প্র্রশ্ন : সাজ-সজ্জা বিষয়ে ইসলামের মৌলিক দিক নির্দেশনা কী?

উত্তর : সাজ-সজ্জা সম্পর্কে চারটি মৌলিক বিষয় মহিলাদের স্মরণ রাখতে হবে
[] সাজ-সজ্জার ক্ষেত্রে অবশ্যই নিজের নিয়ত ঠিক করে নিতে হবে অহংকার ভাব প্রকাশ অথবা পর পুরুষ বা অন্য মহিলাদের দেখানো এবং তাদের সাথে গর্ববোধ করার উদ্দেশ্যে পোশাক-পরিচ্ছেদ পরিধান করা এবং সাজ-গোজ গ্রহণ করা নাজায়েয, জন্য গোনাহগার হতে হবে
তেমনি অতিরিক্ত সাজ-সজ্জা রূপচর্চা শরীয়ত পছন্দ করে না মহিলারা সাজ-গোজ করবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু এটাকে নিত্য প্রয়োজনীয় কাজ হিসেবে রুটিন বানিয়ে নেয়া এবং বিভিন্ন পদ্ধতিতে নিজেকে সাজানোর চিন্তায় মগ্ন থাকা, সর্বক্ষণ মন-মানসিকতাকে কাজে ব্যস্ত রাখা এটা আদর্শ মুসলিম মহিলাদের স্বভাব বিরোধী যারা উত্তম আদর্শে সুন্দর চরিত্রে সজ্জিত হতে চায় তাদের আবার কৃত্রিম অপ্রয়োজনীয় সাজ-গোজের পিছনে সময় নষ্ট করার অবকাশ কোথায়?
তবে মহিলারা শরীয়তের পরিসীমার মধ্যে যে সাজ-সজ্জা করবে তা যদি স্বামীর খুশী করার উদ্দেশ্যে হয়, অন্য কোনো মহিলা বা নামাহরাম পুরুষদের দেখানো বা অহংকার প্রকাশের উদ্দেশ্যে না হয়, তাহলে সাজ-সজ্জার জন্য সে ছওয়াব পাবে এতে অন্যান্য মানুষ খুশী হোক বা নারাজ হোক কিছু যায় আসে না
[] সাজ-সজ্জা বিষয়ে যে সকল কাজ অকাট্য ভাবে শরীয়ত পরিপন্থী সেগুলো করা কোন ভাবেই মহিলাদের জন্য জায়েয নেই স্বামী বা অন্য কেউ যদি সকল কাজ করার হুকুম দেয় এবং তা পালন না করলে তারা অসন্তুষ্ট হয় তবে পরিস্থিতিতেও তা করা যাবে না

হাদিসে সুস্পষ্ট আছে অর্থাৎ আল্লাহ তাআলার অবাধ্যতামূলক কাজে সৃষ্টির আনুগত্য জায়েয নেই (সুনানে আবু দাউদ : হা. নং- ২২৫৬)
[] সাজ-সজ্জা বিষয়ে যে সকল কার্যকলাপ শরীয়ত অনুমোদিত বিষয়াবলীর আওতায় অর্থাৎ জায়েয আছে, সে ক্ষেত্রে স্বামী করার কথা বললে তার পূর্ণ আনুগত্য করা স্ত্রীর কর্তব্য সম্পর্কে হাদীসের ভাষ্য হল : আমি যদি কাউকে কারো জন্য সিজদাহ করার নির্দেশ দিতাম, তাহলে মহিলাদেরকে আদেশ করতাম তারা যেন আপন স্বামীদেরকে সিজদাহ করে (তিরমিযী শরীফ : হা. নং- ১০৭৯)

[] সাজ-সজ্জার ক্ষেত্রে অমুসলিমদের অনুসরণ অনুকরণ করা যাবে না তাদের বিশেষ বিশেষ নিয়ম-নীতি মান্য করা যাবে না এমনকি ব্যাপারে স্বামীর কথাও মান্য করা যাবে না

No comments

Powered by Blogger.