জুলুম থেকে বেঁচে থাকার কুরআনি দোয়া
সুখে-দুঃখে, বিপদে-আপদে, আনন্দ-ব্যথায়, হাসি-কান্নায় কী করণীয় তা বর্ণনা করেছেন সব যুগের আসমানি গ্রন্থে। যার প্রমাণ মিলে কুরআনুল কারিমেরও।
আল্লাহ তাআলা সব যুগের নবি-রাসুলদের উল্লেখযোগ্য ঘটনা ও উত্তম আমলগুলো তাঁর প্রিয়নবির উম্মতের জন্য উপহার স্বরূপ কুরআনুল কারিমে তুলে ধরেছেন।
অত্যাচারীর জুলুম-অত্যাচার থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে আল্লাহ তাআলার কাছে একনিষ্ঠভাবে প্রার্থনা করতে হবে।
যেভাবে সাহায্য প্রার্থনা করার নসিহত পেশ করেছেন হজরত মুসা আলাইহিস সালাম। তিনি তাঁর উম্মতদেরকে অত্যাচারী বনি ইসরাইল ও ফেরাউনের অত্যাচার নির্যাতনে আল্লাহ তাআলার ওপর পরিপূর্ণ আস্থা এবং বিশ্বাসের সঙ্গে সাহায্য কামনার নসিহত পেশ করেছিলেন।
হজরত মুসা আলাইহিস সালামের সে নসিহত এবং নিরাপরাদ বনি ইসরাইলের আবেদন আল্লাহর কাছে এতটাই প্রিয় হয়েছিল যে, তিনি প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উম্মতের জন্য এ নসিহতকে দোয়া হিসেবে কুরআনে উল্লেখ করেছেন। আর তাহলো-
উচ্চারণ : রাব্বানা লা তাঝআ'লনা ফিতনাতাল লিল ক্বাওমিজ জালিমিন। ওয়া নাঝঝিনা বিরাহমাতিকা মিনাল ক্বাওমিল কাফিরিন।’ (সুরা ইউনুস : আয়াত ৮৫-৮৬)
অর্থ : হে আমাদের প্রভূ! আমাদের ওপর এ জালেম কওমের শক্তি পরীক্ষা করিও না। আর আমাদেরকে অনুগ্রহ করে এই কাফেরদের কবল থেকে নাজাত দান কর।’
বনি ইসরাঈল সম্প্রদায় যখন আল্লাহর ওপর ভরসা করে উল্লেখিত দোয়া করেন। তখন আল্লাহ তাআলা বনি ইসরাঈল সম্প্রদায়কে ফেরাউনের ভয়াবহ জুলুম থেকে হেফাজত করেন এবং ফেরাউনকে তার দলবলসহ নীল নদে ডুবিয়ে ধ্বংস করে দেন।
আল্লাহ তাআলা সমগ্র মানবজাতিকে সব ধরনের বিপদ-আপদ তথা শত্রুর শত্রুতা থেকে হেফাজত করুন। কুরআন ও সুন্নাহ মোতাবেক জীবন-যাপন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
No comments