আল্লাহর সর্বাধিক গুণ বর্ণনায় নাজিল হয় যে আয়াত
সুরা বাকারার ২৫৪নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা কেয়ামতের দিনের কথা উল্লেখ করেছেন। সেদিন কেউ কারো কোনো উপকারে আসবে না কোনো বন্ধুত্ব কাজে আসবে না মর্মে সতর্কবাণী ঘোষণা করা হয়েছে।
শুধুমাত্র আল্লাহ তাআলার দয়া-মায়া ব্যতিত কোনো উপায়ও থাকবে না। আর এ আয়াতে আল্লাহ তাআলার গুণাবলী ও তাঁর অনন্ত অসীম ক্ষমতা ও হুকুমত সম্পর্কে সুস্পষ্ট ভাষায় তিনি ঘোষণা করেন-
সুরা বাকারার ২৫৫নং আয়াতকে সবচেয়ে বড় আয়াত বলা হয়। এ আয়াতে আল্লাহ তাআলার অসীম ক্ষমতার গুণগুলোকে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। ফজিলত ও মর্যাদার কারণেই আয়াতুল কুরসি নামে এ আয়াতটি সমধিক পরিচিত। এর মর্যাদা ও ফজিলতও অনেক বেশি।
এ আয়াতে ১০টি বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। যার শুরু হয়েছে আল্লাহ তাআলার তাওহিদের ঘোষণা দিয়ে। আর শেষ হয়েছে আল্লাহ তাআলার শ্রেষ্ঠত্বের ঘোষণা দিয়ে। এ বিষয়গুলোর ধারাবাহিক আলোচনা করা হবে।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ আয়াতটির অনেক ফজিলত বর্ণনা করেছেন।
হজরত উবাই ইবনে কা’ব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, হে আবুল মুনজির!(উবাই ইবনে কা’ব-এর ডাক নাম) আল্লাহ তাআলার কিতাবে কোন আয়াতটি তোমার কাছে সবচেয়ে বড় তুমি জান কি?
আমি বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসুলই ভালো জানেন।
প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পুনরায় জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কুরআনের কোন আয়াতটি তোমার কাছে সবচেয়ে বড়; তা জান কি?
আমি বললাম, ‘(اَللهُ
لَا اِلَهَ اِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّوْمُ) আমি এ কথা বলতেই প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার (রাবি) বুকে একটি থাপ্পর দিয়ে বললেন, হে আবুল মুনজির! আল্লাহ তাআলা তোমার ইলমকে সতেজ করুন। (মুসলিম)
তাফসিরকারকগণ বলেছেন, ‘একটি বাগানে ভ্রমণ করার সময় হঠাৎ অন্য বাগানে পৌছে তার নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখলে যেমন দর্শক মাত্রেরই আনন্দের সীমা থাকে না; ঠিক তেমনি পবিত্র কুরআনের একটি বিষয়ের বর্ণনা করতে করতে হঠাৎ অন্য একটি প্রসঙ্গ উপস্থাপন পাঠক মাত্রেরই আরো অধিক জানার আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি পায়। এটি কুরআনুল কারিমের বর্ণনা শৈলীর অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
No comments