ইসলামিক সাধারণ জ্ঞান বিষয় " সাওম"
প্রশ্নঃ সাওম শব্দের অর্থ কি?
উত্তরঃ বিরত থাকা, পরিত্যাগ করা।
প্রশ্নঃ সাওম কত প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ সাওম ৬ প্রকার। যথা ঃ ১। ফরজ। ২। ওয়াজিব। ৩। সুন্নাত। ৪। নফল। ৫। মাকরুহ। ৬। হারাম।
প্রশ্নঃ সাওম কত দিন ফরজ?
উত্তরঃ সাওম পূর্ণ রমজান মাস ফরজ।
প্রশ্নঃ মুসলমানদের উপর সাওম ফরজ করা হয় কখন?
উত্তরঃ দ্বিতীয় হিজরীর রমজান মাসে।
প্রশ্নঃ সাওম ফরজ করার উদ্দেশ্য কি?
উত্তরঃ তাকওয়া অর্জন করা।
প্রশ্নঃ সাওম ফরজ হওয়া সম্পর্কে কোন সূরায় কত নম্বার আয়াতে নির্দেশ হয়েছে?
উত্তরঃ সূরা বাকারার ১৮৩ নং আয়াতে।
প্রশ্নঃ কোন সাওম পালন করা ওয়াজিব?
উত্তরঃ মান্নতের ও কাফ্ফারার সাওম।
প্রশ্নঃ বছরে কয় দিন ও কোন কোন দিন সাওম পালন করা নিষেধ?
উত্তরঃ বছরে পাঁচ দিন সাওম পালন করা নিষেধ। যথা ঃ ১। ঈদুল ফিতরের দিন। ২। ঈদুল আযহার দিন। ৩। যিলহজ্জ মাসের ১১,১২,১৩ তারিখ।
প্রশ্নঃ নফল রোজা কি কি?
উত্তরঃ ১। শাওয়াল মাসের ৬টি রোজা। ২। সোমবার ও বৃহস্পতিবারের রোজা। ৩। শাবানের ১৪, ১৫ তারিখের রোজা। ৪। জিলহজ্জ মাসের ১-৯ তারিখের রোজা।
প্রশ্নঃ সাওম ওয়াজিব হওয়ার শর্ত কয়টি ও কি কি?
উত্তরঃ সাওম ফরজ হওয়ার শর্ত ৪টি। যথা ঃ ১। মুসলমান হওয়া। ২। বালিগ হওয়া। ৩। আকল অর্থাৎ বুঝমান হওয়া। ৪। সক্ষম হওয়া।
প্রশ্নঃ সাওম ছহীহ হওয়ার শর্ত কয়টি ও কি কি?
উত্তরঃ সাওম ছহীহ হওয়ার শর্ত ৩টি। যথা ঃ ১। মুসলমান হওয়া। ২। মহিলাদের হায়েজ থেকে পবিত্র হওয়া। ৩। নিয়ত করা।
প্রশ্নঃ সাওমের মধ্যে কতটি বিষয় থেকে বিরত থাকা ফরজ ও কি কি?
উত্তরঃ ৩টি বিষয় থেকে বিরত থাকা ফরজ। ১. কোন কিছু খাওয়া। ২. পান করা। ৩. যৌন বাসনা পুরা করা।
প্রশ্নঃ রোজাদারের জন্য সুন্নাত ও মুস্তাহাব কাজ কি?
উত্তরঃ ১. সেহরী খাওয়া। ২. সেহরী শেষ সময়ে খাওয়া। ৩. সেহরী খাওয়ার সাথে সাথে নিয়ত করা। ৪. খেজুর বা পানি দিয়ে ইফতার করা। ৫. সকল গর্হিত কাজ হতে সংযমে থাকা।
প্রশ্নঃ রোজার কাফ্ফারা বলতে কি বুঝায়?
উত্তরঃ রোজা রেখে বিনা কারণে ভেঙ্গে ফেললে তা কাযা এবং কাফ্ফারা উভয়ই করতে হয়।
প্রশ্নঃ কাফ্ফারা কিরূপ?
উত্তরঃ রোজার কাফ্ফারা হলো- ১। একজন গোলাম কে আজাদ করা। ২। এতে অক্ষম হলে একধারে দু’মাস রোজা রাখা। ৩। এতে অক্ষম হলে ৬০ জন মিসকিন কে পরিতৃপ্তির সাথে দু’বেলা খাওয়ানো।
প্রশ্নঃ তারাবীহর নামায আদায় করা কি?
উত্তরঃ তারাবীহর নামায আদায় করা সুন্নাত।
প্রশ্নঃ ফিতরা কার উপর ওয়াজিব?
উত্তরঃ ঈদের দিন সুবহে সাদিকের সময় যে ব্যক্তির হাতে জীবিকা নির্বাহের অত্যাবশ্যকীয় উপকরণ ব্যতীত সাড়ে সাত তোলা সোনা অথবা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপা অথবা সমমূল্যের অন্যকোন সম্পদ থাকে তার উপর ফিতরা ওয়াজিব।
প্রশ্নঃ ফিতরার পরিমান কি?
উত্তরঃ মাথা পিছু নিসফে ‘সা’ অর্থাৎ প্রায় পৌনে দু’সের গম বা তার মূল্য।
প্রশ্নঃ ফিতরা কখন আদায় করতে হয়?
উত্তরঃ ঈদুল ফিতরের নামাযের পূর্বে।
প্রশ্নঃ রমজান মাসে ইবাদতের নিয়তে মসজিদে অবস্থান করাকে কি বলে।
উত্তরঃ ইতিকাফ বলে।
প্রশ্নঃ ইতিকাফ করার সময় কি কি কাজ করা মুস্তাহাব?
উত্তরঃ ১. যিকির করা। ২. কুরআন তিলাওয়াত করা। ৩. দুরুদ শরীফ পড়া। ৪. দ্বীনি সম্পর্কে পড়াশুনা করা। ৫. দ্বীন বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা।
No comments