প্র্রশ্ন : সাজ-সজ্জা বিষয়ে ইসলামের মৌলিক দিক নির্দেশনা কী?
উত্তর : সাজ-সজ্জা সম্পর্কে চারটি মৌলিক বিষয় মহিলাদের স্মরণ রাখতে হবে।
[১] সাজ-সজ্জার ক্ষেত্রে অবশ্যই নিজের নিয়ত ঠিক করে নিতে হবে। অহংকার ভাব প্রকাশ অথবা পর পুরুষ বা অন্য মহিলাদের দেখানো এবং তাদের সাথে গর্ববোধ করার উদ্দেশ্যে পোশাক-পরিচ্ছেদ পরিধান করা এবং সাজ-গোজ গ্রহণ করা নাজায়েয, এ জন্য গোনাহগার হতে হবে।
তেমনি অতিরিক্ত সাজ-সজ্জা ও রূপচর্চা শরীয়ত পছন্দ করে না। মহিলারা সাজ-গোজ করবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু এটাকে নিত্য প্রয়োজনীয় কাজ হিসেবে রুটিন বানিয়ে নেয়া এবং বিভিন্ন পদ্ধতিতে নিজেকে সাজানোর চিন্তায় মগ্ন থাকা, সর্বক্ষণ মন-মানসিকতাকে এ কাজে ব্যস্ত রাখা এটা আদর্শ মুসলিম মহিলাদের স্বভাব বিরোধী। যারা উত্তম আদর্শে ও সুন্দর চরিত্রে সজ্জিত হতে চায় তাদের আবার কৃত্রিম ও অপ্রয়োজনীয় সাজ-গোজের পিছনে সময় নষ্ট করার অবকাশ কোথায়?
তবে মহিলারা শরীয়তের পরিসীমার মধ্যে যে সাজ-সজ্জা করবে তা যদি স্বামীর খুশী করার উদ্দেশ্যে হয়, অন্য কোনো মহিলা বা নামাহরাম পুরুষদের দেখানো বা অহংকার প্রকাশের উদ্দেশ্যে না হয়, তাহলে এ সাজ-সজ্জার জন্য সে ছওয়াব পাবে। এতে অন্যান্য মানুষ খুশী হোক বা নারাজ হোক কিছু যায় আসে না।
[২] সাজ-সজ্জা বিষয়ে যে সকল কাজ অকাট্য ভাবে শরীয়ত পরিপন্থী। সেগুলো করা কোন ভাবেই মহিলাদের জন্য জায়েয নেই। স্বামী বা অন্য কেউ যদি এ সকল কাজ করার হুকুম দেয় এবং তা পালন না করলে তারা অসন্তুষ্ট হয় তবে এ পরিস্থিতিতেও তা করা যাবে না।
হাদিসে সুস্পষ্ট আছে ঃ অর্থাৎ ঃ আল্লাহ তা’আলার অবাধ্যতামূলক কাজে সৃষ্টির আনুগত্য জায়েয নেই। (সুনানে আবু দাউদ : হা. নং- ২২৫৬)
[৩] সাজ-সজ্জা বিষয়ে যে সকল কার্যকলাপ শরীয়ত অনুমোদিত বিষয়াবলীর আওতায় অর্থাৎ জায়েয আছে, সে ক্ষেত্রে স্বামী করার কথা বললে তার পূর্ণ আনুগত্য করা স্ত্রীর কর্তব্য। এ সম্পর্কে হাদীসের ভাষ্য হল : আমি যদি কাউকে কারো জন্য সিজদাহ করার নির্দেশ দিতাম, তাহলে মহিলাদেরকে আদেশ করতাম তারা যেন আপন স্বামীদেরকে সিজদাহ করে। (তিরমিযী শরীফ : হা. নং- ১০৭৯)
[৪] সাজ-সজ্জার ক্ষেত্রে অমুসলিমদের অনুসরণ ও অনুকরণ করা যাবে না। তাদের বিশেষ বিশেষ নিয়ম-নীতি মান্য করা যাবে না। এমনকি এ ব্যাপারে স্বামীর কথাও মান্য করা যাবে না।
তেমনি অতিরিক্ত সাজ-সজ্জা ও রূপচর্চা শরীয়ত পছন্দ করে না। মহিলারা সাজ-গোজ করবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু এটাকে নিত্য প্রয়োজনীয় কাজ হিসেবে রুটিন বানিয়ে নেয়া এবং বিভিন্ন পদ্ধতিতে নিজেকে সাজানোর চিন্তায় মগ্ন থাকা, সর্বক্ষণ মন-মানসিকতাকে এ কাজে ব্যস্ত রাখা এটা আদর্শ মুসলিম মহিলাদের স্বভাব বিরোধী। যারা উত্তম আদর্শে ও সুন্দর চরিত্রে সজ্জিত হতে চায় তাদের আবার কৃত্রিম ও অপ্রয়োজনীয় সাজ-গোজের পিছনে সময় নষ্ট করার অবকাশ কোথায়?
তবে মহিলারা শরীয়তের পরিসীমার মধ্যে যে সাজ-সজ্জা করবে তা যদি স্বামীর খুশী করার উদ্দেশ্যে হয়, অন্য কোনো মহিলা বা নামাহরাম পুরুষদের দেখানো বা অহংকার প্রকাশের উদ্দেশ্যে না হয়, তাহলে এ সাজ-সজ্জার জন্য সে ছওয়াব পাবে। এতে অন্যান্য মানুষ খুশী হোক বা নারাজ হোক কিছু যায় আসে না।
[২] সাজ-সজ্জা বিষয়ে যে সকল কাজ অকাট্য ভাবে শরীয়ত পরিপন্থী। সেগুলো করা কোন ভাবেই মহিলাদের জন্য জায়েয নেই। স্বামী বা অন্য কেউ যদি এ সকল কাজ করার হুকুম দেয় এবং তা পালন না করলে তারা অসন্তুষ্ট হয় তবে এ পরিস্থিতিতেও তা করা যাবে না।
হাদিসে সুস্পষ্ট আছে ঃ অর্থাৎ ঃ আল্লাহ তা’আলার অবাধ্যতামূলক কাজে সৃষ্টির আনুগত্য জায়েয নেই। (সুনানে আবু দাউদ : হা. নং- ২২৫৬)
[৩] সাজ-সজ্জা বিষয়ে যে সকল কার্যকলাপ শরীয়ত অনুমোদিত বিষয়াবলীর আওতায় অর্থাৎ জায়েয আছে, সে ক্ষেত্রে স্বামী করার কথা বললে তার পূর্ণ আনুগত্য করা স্ত্রীর কর্তব্য। এ সম্পর্কে হাদীসের ভাষ্য হল : আমি যদি কাউকে কারো জন্য সিজদাহ করার নির্দেশ দিতাম, তাহলে মহিলাদেরকে আদেশ করতাম তারা যেন আপন স্বামীদেরকে সিজদাহ করে। (তিরমিযী শরীফ : হা. নং- ১০৭৯)
[৪] সাজ-সজ্জার ক্ষেত্রে অমুসলিমদের অনুসরণ ও অনুকরণ করা যাবে না। তাদের বিশেষ বিশেষ নিয়ম-নীতি মান্য করা যাবে না। এমনকি এ ব্যাপারে স্বামীর কথাও মান্য করা যাবে না।
No comments