ইফতারে করণীয় কী?
ইফতার ও সেহরি রমজানের অন্যতম ইবাদত। রাতের শেষ ভাগে সেহরি খাওয়া যেমন সুন্নাত ও কল্যাণের তেমনি দ্রুত ইফতার করায় রয়েছে বিশেষ কল্যাণ। এ কল্যাণ পেতে রোজাদারের ইফতারে রয়েছে বিশেষ করণীয়। সেগুলো কী?
ইফতারের সময় করণীয়
১. সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করা।
২. ইফতারের সময় অন্য কাজে ব্যস্ত না হয়ে ইফতার করা।
৩. ইফতারের সময় বেশি বেশি দোয়া ও ক্ষমা প্রার্থনা করা।
৪. খেজুর, সাদা পানি কিংবা দুধ দিয়ে ইফতার করে মাগরিবের নামাজ জামাআতে পড়া।
৫. ইফতারে দেরি করে মাগরিবের জামাত তরক না করা।
৬. ইফতারের সময় ভারী খাবার না খাওয়া। মাগরিব আদায় করে তৃপ্তিসহ পরিমাণ মতো খাবার খাওয়া। আর তাতে শরীর থাকে সুস্থ ও সবল। ইফতারের সময় অতিরিক্ত খাবার খেলে জামাত ও ইবাদত থেকে বঞ্চিত হতে হয়।
রোজার নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হয়ে গেলে রোজা খোলা বা ইফতার করার জন্য প্রত্যেক রোজাদারের অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করাটাই স্বাভাবিক। আর সেই সময় যে তার রোজা পূর্ণ করতে পারে প্রকৃতিগতভাবে সে খুশী হয়। অতএব ইফতার করতে তাড়াতাড়ি করাটাই স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু তা সত্ত্বেও নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের দ্রুত ইফতার করতে নির্দেশ দিয়েছেন এবং জানিয়েছেন যে, তাতে আমাদের মঙ্গল আছে। তিনি বলেন, ‘লোকেরা ততক্ষণ মঙ্গলে থাকবে, যতক্ষণ তারা (সূর্য ডোবার পর নামাজের আগে) ইফতার করতে তাড়াতাড়ি করবে।’ (বুখারি ১৯৫৭, মুসলিম ১০৯৮)
যেহেতু ইহুদি ও খ্রিস্টানরা রোজা রেখে দেরি করে ইফতার করে, তাই তিনি আমাদেরক তাদের বিপরীত করতে আদেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘দ্বীন ততকাল বিজয়ী থাকবে, যতকাল লোকেরা ইফতার করতে তাড়াতাড়ি করবে। কারণ ইহুদি ও খ্রিস্টানরা দেরি করে ইফতার করে।’ (আবু দাউদ, মুস্তাদরাকে হাকেম, ইবনে হিববান)
সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শিগগির ইফতার করা নবুয়তের একটি আদর্শ। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘তিনটি কাজ নবুয়তের আদর্শের অন্তর্ভুক্ত; ১. জলদি ইফতার করা, ২. দেরি করে (শেষ সময়ে) সেহরি খাওয়া এবং নামাজে ডান হাতকে বাম হাতের উপর রাখা।’ (ত্বাবারানি, মাজমাউয যাওয়ায়েদ ২/১০৫)
No comments