কাবা শরিফের কোনা স্পর্শ ও তাওয়াফে যে প্রতিদান পাবেন হাজি

সারাবিশ্ব থেকেই হজ উপলক্ষ্যে মুসলিম উম্মাহ কাবামুখী। দিন দিন বাড়ছে ভিড়। দিন যত যাচ্ছে তাদের জন্য কাবা শরিফের কোনা স্পর্শ করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ছে। হাদিসে পাকে কাবা শরিফে কোনা তথা হাজরে আসওয়াদ রোকনে ইয়ামেনি স্পর্শ করায় রয়েছে বিশেষ ফজিলত।

তাছাড়া কাবা শরিফ তাওয়াফে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ তাৎপর্য। আল্লাহ তাআলা প্রতিদিন কাবা শরিফে ১০০টি রহমত বর্ষণ করেন। এর মধ্যে শুধুমাত্র তাওয়াফকারীদের জন্যই রয়েছে ৬০টি রহমত।

হাদিসে পাকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কাবা শরিফের কোনা স্পর্শ তাওয়াফের গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত বর্ণনা করেছেন। আর তাহলো-

>> রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রোকনে ইয়ামেনি তথা ইয়ামেনি কোনা এবং হাজরে আসওয়াদ তথা হাজরে আসওয়াদ কোনো স্পর্শ করবে, তার সব গোনাহ ঝরে পড়বে।’ (ইবনে খোজায়মা, নাসাঈ)

>> রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেন, ‘যে ব্যক্তি কাবা শরিফ ( চক্করে) তাওয়াফ (সম্পন্ন) করবে এবং শেষে (মাকামে ইবরাহিমে) দুই রাকাআত নামাজ পড়বে, সে যেন একটি গোলাম আজাদ করলো। সময় (তাওয়াফকারীর প্রতিটি) পদক্ষেপে একটি করে গোনাহ ঝরে পড়ে এবং একটি করে নেকি লেখা হয়।’ (তিরমিজি, মিশকাত)

ফজিলত শুধু হজ মৌসুমেই নয় বরং বছরজুড়ে যারাই কাবা শরিফ পরিদর্শনে যাবে এবং হাজরে আসওয়াদ রোকনে ইয়ামেনি স্পর্শ করে তাওয়াফ সম্পন্ন করবে তাদের জন্য ফজিলত ঘোষণা করেছেন বিশ্বনবি।

যদিও হজ মৌসুমে হাজরে আসওয়াদ রোকনে ইয়ামেনি স্পর্শ করা অনেক কঠিন কষ্টসাধ্য কাজ। তাই সম্ভব না হলে একনিষ্ঠ নিয়তে দূর থেকে উভয় হাত কাঁধ পর্যন্ত ওঠিয়ে ইশার করে তাওয়াফ সম্পন্ন করলে তাওয়াফ সম্পন্ন করবে।

হজ ওমরাহ মৌসুমে আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কাবা শরিফের তাওয়াফ সম্পন্ন করার পাশাপাশি হাজরে আসওয়াদ রোকনে ইয়ামেনি স্পর্শ করার মাধ্যমে হাদিসে ঘোষিত ফজিলত লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।

No comments

Featured Post

দোয়া-ই নুর- Doya e Nur

Powered by Blogger.