পবিত্র কুরআনুল কারীমের ৩৩ আয়াতের আমল ফযীলত
ইবনে নাজ্জার রহ. 'যাইলু তরিখি বাগদাদ' গ্রন্থে (৩/২৫৩-২৫৫) বর্ণনা করেছেন যে, ইবনে সিরীন রহ. বলেছেন, আমরা ‘নাহরে তাইরী’তে অবতরণ করলাম। সেখানকার লোকেরা আমাদেরকে বলল, তোমরা চলে যাও কেননা এখানে যারাই অবস্থান করেছে তাদের মাল ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। আমার সকল সাথী চলে গেল।
কিন্তু আমি হযরত ইবনে উমর রা. এর সূত্রে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত হাদীসটির কারণে থেকে গেলাম।
নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি রাতের বেলা তেত্রিশ আয়াত পড়বে তাকে কোনো হিংস্র জন্তু অথবা আগন্তুক চোর ক্ষতি করতে পারবে না। আর সকাল পর্যন্ত তাকে এবং তার পরিবার-পরিজন এবং তার মালকে রক্ষা করা হবে।
রাতের বেলা আমি ঘুমালাম না। আমি দেখতে পেলাম, তারা ত্রিশ বারেরও বেশি তলোয়ার খাপমুক্ত করে এসেছে কিন্তু আমার কাছে পৌঁছতে পারে নি।
সকালবেলা আমি চলতে শুরু করলাম, তখন তাদের এক সর্দার আমার সাথে সাক্ষাৎ করে বলল, তুমি মানুষ না জিন। আমি বললাম মানুষ। সে বলল আমরা সত্তরবারের বেশি তোমার কাছে আসলাম, যখনই এসেছি তোমার এবং আমাদের মাঝে লোহার একটি দেয়াল বাধা হয়ে দাড়িয়ছে। আমি তাকে উপরোক্ত হাদীসটি শুনালাম।
তেত্রিশ আয়াত হচ্ছে-
সূরা বাক্বারা ১-৫
সূরা বাক্বারা ২৫৫-২৫৭
সূরা বাক্বারা ২৮৪-২৮৬
সূরা আ‘রাফ:৫৪-৫৬
সূরা ইসরা:১১০-১১১
সূরা সাফফাত:১-১১
সূরা আর রাহমান:৩৩-৩৫
সূরা হাশর:২১-২৪
সূরা জিন:১-৪
ইবনে সীরীন বলেন, আমি এই হাদীস সম্পর্কে শুআইব ইবনে হারবকে জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি বললেন, আমরা এটাকে ‘আয়াতুল হিরয’ বলি। বলা হয়, এতে একশত অসুখ থেকে মুক্তি রয়েছে। এরপর তিনি এগুলোর মধ্যে পাগলামী, কোষ্ঠরোগ ইত্যদির কথা উল্লেখ করলেন।’’
মুহাম্মদ বিন আলী বলেন, আমাদের এক শায়খের অর্ধাঙ্গ হলে আমি তা পাঠ করলাম। আল্লাহ তাআলা এর উসিলায় তার রোগ দূর করে দিলেন। (যাইলু তরিখি বাগদাদ, ইবনে নাজ্জার,: ৩/২৫৩-২৫৫ আদ দুররুল মানছুর, সুয়ুতী: ১/১৫০-১৫২)
উপরে হযরত ইবনে উমরা. থেকে যে হাদীস বর্ণিত হয়েছে সনদের বিচারে হাদীসটি দুর্বল। তবে ফযীলত বর্ণনার ক্ষেত্রে যেহেতু মুহাদ্দিসীনে কেরামের দিদ্ধান্ত অনুযায়ী কিছু শর্ত সাপেক্ষে দুর্বল হাদীস গ্রহণযোগ্য। তাই উক্ত হাদীসের উপর আমল করতে কোনো অসুবিধা নেই।
তেত্রিশ আয়াত বা আয়াতুল হিরয অথবা আয়াতুল হারব এর ফযীলত সম্পর্কে এতটুই পাওয়া যায়।
এছাড়া অভিজ্ঞতার আলোকেও এর অনেক উপকারিতা প্রত্যক্ষ করা গেছে। যেমন আমালে কোরআনী গ্রন্থে আছে এগুলো যথারীত পাঠ করলে যাদু-টুনা, ভূত, দেও-দানব, চুর-ডাকাত, এবং সকল প্রকার আপদ-বিপদ দূর হয়।
তাছাড়া এই তেত্রিশ আয়াতের মধ্যে আয়াতুল কুরসীও রয়েছে। রাতে শয়তানের আক্রমন থেকে বাঁচার জন্য নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তা পাঠ করার কথা বলেছেন, যা সহীহ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। সুতরাং শয়তান, জিন, যাদু-টুনা ইত্যাদি থেকে রক্ষার জন্য এটি পড়তে কোন অসুবিধা নেই।
এখানে কূফী গণনা অনুযায়ী সর্বমমোট ৩৮ টি অায়াত উল্লেখ করা হয়েছে। তেত্রিশ অায়াত বলতে এগুলোই বুঝায়। ৩৮ অায়াতকে তেত্রিশ অায়াত বলার কারণ অায়াত সংখ্যার মধ্যে মতানৈক্য। হয়তো অন্য কোনো গণনা অনুযায়ী সর্বমোট তেত্রিশ আয়াত হয়, তাই তেত্রিশ আয়াত হিসেবে প্রসিদ্ধি লাভ করেছে। বিষয়টি তাহক্বীকের প্রয়োজন। ইনশাঅাল্লাহ কোনো সুযোগে দেখার চেষ্টা করবো।
যদিও এগুলোর শুরুতে সূরা ফাতেহা এবং শেষে চারকুল (কাফরুন, এখলাস, ফালাক্ব, নাস) পড়া তেত্রিশ অায়াতের অন্তর্ভুক্ত নয় তথাপি শাহ ওয়ালী উল্লাহ র. এগুলো মিলিয়ে পড়তে পছন্দ করতেন যেমনটি 'শিফাউল অালীল' গ্রন্থে রয়েছে। তাই এগুলোো পড়ে নেয়া ভাল। কেননা হাদীস শরীফে এগুলোরও অনেক ফযীলত বর্ণিত হয়েছে।
নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি রাতের বেলা তেত্রিশ আয়াত পড়বে তাকে কোনো হিংস্র জন্তু অথবা আগন্তুক চোর ক্ষতি করতে পারবে না। আর সকাল পর্যন্ত তাকে এবং তার পরিবার-পরিজন এবং তার মালকে রক্ষা করা হবে।
রাতের বেলা আমি ঘুমালাম না। আমি দেখতে পেলাম, তারা ত্রিশ বারেরও বেশি তলোয়ার খাপমুক্ত করে এসেছে কিন্তু আমার কাছে পৌঁছতে পারে নি।
সকালবেলা আমি চলতে শুরু করলাম, তখন তাদের এক সর্দার আমার সাথে সাক্ষাৎ করে বলল, তুমি মানুষ না জিন। আমি বললাম মানুষ। সে বলল আমরা সত্তরবারের বেশি তোমার কাছে আসলাম, যখনই এসেছি তোমার এবং আমাদের মাঝে লোহার একটি দেয়াল বাধা হয়ে দাড়িয়ছে। আমি তাকে উপরোক্ত হাদীসটি শুনালাম।
তেত্রিশ আয়াত হচ্ছে-
সূরা বাক্বারা ১-৫
সূরা বাক্বারা ২৫৫-২৫৭
সূরা বাক্বারা ২৮৪-২৮৬
সূরা আ‘রাফ:৫৪-৫৬
সূরা ইসরা:১১০-১১১
সূরা সাফফাত:১-১১
সূরা আর রাহমান:৩৩-৩৫
সূরা হাশর:২১-২৪
সূরা জিন:১-৪
তেত্রিশ আয়াত নিম্নরূপ
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ (1) الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ (2) الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ (3) مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ (4) إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ (5) اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ (6) صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ (7)
بِسْمِ ٱللّٰهِ ٱلرَّحْمٰنِ ٱلرَّحِيمِ
الم (1) ذَٰلِكَ الْكِتَابُ لَا رَيْبَ ۛ فِيهِ ۛ هُدًى لِّلْمُتَّقِينَ (2) الَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِالْغَيْبِ وَيُقِيمُونَ الصَّلَاةَ وَمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنفِقُونَ (3) وَالَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِمَا أُنزِلَ إِلَيْكَ وَمَا أُنزِلَ مِن قَبْلِكَ وَبِالْآخِرَةِ هُمْ يُوقِنُونَ (4) أُولَٰئِكَ عَلَىٰ هُدًى مِّن رَّبِّهِمْ ۖ وَأُولَٰئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ (5)
وَإِلَهُكُمْ إِلَهٌ وَاحِدٌ لا إِلَهَ إِلا هُوَ الرَّحْمَنُ الرَّحِيمُ০
الْحَيُّ الْقَيُّومُ ۚ لَا تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلَا نَوْمٌ ۚ لَّهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ ۗ مَن ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِندَهُ إِلَّا بِإِذْنِهِ ۚ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ ۖ وَلَا يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلَّا بِمَا شَاءَ ۚ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ ۖ وَلَا يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا ۚ وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ (255) لَا إِكْرَاهَ فِي الدِّينِ ۖ قَد تَّبَيَّنَ الرُّشْدُ مِنَ الْغَيِّ ۚ فَمَن يَكْفُرْ بِالطَّاغُوتِ وَيُؤْمِن بِاللَّهِ فَقَدِ اسْتَمْسَكَ بِالْعُرْوَةِ الْوُثْقَىٰ لَا انفِصَامَ لَهَا ۗ وَاللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ (256)০اللَّهُ وَلِيُّ الَّذِينَ آمَنُوا يُخْرِجُهُم مِّنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّورِ ۖ وَالَّذِينَ كَفَرُوا أَوْلِيَاؤُهُمُ الطَّاغُوتُ يُخْرِجُونَهُم مِّنَ النُّورِ إِلَى الظُّلُمَاتِ ۗ أُولَٰئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ ۖ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ
لِّلَّهِ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ ۗ وَإِن تُبْدُوا مَا فِي أَنفُسِكُمْ أَوْ تُخْفُوهُ يُحَاسِبْكُم بِهِ اللَّهُ ۖ فَيَغْفِرُ لِمَن يَشَاءُ وَيُعَذِّبُ مَن يَشَاءُ ۗ وَاللَّهُ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ (284) آمَنَ الرَّسُولُ بِمَا أُنزِلَ إِلَيْهِ مِن رَّبِّهِ وَالْمُؤْمِنُونَ ۚ كُلٌّ آمَنَ بِاللَّهِ وَمَلَائِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ لَا نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِّن رُّسُلِهِ ۚ وَقَالُوا سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا ۖ غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ (285) لَا يُكَلِّفُ اللَّهُ نَفْسًا إِلَّا وُسْعَهَا ۚ لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا اكْتَسَبَتْ ۗ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِن نَّسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهِ ۖ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا ۚ أَنتَ مَوْلَانَا فَانصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ (286)০
شَهِدَ اللَّهُ أَنَّهُ لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ وَالْمَلَائِكَةُ وَأُولُو الْعِلْمِ قَائِمًا بِالْقِسْطِ ۚ لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ ০
قُلِ اللَّهُمَّ مَالِكَ الْمُلْكِ تُؤْتِي الْمُلْكَ مَن تَشَاءُ وَتَنزِعُ الْمُلْكَ مِمَّن تَشَاءُ وَتُعِزُّ مَن تَشَاءُ وَتُذِلُّ مَن تَشَاءُ ۖ بِيَدِكَ الْخَيْرُ ۖ إِنَّكَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ (26) تُولِجُ اللَّيْلَ فِي النَّهَارِ وَتُولِجُ النَّهَارَ فِي اللَّيْلِ ۖ وَتُخْرِجُ الْحَيَّ مِنَ الْمَيِّتِ وَتُخْرِجُ الْمَيِّتَ مِنَ الْحَيِّ ۖ وَتَرْزُقُ مَن تَشَاءُ بِغَيْرِ حِسَابٍ
إِنَّ رَبَّكُمُ اللَّهُ الَّذِي خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ فِي سِتَّةِ أَيَّامٍ ثُمَّ اسْتَوَىٰ عَلَى الْعَرْشِ يُغْشِي اللَّيْلَ النَّهَارَ يَطْلُبُهُ حَثِيثًا وَالشَّمْسَ وَالْقَمَرَ وَالنُّجُومَ مُسَخَّرَاتٍ بِأَمْرِهِ ۗ أَلَا لَهُ الْخَلْقُ وَالْأَمْرُ ۗ تَبَارَكَ اللَّهُ رَبُّ الْعَالَمِينَ (54) ادْعُوا رَبَّكُمْ تَضَرُّعًا وَخُفْيَةً ۚ إِنَّهُ لَا يُحِبُّ الْمُعْتَدِينَ (55) وَلَا تُفْسِدُوا فِي الْأَرْضِ بَعْدَ إِصْلَاحِهَا وَادْعُوهُ خَوْفًا وَطَمَعًا ۚ إِنَّ رَحْمَتَ اللَّهِ قَرِيبٌ مِّنَ الْمُحْسِنِينَ
قُلِ ادْعُوا اللَّهَ أَوِ ادْعُوا الرَّحْمَٰنَ ۖ أَيًّا مَّا تَدْعُوا فَلَهُ الْأَسْمَاءُ الْحُسْنَىٰ ۚ وَلَا تَجْهَرْ بِصَلَاتِكَ وَلَا تُخَافِتْ بِهَا وَابْتَغِ بَيْنَ ذَٰلِكَ سَبِيلًا (110) وَقُلِ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي لَمْ يَتَّخِذْ وَلَدًا وَلَمْ يَكُن لَّهُ شَرِيكٌ فِي الْمُلْكِ وَلَمْ يَكُن لَّهُ وَلِيٌّ مِّنَ الذُّلِّ ۖ وَكَبِّرْهُ تَكْبِيرًا
أَفَحَسِبْتُمْ أَنَّمَا خَلَقْنَاكُمْ عَبَثًا وَأَنَّكُمْ إِلَيْنَا لَا تُرْجَعُونَ (115) فَتَعَالَى اللَّهُ الْمَلِكُ الْحَقُّ ۖ لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْكَرِيمِ (116) وَمَن يَدْعُ مَعَ اللَّهِ إِلَٰهًا آخَرَ لَا بُرْهَانَ لَهُ بِهِ فَإِنَّمَا حِسَابُهُ عِندَ رَبِّهِ ۚ إِنَّهُ لَا يُفْلِحُ الْكَافِرُونَ (117) وَقُل رَّبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ وَأَنتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ
بسم الله الرحمن الرحيم
وَالصَّافَّاتِ صَفًّا (1) فَالزَّاجِرَاتِ زَجْرًا (2) فَالتَّالِيَاتِ ذِكْرًا (3) إِنَّ إِلَٰهَكُمْ لَوَاحِدٌ (4) رَّبُّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا وَرَبُّ الْمَشَارِقِ (5) إِنَّا زَيَّنَّا السَّمَاءَ الدُّنْيَا بِزِينَةٍ الْكَوَاكِبِ (6) وَحِفْظًا مِّن كُلِّ شَيْطَانٍ مَّارِدٍ (7) لَّا يَسَّمَّعُونَ إِلَى الْمَلَإِ الْأَعْلَىٰ وَيُقْذَفُونَ مِن كُلِّ جَانِبٍ (8) دُحُورًا ۖ وَلَهُمْ عَذَابٌ وَاصِبٌ (9) إِلَّا مَنْ خَطِفَ الْخَطْفَةَ فَأَتْبَعَهُ شِهَابٌ ثَاقِبٌ (10) فَاسْتَفْتِهِمْ أَهُمْ أَشَدُّ خَلْقًا أَم مَّنْ خَلَقْنَا ۚ إِنَّا خَلَقْنَاهُم مِّن طِينٍ لَّازِبٍ
يَا مَعْشَرَ الْجِنِّ وَالْإِنسِ إِنِ اسْتَطَعْتُمْ أَن تَنفُذُوا مِنْ أَقْطَارِ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ فَانفُذُوا ۚ لَا تَنفُذُونَ إِلَّا بِسُلْطَانٍ (33) فَبِأَيِّ آلَاءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ (34) يُرْسَلُ عَلَيْكُمَا شُوَاظٌ مِّن نَّارٍ وَنُحَاسٌ فَلَا تَنتَصِرَانِ (35) فَبِأَيِّ آلَاءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ (36) فَإِذَا انشَقَّتِ السَّمَاءُ فَكَانَتْ وَرْدَةً كَالدِّهَانِ (37) فَبِأَيِّ آلَاءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ (38) فَيَوْمَئِذٍ لَّا يُسْأَلُ عَن ذَنبِهِ إِنسٌ وَلَا جَانٌّ (39) فَبِأَيِّ آلَاءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
لَوْ أَنزَلْنَا هَٰذَا الْقُرْآنَ عَلَىٰ جَبَلٍ لَّرَأَيْتَهُ خَاشِعًا مُّتَصَدِّعًا مِّنْ خَشْيَةِ اللَّهِ ۚ وَتِلْكَ الْأَمْثَالُ نَضْرِبُهَا لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَتَفَكَّرُونَ (21) هُوَ اللَّهُ الَّذِي لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ ۖ عَالِمُ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ ۖ هُوَ الرَّحْمَٰنُ الرَّحِيمُ (22) هُوَ اللَّهُ الَّذِي لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ الْمَلِكُ الْقُدُّوسُ السَّلَامُ الْمُؤْمِنُ الْمُهَيْمِنُ الْعَزِيزُ الْجَبَّارُ الْمُتَكَبِّرُ ۚ سُبْحَانَ اللَّهِ عَمَّا يُشْرِكُونَ (23) هُوَ اللَّهُ الْخَالِقُ الْبَارِئُ الْمُصَوِّرُ ۖ لَهُ الْأَسْمَاءُ الْحُسْنَىٰ ۚ يُسَبِّحُ لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ ۖ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ
بسم الله الرحمن الرحيم
قُلْ أُوحِيَ إِلَيَّ أَنَّهُ اسْتَمَعَ نَفَرٌ مِّنَ الْجِنِّ فَقَالُوا إِنَّا سَمِعْنَا قُرْآنًا عَجَبًا (1) يَهْدِي إِلَى الرُّشْدِ فَآمَنَّا بِهِ ۖ وَلَن نُّشْرِكَ بِرَبِّنَا أَحَدًا (2) وَأَنَّهُ تَعَالَىٰ جَدُّ رَبِّنَا مَا اتَّخَذَ صَاحِبَةً وَلَا وَلَدًا (3) وَأَنَّهُ كَانَ يَقُولُ سَفِيهُنَا عَلَى اللَّهِ شَطَطًا
بسم الله الرحمن الرحيم
قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ (1) لَا أَعْبُدُ مَا تَعْبُدُونَ (2) وَلَا أَنتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ (3) وَلَا أَنَا عَابِدٌ مَّا عَبَدتُّمْ (4) وَلَا أَنتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ (5) لَكُمْ دِينُكُمْ وَلِيَ دِينِ (6)
بسم الله الرحمن الرحيم
قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ (1) اللَّهُ الصَّمَدُ (2) لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ (3) وَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ (4)
بسم الله الرحمن الرحيم
قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ (1) مِن شَرِّ مَا خَلَقَ (2) وَمِن شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ (3) وَمِن شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ (4) وَمِن شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ (5)
بسم الله الرحمن الرحيم
قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ (1) مَلِكِ النَّاسِ (2) إِلَٰهِ النَّاسِ (3) مِن شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ (4) الَّذِي يُوَسْوِسُ فِي صُدُورِ النَّاسِ (5) مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ (6)
بسم الله الرحمن الرحيم
قُل لَّن يُصِيبَنَا إِلَّا مَا كَتَبَ اللَّهُ لَنَا هُوَ مَوْلَانَا ۚ وَعَلَى اللَّهِ فَلْيَتَوَكَّلِ الْمُؤْمِنُونَ
মুহাম্মদ বিন আলী বলেন, আমাদের এক শায়খের অর্ধাঙ্গ হলে আমি তা পাঠ করলাম। আল্লাহ তাআলা এর উসিলায় তার রোগ দূর করে দিলেন। (যাইলু তরিখি বাগদাদ, ইবনে নাজ্জার,: ৩/২৫৩-২৫৫ আদ দুররুল মানছুর, সুয়ুতী: ১/১৫০-১৫২)
উপরে হযরত ইবনে উমরা. থেকে যে হাদীস বর্ণিত হয়েছে সনদের বিচারে হাদীসটি দুর্বল। তবে ফযীলত বর্ণনার ক্ষেত্রে যেহেতু মুহাদ্দিসীনে কেরামের দিদ্ধান্ত অনুযায়ী কিছু শর্ত সাপেক্ষে দুর্বল হাদীস গ্রহণযোগ্য। তাই উক্ত হাদীসের উপর আমল করতে কোনো অসুবিধা নেই।
তেত্রিশ আয়াত বা আয়াতুল হিরয অথবা আয়াতুল হারব এর ফযীলত সম্পর্কে এতটুই পাওয়া যায়।
এছাড়া অভিজ্ঞতার আলোকেও এর অনেক উপকারিতা প্রত্যক্ষ করা গেছে। যেমন আমালে কোরআনী গ্রন্থে আছে এগুলো যথারীত পাঠ করলে যাদু-টুনা, ভূত, দেও-দানব, চুর-ডাকাত, এবং সকল প্রকার আপদ-বিপদ দূর হয়।
তাছাড়া এই তেত্রিশ আয়াতের মধ্যে আয়াতুল কুরসীও রয়েছে। রাতে শয়তানের আক্রমন থেকে বাঁচার জন্য নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তা পাঠ করার কথা বলেছেন, যা সহীহ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। সুতরাং শয়তান, জিন, যাদু-টুনা ইত্যাদি থেকে রক্ষার জন্য এটি পড়তে কোন অসুবিধা নেই।
এখানে কূফী গণনা অনুযায়ী সর্বমমোট ৩৮ টি অায়াত উল্লেখ করা হয়েছে। তেত্রিশ অায়াত বলতে এগুলোই বুঝায়। ৩৮ অায়াতকে তেত্রিশ অায়াত বলার কারণ অায়াত সংখ্যার মধ্যে মতানৈক্য। হয়তো অন্য কোনো গণনা অনুযায়ী সর্বমোট তেত্রিশ আয়াত হয়, তাই তেত্রিশ আয়াত হিসেবে প্রসিদ্ধি লাভ করেছে। বিষয়টি তাহক্বীকের প্রয়োজন। ইনশাঅাল্লাহ কোনো সুযোগে দেখার চেষ্টা করবো।
যদিও এগুলোর শুরুতে সূরা ফাতেহা এবং শেষে চারকুল (কাফরুন, এখলাস, ফালাক্ব, নাস) পড়া তেত্রিশ অায়াতের অন্তর্ভুক্ত নয় তথাপি শাহ ওয়ালী উল্লাহ র. এগুলো মিলিয়ে পড়তে পছন্দ করতেন যেমনটি 'শিফাউল অালীল' গ্রন্থে রয়েছে। তাই এগুলোো পড়ে নেয়া ভাল। কেননা হাদীস শরীফে এগুলোরও অনেক ফযীলত বর্ণিত হয়েছে।
No comments