ধর্মীয় অতি আবেগ ও বাস্তবতা

ধর্মীয় অতি আবেগ ও বাস্তবতা
------------------------------------
যারা বলেন, "এতো সতর্ক হয়ে কি হবে?
মরণ থাকলে তো মরতে হবেই"। তাদের জন্য এই লেখা।
মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
.
╭✿╯নবী সাঃ মক্কার মুশরিকদের হত্যার ষড়যন্ত্র থেকে বাঁচার জন্য
 আবু বাকর রাঃ কে সাথে নিয়ে মক্কা ছেড়ে মদীনায় হিজরত
করেছিলেন কেন? আল্লাহই বা নির্দেশ দিলেন কেন?
আল্লাহ তো বলতে পারতেন,  জীবন-মৃত্যুর মালিক আল্লাহ।
 তাই মক্কা ছাড়বে না। কিন্তু বলেন নি কেন?
.
╭✿╯মদীনায় হিজরতের সময় নবী সাঃ ও আবু বাকর রাঃ
'গারে ছাওর' নামক  গুহায় আশ্রয় নিয়েছিলেন কেন?
তিনি তো বলতে পারতেন, গুহায় আশ্রয়  নেব কেন?
আল্লাহ চাইলে এমনিই বাঁচিয়ে দিবেন। বলতে পারতেন,
গুহায় আশ্রয় নেয়া তাওয়াক্কুল পরিপন্থী।
কিন্তু বলেননি কেন?
.
╭✿╯হিজরতের সময় বিপদের আশঙ্কায় মাদীনার স্বাভাবিক
 পথে উত্তর দিকে না গিয়ে উল্টা দিকে দক্ষিণ দিকের
অজানা- অচেনা পথে  গিয়েছিলেন কেন?
কাফির -মুশরিকদের থেকে আল্লাহই হিফাজত করবেন
জেনেও সতর্কতা অবলম্বন করলেন কেন?
.
╭✿╯ হিজরতের সময় পথ দেখানোর গাইড হিসেবে
আবদুল্লাহ ইবনু উরাক্বিতকে নিয়োগ করলেন কেন?
তিনি তো বলতে পারতেন, আল্লাহই আমাকে পথ
দেখিয়ে মাদীনায় পৌঁছে দিবেন। তা বলেন নি কেন?
.
╭✿╯রাসূল (সা) তায়েফে চরম ভাবে নির্যাতিত হয়ে
মাক্কায় ফিরে এসে মুত'ইম ইবনু 'আদী নামক একজন
মুশরিকের জিম্মায় কেন মক্কায় প্রবেশ করেছিলেন?
আল্লাহ ভরসা বলে তো তিনি ঢুকে যেতে পারতেন।
কিন্তু তা করেন নি কেন?
.

╭✿╯সামনে বিশাল সাগর, পেছনে ফেরাউনের বিশাল
 বাহিনী এমন অবস্থায়  মুসা আঃ কে আল্লাহ লাঠি দিয়ে
পানিতে আঘাত করতে বলেছিলেন কেন ? তিনি চাইলেতো
 এমনিতেই রাস্তা বানিয়ে দিতে পারতেন। কিন্তু দেননি কেন?
 .
╭✿╯ নূহ আঃ এর জাতির ওপর আল্লাহর দেয়া আযাব
থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহ নূহ আঃ কে একটা নৌকা
বানাতে বললেন কেন? আল্লাহ চাইলেতো নৌকা ছাড়াই
বন্যা থেকে বাঁচাতে পারতেন।  কিন্তু চাননি কেন?
.
╭✿╯ গাছ থকে খেঁজুর পাড়ার জন্য মারঈয়াম আঃ কে
 খেঁজুর গাছের গুঁড়ি ধরে নাড়া দিতে বলেছিলেন কেন?
 আল্লাহ চাইলেতো এমনিতেই গাছ থেকে খেঁজুর ফেলতে পারতেন।
কিন্তু ফেলেন নি কেন?
.
╭✿╯এগুলোর কারণ হলো, আল্লাহ চান যে, বান্দাহ তার
সর্বোচ্চ চেষ্টাটূকু করুক।  তারপর ফলাফলের জন্য
আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করুক।
.
╭✿╯তাই যারা বলছেন, “এতো সতর্ক হয়ে কি হবে?........
 এই জাতীয় অতি আবেগী কথাবার্তা যারা বলেন,
তারা উপরোক্ত ঘটনাগুলো আরেকবার পড়ুন ।
.
╭✿╯আর মনে রাখবেন, উদাসীনতা বা অসতর্কতা কখনোই
তাওয়াক্কুলের অংশ নয়। মজবুত ঈমানের পরিচয় নয়।
.
╭✿╯নবী (সা) বলেছেন, মহামারী আক্রান্ত এলাকায় বাইরে
 থেকে যেন কেউ না ঢুকে, ভিতরের কেউ যেন বাইরে না যায়’।
.
╭✿╯'উমার রাঃ এতোগুলো সাহাবিদের নিয়ে মহামারী আক্রান্ত
 এলাকায় না ঢুকে চলে এসেছিলেন, তাহলে তারা কি
শহিদ হয়ে যাওয়ার সুযোগটা হারিয়েছেন?
.
╭✿╯তাই মহামারী থেকে বাঁচতে আল্লাহর উপর
তাওয়াক্কুলের  পাশাপাশি সম্মিলিতভাবে চেষ্টা করতে হবে।
কারণ আল্লাহ কোন জাতির অবস্থা পরিবর্তন করেন না,
 যতক্ষণ তারা নিজেদের অবস্থা পরিবর্তন না করে।
.
╭✿╯চেষ্টা করার পরেও  যদি আমাদের মৃত্যু হয়,
তখন আমরা শহিদের মর্যাদা লাভ করবো ইন শা আল্লাহ।
 কিন্তু বিনা চেষ্টায় শহিদ হওয়ার জন্যে বসে থাকলে
 তা আত্মহত্যার শামিল হবে।
.
(লেখাটি আরিফ আজাদ ভাইয়ের লেখার সংক্ষেপিত, সংযোজিত ও পরিমার্জিত রূপ)

1 comment:

  1. thank you sir for share us,It is very important to us.wait for next post,
    thank you sir for share us

    ReplyDelete

Powered by Blogger.