ইসলামিক সাধারণ জ্ঞান বিষয় " হজ্জ"
প্রশ্নঃ হজ্জ ইসলামের কততম স্তম্ব?
উত্তরঃ হজ্জ ইসলামের চতুর্থতম স্তম্ব।
প্রশ্নঃ হজ্জ কাকে বলে?
উত্তরঃ নিদৃষ্ট নিয়মে, নিদির্ষ্ট সময়ে, কতগুলো কার্যাবলীর মাধ্যমে কা’বা শরীফ ও অন্যান্য নিদির্ষ্ট স্থান প্রদক্ষিণ করাকে হজ্জ বলে।
প্রশ্নঃ হজ্জের মূলসময় কখন?
উত্তরঃ জিলহজ্জ মাসের ৮ থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত।
প্রশ্নঃ হজ্জ কাদের জন্য ফরজ?
উত্তরঃ যার নিকট মক্কা শরীফ থেকে হজ্জ করে ফিরে আসা পর্যন্ত পরিবারের আবশ্যকীয় খরচ বাদে মক্কা শরীফ যাতায়াতের মোটামুটি খরচ পরিমাণ অর্থ থাকে তার উপর হজ্জ ফরয।
প্রশ্নঃ হজ্জের ফরজ কয়টি ও কি কি?
উত্তরঃ হজ্জের ফরজ ৩টি। যথা ঃ ১. ইহরাম বাঁধা। ২. আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা। ৩. ঊায়তুল্লাহ-এর তাওয়াফে জিয়ারত করা।
প্রশ্নঃ হজ্জের ওয়াজিব কয়টি ও কি কি?
উত্তরঃ হজ্জের ওয়াজিব ৭টি। যথা ঃ ১. মীকাত হতে ইহরাম বাঁধা। ২. আরাফার ময়দানে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান করা। ৩. মুজদালিফার প্রান্তরে রাত যাপন করা। ৪. আইয়্যামে তাশরীকের রাতগুলো মিনায় কাটানো। ৫. মাথা মুন্ডানো বা পূর্ণমাথার সমস্ত চুলের আগা কেটে ফেলা। ৬. তিন জামরায় পাথর নিক্ষেপ করা। ৭. বিদায়ী তাওয়াফ করা।
প্রশ্নঃ ইহরাম বাঁধার স্থানকে কি বলে?
উত্তর ঃ ইহরাম বাঁধার স্থানকে মীকাত বলে।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশীদের জন্য মীকাত কোনটি?
উত্তরঃ ইয়ালামলাম নামক স্থান।
প্রশ্নঃ হাজীরা পাথর নিক্ষেপ করে কোথায়?
উত্তরঃ জামারাতে।
প্রশ্নঃ আরাফায় অবস্থান করাকে কি বলে?
উত্তরঃ উকুফে আরাফা বলে।
প্রশ্নঃ পাথর নিক্ষেপ করা হাজীদের জন্য কি ধরনের কাজ?
উত্তরঃ ওয়াজিব কাজ।
প্রশ্নঃ ইহরাম থেকে হাজীরা মুক্তি লাভ করে কোন তারিখে?
উত্তরঃ ১০ই জিলহজ্জ।
প্রশ্নঃ হজ্জের সময় কোন পর্বতের মধ্যে কতবার দৌঁড়াতে হয়?
উত্তরঃ সাফা ও মারওয়া পর্বতের মধ্যে সাত বার দৌঁড়াতে হয়।
প্রশ্নঃ হজ্জের সময় কোথায় কুরবানী দিতে হয়?
উত্তরঃ মিনায়।
প্রশ্নঃ কোথায় হাজীরা উম্মুক্ত আকাশের নিচে রাত যাপন করে?
উত্তরঃ মুজদালিফায়।
প্রশ্নঃ হজ্জের মীকাত কয়টি ও কি কি?
উত্তর ঃ হজ্জের মীকাত ৫টি। যথা ঃ ১. যুলহুলায়ফা। ২. যাতে ইরাক। ৩. যুহফাহ। ৪. কারনুল মানাযেল। ৫. ইয়ালামলাম।
প্রশ্নঃ হজ্জ কত প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ হজ্জ তিন প্রকার। যথা ঃ ১. ইফরাদ। ২. তামাত্তু। ৩. কিরাণ।
প্রশ্নঃ উমরার জন্য নির্দিষ্ট কোন তারিখ আছে কি না?
উত্তরঃ না উমরার জন্য নির্দিষ্ট কোন তারিখ নেই। তবে জিলহজ্জ মাসের ৯ থেকে ১৩ তারিখ পর্যন্ত এই পাঁচ দিন উমরা করা যায় না।
প্রশ্নঃ আশহুরে হজ্জ বলতে কোন কোন মাসকে বুঝানো হয়?
উত্তরঃ শাওয়াল, যিলকাদ, যিলহজ্জ মাসকে বুঝানো হয়।
প্রশ্নঃ বিদায় হজ্জের ভাষণ মহানবী (সাঃ) কোথায় দিয়েছিলেন?
উত্তর ঃ আরাফার ময়দানে।
প্রশ্নঃ বিদায়ী তাওয়াফ কোন শ্রেণীর হাজীদের জন্য করতে হয়?
উত্তরঃ বহিরাগত হাজীদের জন্য।
প্রশ্নঃ একই ইহরামে উমরা ও হজ্জ করাকে কি বলে?
উত্তরঃ হজ্জে কিরান বলে।
প্রশ্নঃ জান্নাতুল বাকি কি?
উত্তরঃ মদীনা শরীফের একটি গোরস্থান।
প্রশ্নঃ শয়তানকে কংকর নিক্ষেপের ও কুরবানী করার স্থান কোথায়?
উত্তরঃ মীনা প্রান্তরে।
প্রশ্নঃ আরাফার ময়দান কোথায় অবস্থিত?
উত্তরঃ মক্কা শরীফ হতে ৮/৯ মাইল দূরে।
প্রশ্নঃ কোন পাহাড়কে জাবালে রহমত বলা হয়?
উত্তরঃ আরাফার ময়দান সন্নিহিত সেই পাহাড়কে, যেখানে দাড়িয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিদায় হজ্জের ভাষণ দিয়েছিলেন।
প্রশ্নঃ বর্তমানে হাজরে আসওয়াদ কোথায় আছে?
উত্তরঃ পবিত্র কাবা গৃহের দক্ষিণ-পূর্ব কোণের দেয়ালে গাঁথা অবস্থায় রক্ষিত আছে।
প্রশ্নঃ তাওয়াফ কত প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ তাওয়াফ ৪ প্রকার। যথা ঃ ১. তাওয়াফে কুদুম। ২. তাওয়াফে যিয়ারত। ৩. তাওয়াফে বিদা। ৪. তাওয়াফে উমরা।
প্রশ্নঃ কোন স্থান থেকে কিভাবে তাওয়াফ শুরু করতে হয়?
উত্তরঃ হাজরে আসওয়াদ থেকে তাওয়াফ শুরু করতে হয় এবং খানায়ে কা’বা বাম পাশে রেখে সামনে অগ্রসর হতে হয়।
প্রশ্নঃ ইজতিবা কাকে বলে?
উত্তরঃ গায়ের চাদরকে ডান বগলেন নীচ দিয়ে ডান কাঁধ খালি রেখে বাম কাঁধের ওপর চাদরের দু’মাথা ফেলাকে ইযতিবা বলে।
প্রশ্নঃ কোন কোন তাওয়াফে ইযতিবা করতে হয়?
উত্তরঃ যে সমস্ত তাওয়াফের পর সাঈ আছে।
প্রশ্নঃ হাজরে আসওয়াদ কি?
উত্তরঃ হাজরে আসওয়াদ সেই বেহেশতী পাথর যাতে চুম্বন করলে তা সমস্ত গুনাহ চুষে নেয়।
প্রশ্ন কোন পাথরকে মাকামে ইবরাহীম বলে?
উত্তরঃ হযরত ইবরাহীম (আঃ) এর কদম মুবারকের চিিহ্নত সেই পাথরকে যার উপর দাঁড়িয়ে তিনি কা’বা ঘর নির্মাণ করেছিলেন।
প্রশ্নঃ হজ্বের কোন ফরয অনাদায় থাকলে হজ্জ হবে কি?
উত্তরঃ না। হজের একটি ফরজও অনাদায় থাকলে আদৌ হজ্জ হবে না।
প্রশ্নঃ ‘হাতীম’ কাকে বলে?
উত্তর ঃ কা‘বা ঘরের উত্তর দিকের অর্ধ-চন্দ্রাকৃতি দেয়াল ঘেরা বারান্দাকে হাতীম বলে।
প্রশ্নঃ গারে-হেরা কি?
উত্তর ঃ মক্কার অনতিদূরে অবস্থিত ‘হেরা’ নামক পর্বতের একটি গুহা। এখানে হুযূর (সাঃ) ধ্যান-মগ্ন অবস্থায় অনেকদিন কাটিয়েছেন এবং এখানেই তাঁর উপর সর্বপ্রথম ‘ওহী’ নাযিল হয়।
No comments