জালিমের জুলুম থেকে বাঁচার দোয়া
বিপদ-আপদ, দুঃখ-বেদনা ইত্যাদি মানুষের ওপর আসে। কিছু বিপদ আছে যা আল্লাহর পক্ষ হতে পরীক্ষামূলকভাবে বান্দার ওপর পতিত হয়। আর কিছু বিপদ-আপদ আছে যেগুলো একে অপরের ক্ষতির জন্য করে থাকে। এ সব পরিস্থিতিতে মানুষের ধৈর্য ধারণ করা উচিত। বিপদ-আপদে কিভাবে সাহায্য চাইতে হবে, আল্লাহ তাআলা বান্দাকে শিখিয়ে দিয়েছেন। তা তুলে ধরা হলো-رَبَّنَا لاَ تَجْعَلْنَا فِتْنَةً لِّلْقَوْمِ الظَّالِمِينَ - وَنَجِّنَا بِرَحْمَتِكَ مِنَ الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
উচ্চারণ- রাব্বানা লা তাঝআ`লনা ফিতনাতাল লিল ক্বাওমিয যা-লিমিন। ওয়া নাঝঝিনা বিরাহমাতিকা মিনাল ক্বাওমিল কাফিরিন। (সূরা ইউনুস : আয়াত ৮৫-৮৬)
অর্থ- হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের উপর এ জালেম কওমের শক্তি পরীক্ষা করিও না। আর আমাদেরকে অনুগ্রহ করে ছাড়িয়ে দাও এই কাফেরদের কবল থেকে।
উৎস : হজরত মুসা আলাইহিস সালামের প্রতি ঈমান আনয়ন করার পর ফিরাউন বনি ইসরাঈলের ওপর জুলুম অত্যাচার শুরু করে। তাঁরা মুসা আলাইহিস সালামকে এ বিষয়ে অবহিত করলে মুসা আলাইহিস সালাম আল্লাহর ওপর ভরসা করতে বলেন। তখন বনি ইসরাঈল সম্প্রদায় আল্লাহর ওপর ভরসা করেন। আল্লাহ বনি ইসরাঈল সম্প্রদায়কে ফিরাউনের ভয়াবহ জুলুম থেকে হেফাজত করেন এবং ফিরাউনকে তার দলবলসহ নীল নদে ডুবিয়ে মারেন।
আমাদের জন্য শিক্ষা-
এখনো মানুষ মানুষের ওপর অন্যায়ভাবে অত্যাচার-জুলুম করে থাকে। সব ধরনের অত্যাচারে আল্লাহ কাছে কুরআনের এ আয়াতের মাধ্যমে দোয়া করা। যাতে করে আল্লাহ তাআলা দুনিয়াবি অন্যায়-অত্যাচার, জুলুম-নির্যাতন থেকে হিফাজত করেন। যাবতীয় বিপদ ও মুসিবত দূর করে দেন। কেননা আল্লাহ তাআলা ফিরাউনের কবল থেকে বনি ইসরাঈল জাতিকে হিফাজত করেন। যাতে রয়েছে আমাদের জন্য অনেক শিক্ষণীয় বিষয়।
আমল
>> প্রত্যেক নামাজের পর এ দোয়াটি পাঠ করা।
>> সূরা ফালাক্ব, সূরা নাস ও সূরা ইখলাস সকাল-বিকাল তিনবার পাঠ করা।
পরিশেষে...
আল্লাহ তাআলা সমগ্র মানবজাতিকে সব ধরনের বিপদ-আপদ তথা শত্রুর শত্রুতা থেকে হিফাজত করুন। কুরআন ও সুন্নাহ মোতাবেক জীবন-যাপন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
আমাদের সঙ্গে থাকুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আমিন, ছুম্মা আমিন।
No comments