন্ধযুক্ত করার কারণ এই যে, যে বাঁধ তাদের হেফাযত ও স্বাচ্ছন্দের উপায় ছিল, আল্লাহ তায়ালা তাকেই তাদের বিপর্যয় ও মুসিবতের কারণ করে দিলেন। তফসীরবিদগণ বর্ণনা করেন, আল্লাহ তায়ালা যখন এ মস্প্রদায়কে বাঁধভাংঙ্গা বন্যা দ্বারা ধ্বংস কারার ইচ্ছা করলেন, তখন এই সুবৃহৎ বাঁধের গোড়ায় অন্ধ ইঁদুর নিয়োজিত করে দিলেন। তারা এর ভিত্তি দুর্বল করে দিল। বৃষ্টির মওসুমে পানির চাপে দুর্বল ভিত্তের মধ্যে ফাটল সৃষ্টি হয়ে গেল। অবশেষে বাঁধের পেছনে সঞ্চিত পানি সমগ্র উপত্যকায় ছড়িয়ে পড়ল। শহরের সমস্ত ঘর-বাড়ী বিধ্বস্ত হল এবং গাছপালা উজাড় হয়ে গেল। পাহাড়ের কিনারায় দু’সারি উদ্যানের পানি শুকিয়ে গেল। কোন কোন বর্ণনা কারী বর্ণনা করেছেন যে, তাদের কিতাবে লিখিত ছিল এ বাঁধটি ইঁদুরের মাধ্যমে ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে। সে মতে বাঁধের কাছে ইঁদুর দেখে তারা বিপদ সংকেত বোঝতে পারল। ইঁদুর নিধনের উদ্দেশ্যে তারা বাঁধের নীচে অনেক বিড়াল ছেড়ে দিল যাতে ইঁদুররা বাঁধের কাছে আসতে না পারে। কিন্তু আল্লাহর তকদীর প্রতিরোধ করার সাধ্য কার? বিড়ালেরা ইঁদুরের কাছে হার মানল এবংং ইঁদুরেরা বাঁধের ভিত্তিতে প্রবিষ্ট হয়ে গেল।
ঐতিহাসিক বর্ণনায় আরও বলা হয়েছে যে, কিছুসংখ্যক বিচক্ষণ ও দূরদর্শী লোক ইঁদুর দেখা মাত্রই সেস্থান ত্যাগ করে আস্তে আস্তে অন্যত্র সরে গেল। অবশিষ্টরা সেখানেই রয়ে গেল; কিন্ত বন্যা শুরু হলে তারাও স্থান্তরিত হয়ে গেল এবং অধিকাংশই বন্যায় প্রাণ হারাল। মোটকথা, সমস্ত শহর জনশূন্য হয়ে গেল। বন্যার ফলে শহর ধ্বংস হওয়ার পর তাদের দু’সারি উদ্যানের অবস্থা পবিত্র কুরআনুল কারীমে এভাবে বিবৃত হয়েছে যে, আল্লাহ তায়ালা তাদের মুল্যবান ফল-মুলের বৃক্ষের পরিবর্তে তাতে এমন বৃক্ষ উৎপন্ন করলেন, যার ফল ছিল বিস্বাদ। এ ছিল সাবা সম্প্রদায় ও তাদের প্রতি আল্লাহর নেয়ামত রাজির কাহিনী।
মা’রেফুল কোরআন (বাংলা), ১১০৮-৯পৃঃ
No comments