জিকির ও ইবাদতের সামর্থ লাভের দোয়া

সাহাবায়ে কেরামের প্রতি প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিভিন্ন সময় ইবাদত আমলের দিক-নির্দেশনা দিতেন। প্রিয়নবির সেসব দিক-নির্দেশনা মুসলিম উম্মাহর জন্য এখনও সংরক্ষিত।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একবার সাহাবি হজরত মুয়াজ রাদিয়াল্লাহু আনহুকে সার্বক্ষণিক জিকিরের সাওয়াব পাওয়ার একটি আমলের দিক-নির্দেশনা দিয়ে অসিয়ত করেন। যাতে তিনি প্রত্যেক নামাজের পর দোয়াটি পাঠ করেন-

اللَّهُمَّ أَعِنِّي عَلَى ذِكْرِكَ وَشُكْرِكِ وَحُسْنِ عِبَادَتِكِ

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা -ইন্নি আলা জিকরিকা ওয়া শুকরিকা ওয়া হুসনি ইবাদাতিক। ‘ (মুসনাদে আহমদ, নাসাঈ, আবু দাউদ, মিশকাত)

অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তুমি আমাকে সাহায্য কর- যেন আমি তোমাকে স্মরণ করতে পারি, তোমার কৃতজ্ঞতা জ্ঞপন করতে পারি এবং একনিষ্ঠিভাবে তোমার ইবাদত-বন্দেগি করতে পারি।

মনে রাখতে হবে
সব মানুষই চায় সে যেন সঠিক গ্রহণযোগ্য ইবাদাত-বন্দেগিতে নিজেদের নিয়োজিত রাখতে পারে। সব আমল-ইবাদাত যেন আল্লাহর দরবারে গ্রহণযোগ্য হয়।

সুতরাং প্রিয়নবি ঘোষিত দোয়ার ফলে মানুষ সব সময় আল্লাহর জিকির ইবাদতে নিয়োজিত রাখতে সক্ষম হবে। কারণেই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সব মানুষের শিক্ষা গ্রহণের জন্য হজরত মুয়াজ রাদিয়াল্লাহু আনহুকে নিয়মিত নামাজের পর দোয়া পড়ার দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন।

ওয়ারাসাতুল আম্বিয়া খ্যাত আলেমগণও আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে কুরআন সুন্নাহ মোতাবেক ইবাদত আমলগুলো যথাযথ পালন করতে কিংবা আল্লাহর স্মরণে নিজেদের নিয়োজিত রাখতে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সে হাদিসেরই দিক-নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন। সে অনুযায়ী ইবাদত আমল করা মুসলিম উম্মাহর একান্ত দায়িত্ব কর্তব্য।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নির্ধারিত ফরজ ইবাদতগুলো সময়মতো আদায় করার তাওফিক দান করুন। হাদিসে ঘোষিত আমলগুলো যথাযথ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

No comments

Powered by Blogger.