সন্তানের নিরাপত্তায় মহানবী (সাঃ) যে দোয়া পড়তে বলেছেন।
সন্তানের
নিরাপত্তায় মহানবী (সাঃ) যে দোয়া পড়তে বলেছেন।
বিশ্বনবী
রাসূলুল্লাহ হ’জরত মুহাম্মাদ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের প্রত্যেক ব্যক্তিই একজন রাখাল এবং সবাই তাদের
অধীনস্থদের দায়িত্বশীল। একজন ব্যক্তি তার নিজের পরিবারের জন্য রাখাল এবং তাদের ওপর
সে দায়িত্বশীল।’ (বুখারি ও মু’সলিম)।হাদিসের আলোকে সন্তান-সন্ততির দায়িত্বশীল হলেন পিতা।
সে আলোকে বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম সন্তানদের হেফাজতের উপদেশ
দিয়েছেন।
বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রায়ই
তাঁর প্রাণপ্রিয় দৌহিত্র হ’জরত
হাসান এবং হ’জরত হুসাইন
রাদিয়াল্লাহু আনহুর নিরাপত্তার জন্য এভাবে দোয়া করতেন- أُعيـذُكُمـا بِكَلِـماتِ اللهِ التّـامَّة، مِنْ كُلِّ شَيْـطانٍ وَهـامَّة، وَمِنْ كُـلِّ عَـيْنٍ لامَّـة
উচ্চারণ : ‘উয়িজুকুমা বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি, মিন কুল্লি
শায়ত্বানিও ওয়া হাম্মাতি, ওয়া মিন কুল্লি আইনিন লিআম্মাতি।’
অর্থ : ‘আমি তোমা’র জন্য আল্লাহর কালেমা’র সাহায্যে আশ্রয় চাচ্ছি সব ধরনের শয়তান, হিংস্র প্রাণী এবং বদনজরের বিপদ থেকে।’ (বুখারি) বিশেষ করে মাগরিবের সময় সন্তানদের ঘরের বাইরে যেতে নিষেধ করেছেন বিশ্বনবী-
অর্থ : ‘আমি তোমা’র জন্য আল্লাহর কালেমা’র সাহায্যে আশ্রয় চাচ্ছি সব ধরনের শয়তান, হিংস্র প্রাণী এবং বদনজরের বিপদ থেকে।’ (বুখারি) বিশেষ করে মাগরিবের সময় সন্তানদের ঘরের বাইরে যেতে নিষেধ করেছেন বিশ্বনবী-
হ’জরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যখন রাত ঘনিয়ে আসে, তোমাদের শি’শুদের ঘরের ভেতর রাখো। কেননা শয়তান এসময় বেরিয়ে আসে। রাতের
কিছু সময় পার হওয়ার পর তোম’রা
তাদেরকে ছাড়তে পারো।’
(বুখারি ও মু’সলিম)।
সুতরাং সন্তানদের ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্কতা
অবলম্বন করা উচিত, যাতে শয়তান সন্তানদের কোনো প্রকার ক্ষতি করতে না পারে। সব
বাবা-মা ও সন্তানের দায়িত্বশীলদের উচিত, সকাল-সন্ধ্যা, ঘরে-বাইরে সন্তানের
নিরাপত্তায় দোয়া করা এবং সতর্ক থাকা। সন্তানদের দৈনন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ
দোয়াগুলো শেখানো।মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা মু’সলিম উম্মাহর সব বাবা-মা ও অ’ভিভাবকদেরকে তাদের সন্তানের হেফাজত করার এবং তাদের প্রতি
খেয়াল রাখার তাওফিক দান করুন। আল্লাহুম্মা আমিন।
No comments