রোকনে ইয়ামেনিতে যে দোয়া পড়তেন বিশ্বনবি

কাবা শরিফের দক্ষিণ পশ্চিম কোনাকেই বলা হয় রোকনে ইয়ামেনি। কাবা শরিফের কোনো থেকে পুরো দক্ষিণ পাশ অতিক্রম করার সময় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি দোয়া পড়তেন। যে দোয়ায় দুনিয়া পরকালের রহমত কামনা এবং জাহান্নামের আগুন থেকে বেঁচে থাকার আকুতি ছিল।

যারা কাবা শরিফ তাওয়াফ করবে, তাদের উচিত প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পঠিত সে দোয়া বেশি বেশি পড়া। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নির্দেশনা ছিল রোকনে ইয়ামেনি স্পর্শ করা। কোনো স্পর্শ করার ফজিলতও তিনি ঘোষণা করেছেন। সুতরাং রোকনে ইয়ামেনি কোনা স্পর্শ করে বেশি বেশি দোয়াটি করা। হাদিসে এসেছে-

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে সায়েব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দুই রোকনের (হাজরে আসওয়াদ রোকনে ইয়ামেনির) মধ্যবর্তী স্থানে দোয়া করতে শুনেছি-
رَبَّنَا أَتِنَا فِى الدُّنْيَا حَسَنَةً وَ فِى الْأَخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
উচ্চারণ : ‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাও ওয়াফিল আখিরাতি হাসানাতও ওয়াক্বিনা আজাবান নার।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ২০১)

অর্থ : হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে দুনিয়া আখেরাতের কল্যাণ দান করুন এবং জাহান্নামের আজাব থেকে নাজাত দান করুন।’ (আবু দাউদ, মিশকাত)

উল্লেখ্য যে, শুধু পবিত্র কাবা শরিফ তাওয়াফকারীর জন্যই আল্লাহ তাআলা ৬০টি রহমত নির্ধারণ করেছেন। তাই আল্লাহর রহমত লাভে বেশি বেশি তাওয়াফ করার পাশাপাশি দুনিয়া পরকালের সফলতা মুক্তিতে কুরআনের উল্লেখিত দোয়াটি বেশি বেশি পড়া।

আল্লাহ তাআলা হজ ওমরা পালনকারীসহ সব তাওয়াফকারীকেই বিশ্বনবি ঘোষিত দোয়াটি বেশি বেশি পড়ে দুনিয়া পরকালের স্বচ্ছলতা সফলতা লাভ করার তাওফিক দান করুন। জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দান করুন। আমিন।

No comments

Powered by Blogger.