যে আমল বেশি করার নির্দেশ দিয়েছেন আল্লাহ

আল্লাহ তআলা মানুষকে তার ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন। ইবাদত-বন্দেগির মূল বিষয় হলো আল্লাহকে সব সময় স্মরণ করা। আল্লাহ তাআলাকে স্মরণ করতে অনেক বেশি নির্দেশ রয়েছে কুরআনে। আল্লাহ তাআলা বলেন-

- ‘হে ঈমানদাররা! তোমরা অধিক পরিমাণে আল্লাহর জিকির বা আল্লাহকে স্মরণ কর।’ (সুরা আহজাব : আয়াত ৪১)
- ‘
তোমরা অনেক বেশি জিকির কর, তবেই সফলকাম হতে পারবে।’ (সুরা আনফাল : আয়াত ৪৫)
- ‘
অতপর নামাজ শেষ হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ তালাশ কর আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।' (সুরা জুমআ : আয়াত ১০)

এভাবে মহান আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ করার ব্যাপারে অনেক নির্দেশনা এসেছে কুরআনে। আবার হাদিসে পাকে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অনেক উত্তম মর্যাদাসম্পন্ন জিকিরের কথা বলেছেন। সব শব্দে মহান আল্লাহকে ডাকার প্রতি তাগিদ দিয়েছেন। জিকিরের মধ্যে শ্রেষ্ঠ জিকির সম্পর্কে হাদিসে এসেছে-

হজরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, সর্বশ্রেষ্ঠ জিকির হলো- لا إله إلا الله ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহআর সর্বোত্তম দোয়া হলো- আলহামদুলিল্লাহ। (মুসতাদরাকে হাকেম)

সর্বোত্তম জিকির সম্পর্কে হাদিসের অন্য বর্ণনায় এসেছে-
হজরত আবু সাঈদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মুসা আলাইহিস সালাম একবার আল্লাহর কাছে আরজ করেন, ‘হে আল্লাহ! আপনি আমাকে এমন একটি দোয়া শিখিয়ে দিন, যার মাধ্যমে আমি আপনার জিকির করব এবং আপনার কাছে প্রার্থনা করব। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বললেন- হে মুসা! তুমি বল- لا إله إلا الله ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ

হজরত মুসা আলাইহিস সালাম বললেন, হে আল্লাহ! আপনার সব বান্দাই তো এই জিকির করে।
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বললেন, তুমি বল لا إله إلا الله ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ
হজরত মুসা আলাইহিস সালাম বললেন, ‘হে আল্লাহ! আপনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই।
কিন্তু আমি চাইছি আমাকে বিশেষ একটি দোয়া শিখিয়ে দেবেন; যা কেবল আমার জন্য হবে।
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বললেন, হে মুসা! আমি ছাড়া সাত আসমান, সাত জমিন তার মাঝে যা রয়েছে সবকিছু যদি এক পাল্লায় থাকে আর لا إله إلا اللهলা ইলাহা ইল্লাল্লাহঅপর পাল্লায় থাকে তাহলে لا إله إلا اللهলা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’-এর পাল্লা ভারী হবে।' (মুসতাদরাকে হাকেম)

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত ওঠা-বসা, চলাফেরায় অবসর সময়ে জিকির বেশি বেশি পাঠ করা। আল্লাহর একত্মবাদের ঘোষণায় নিজের জিহ্বাকে সচল রাখা। তবেই মহান আল্লাহর কাছে সর্বোচ্চ সফলতা লাভ করবে মুমিন।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসের ঘোষণা অনুযায়ী সর্বোত্তম জিকির لا إله إلا الله লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’-এর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

No comments

Featured Post

চাকরি লাভের আমল, রিজিকে বরকত লাভের দোয়া

রিজিকে বরকত লাভে যেভাবে দোয়া করেছেন ঈসা ( আ .)

Powered by Blogger.