আল্লাহ পাকের সুন্দর নামসমূহ

হাদীস শরীফে আছে, রাসূলে করীম (সাঃ) এরশাদ করেন-
আল্লাহ পাকের যেআসমায়ে হুসনা সাথে দোয়া করার জন্য আমাদেরকে হুকুম দেয়া হয়েছে তার সংখ্যা নিরানব্বই যে ব্যক্তি এগুলো আয়ত্ত করে নিবে (অর্থাৎ মুখস্থ করবে এবং পড়তে থাকবে), সে বেহেস্তে যাবে
শব্দের পার্থক্যসহ হাদীসের অন্য এক বর্ণনায় আছে, যে কেউ (উত্তম নাম)-গুলো হেফজ করবে (এবং বরাবর পড়তে থাকবে), সে নিশ্চয়ই বেহেশতে প্রবেশ করবে সেই নামসমূহ এই

 . আল্লাহ 


যে ব্যক্তি রোজ এক হাজার বারইয়া আল্লাহ! পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ তার মন থেকে যাবতীয় সন্দেহ দ্বিধা দূরীভূত হয়ে যাবে এবং সে একীন দৃঢ়তা অর্জন করতে পারবে কোন দূরারোগ্য রোগী যদি অত্যাধিক পরিমাণেইয়া আল্লাহনিয়মিত পড়তে থাকে এবং পরে আরোগ্যের জন্য দোয়া করে, তা হলে সে আরোগ্য লাভ করবে
 . আররাহমানু - অসীম দয়ালু
 প্রত্যহ প্রতি নামাযের পরে একশবার এই নাম পাঠ করলে মন থেকে যাবতীয় কাঠিন্য অলসতা দূর হয়ে যাবে
 . আর-রাহীমু - বড় মেহেরবান
কেউ নাম প্রত্যহ নামাযান্তে একশ বার পাঠ করলে দুনিয়ার সমস্ত আপদ-বিপদ থেকে নিরাপদে থাকা যায় এবং সমস্ত মাখলুকাত তার প্রতি দয়ালু হয়ে যায়
আসমায়ে হুসনাপড়ার পদ্ধতি উপরোক্ত তালিকায় যেভাবে নামগুলো লেখা হয়েছে সে ধারাবাহিকতায় তা পড়া হয় না; বরং পড়ার নিয়ম হল  
 . আল-মালিকু - প্রকৃত বাদশা 
যে ব্যক্তি প্রত্যহ ফজর বাদইয়া মালিকুঅধিক পরিমাণে পাঠ করবে, আল্লাহ পাক তাকে ধনী করে দেবেন 
 . আল-কুদ্দুস - মন্দ থেকে মুক্ত 
যে ব্যক্তি প্রত্যহ জাওয়ালের (দুপুরের সূর্য ঢলে যাওয়ার) পরে পবিত্র নাম বেশি করে পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ তার অন্তর সমস্ত রূহানী ব্যাধি থেকে মুক্ত হয়ে যাবে
 . আস-সালামু - ত্রটিহীন
যে ব্যক্তি অধিক পরিমাণে নাম পড়বে, সে সকল প্রকার বিপদ থেকে মুক্ত থাকবে ১১৫ বার নাম পাঠ করে পীড়িত ব্যক্তির গায়ে ফুঁ দিলে আল্লাহ পাক তাকে শেফা দান করবেন
 . আল-মুমিনু - ঈমান নিরাপত্তাদানকারী
যে ব্যক্তি কোন ভয়ের সময়ে ৬৩০ বার নাম পাঠ করবে, আল্লাহ তাকে সমস্ত ভয় ক্ষতি থেকে রক্ষা করবেন যে ব্যক্তি নাম পড়বে কিংবা লিখে সাথে রাখবে, আল্লাহ পাক তাকে জাহেরী-বাতেনী নিরাপত্তা দান করবেন
 . আল-মুহাইমিনু - রক্ষাকারী
যে ব্যক্তি গোসল করে দুরাকাত নামায পড়ে আন্তরিক নিষ্ঠার সাথে ১০০ বার নাম পাঠ করবে, আল্লাহ তার জাহের-বাতেন পবিত্র করে দেবেন আর যে ব্যক্তি ১১৫ বার পাঠ করবে সে লুকানো জিনিসের কথা জানতে পারবে
 . আল-আজীজু - সর্বোপরি বিজয়ী
যে ব্যক্তি ৪০ দিন ৪০ বার নাম পড়বে, আল্লাহ পাক তাকে শক্তিমান অন্যের অমুখাপেক্ষী করে দিবেন আর যে ব্যক্তি ফজরবাদ ৪১ বার পাঠ করবে, তার কারুর উপর নির্ভর করতে হবে না এবং অপমানের পর সম্মান লাভ করবে
 ১০. আল-জাব্বারু - সর্বাধিক পরাক্রমশালী
যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যায় ২২৬ বার নাম পড়বে, সে জালেমদের অত্যাচার পাশবিক নিষ্ঠুরতা থেকে নিরাপদে থাকবে আর যে ব্যক্তি নাম রূপার আংটির উপর নকশা করিয়ে হাতে পরবে, মানুষ তাকে শ্রদ্ধা করে চলবে এবং তার প্রতি প্রভুত সম্মান প্রদর্শন করবে
 ১১. আল-মুতাকাব্বিরু - বড়ত্ব মহিমার অধিকারী
যে ব্যক্তি নাম বেশি পরিমাণে পড়বে, আল্লাহ তাকে লোকচক্ষে বড় সম্মানী করে রাখবেন আর যদি প্রতি কাজের প্রথমে নাম অধিক মাত্রায় পড়তে থাকে, ইনশাআল্লাহ সে কাজে সফলতা লাভ করবে
 ১২. ইয়া খালিকু - সৃষ্টিকর্তা
যে ব্যক্তি একটানা সাত দিন পর্যন্ত একশ বার করে নাম পড়বে, ইনশাআল্লাহ সে সকল বিপদ থেকে মুক্ত থাকবে যে ব্যক্তি সর্বদা নাম পড়বে, আল্লাহ তার জন্য এমন একজন ফেরেশতা পয়দা করে দেন, যে তার পক্ষ থেকে ইবাদত করতে থাকে এবং তার চেহারা উজ্জ্বল থাকে
 ১৩. আল বারি - প্রাণদানকারী
কোন বন্ধ্যা স্ত্রী লোক যদি সাতদিন পর্যন্ত রোযা রাখে এবং পানি দ্বারা ইফতার করে একুশ বার (আল বারিউল মুছাওয়িরু) পড়ে, তা হলে ইনশাআল্লাহ সে সন্তানবতী হবে
 ১৪. আল মুছাওয়িরু - সুরতদাতা (উপরের ন্যায়)
কোন বন্ধ্যা স্ত্রী লোক যদি সাতদিন পর্যন্ত রোযা রাখে এবং পানি দ্বারা ইফতার করে একুশ বার (আল বারিউল মুছাওয়িরু) পড়ে, তা হলে ইনশাআল্লাহ সে সন্তানবতী হবে
 ১৫. আল-গাফ্ফারু - ক্ষমাশীল আবৃতকারী
যে ব্যক্তি জুমার নামাজের পর একশ বার নাম পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ তার ভিতর ক্ষমার চিহ্ন পরিলক্ষিত হতে থাকবে আর যে ব্যক্তি রোজ আছরের পরে (ইয়া গঅফ্ফারু গফির লী) পড়বে, ইনশাআল্লাহ সে ক্ষমাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের দলভুক্ত হবে
 ১৬. আল-কাহ্হারু - সব কিছু নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখার মালিক
যে ব্যক্তি দুনিয়ার মহব্বতে অন্ধ হয়ে যায়, সে যদি বেশি মাত্রায় নাম াঠ করে, তা হলে তার দুনিয়ার মহব্বত কমতে থাকবে এবং আল্লাহর মহব্বত বৃদ্ধি পাবে
 ১৭. আল-ওয়াহ্হাবু - সবকিছুর দাতা
যে ব্যক্ত অনাহার দারিদ্রের মধ্যে দিন কাটায়, সে যদি নাম পাঠ করে কিংবা লিখে সাথে রাখে, অথবা চাশত নামাজের শেষ সেজদায় চল্লিশ বার পড়ে, তা হলে আল্লাহ তার অভাব দূর করে দেবেন তা দেখে মানুষ হতবাক হয়ে যাবে আর সে যদি কোন বিশেষ অভাবে পতিত হয় তা হলে যেন ঘর বা মসজিদের আঙ্গিনায় তিন বা সেজদা করে হাত উঠিয়ে একশ বার না পড়ে, তা হলে উক্ত অভাব থেকে মুক্তি লাভ করবে
 ১৮. আর-রাজ্জাকু - মহান রুজিদাতা
যে ব্যক্তি ফজরের নামাজের পূর্বে ঘরের চার কোণায় ১০/১০ বার করে নাম পড়ে ফুঁ দিবে, ইনশাআল্লাহ তার রিজিকের দুয়ার আল্লাহ পাক খুলে দিবেন; তার গ্রহে রোগ-ব্যাধি, অভাব-অনটন কখনও প্রবেশ করবে না গৃহের ডান কোণ থেকে ফুঁ দেয়া শুরু করবে এবং মুখ কেবলার দিকে রাখবে
 ১৯. আল-ফাত্তাহু - মহান বিপদ দূরকারী
যে ব্যক্তি ফজরের নামাজের পর উভয় হাত বুকের উপর বেঁধে সত্তর বার নাম পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ তার অন্ত ইমানের নূরে দীপ্তিমান হয়ে থাকবে
 ২০. আল-আলীমু - বহু প্রশস্ত জ্ঞানের অধিকারী
যে ব্যক্তি নাম বেশি বেশি পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ, তার নিকট আল্লাহ তাআলা ইলম মারেফাতের দরজা খুলে দিবেন
 ২১. আল-কাবিযু - রুজি সংকীর্ণকারী
যে ব্যক্তি রুটির চার লোকমার উপর নাম লেখে চল্লিশ দিন পর্যন্ত আহার করবে, সে ব্যক্তি ইনশাআল্লাহ ক্ষুধা তৃষ্ণা, জখম যন্ত্রণা ইত্যাদির কষ্ট থেকে মুক্ত থাকবে
 ২২. আল-বাসিতু - রুজি বৃদ্ধিকারী
যে ব্যক্তি চাশতের নামাযের পর আসমানের দিকে হাত তুলে রোজ দশ বার নাম পড়বে এবং মুখমন্ডলে হাত ফিরাবে, আল্লাহ তাকে ধনী করে দেবেন, সে আর অন্যের মুখাপেক্ষী হবে না
 ২৩. আল-খাফিযু - অবনতকারী
যে ব্যক্তি রোজ পাঁচশ বার নাম পড়বে, আল্লাহ পাক তার অভাব অনটন পূরণ করে দেবেন, যাবতীয় মুশকিল দূরে করে দেবেন আর যে ব্যক্তি ৩টি রোযা রাখবে এবং ৪র্থ এক জায়গায় বসে সত্তর বার নাম পড়বে, ইনশাআল্লাহ সে শত্র বিরুদ্ধে জয়লাভ করবে
২৪. আর-রাফি - উচ্চে স্থাপনকারী
যে ব্যক্তি প্রতি মাসের চৌদ্দই রাত্রের অর্ধেক রাত্রে একশবার নাম পড়বে আল্লাহ তাকে মাখলুক থেকে অমুখাপেক্ষী এবং ধনী বানিয়ে দেবেন
 ২৫. আল-মুইজ্জু - সম্মানদাতা
যে ব্যক্তি সোমবার বা শুক্রবার মাগরিবের নামাযের পরে চল্লিশ বার নাম পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ্ আল্লাহ পাক তাকে মানুষের নিকট সম্মানী প্রতাপশালী বানিয়ে দেবেন
 ২৬. আল-মুযিল্লু - অবমাননাকারী
যে ব্যক্তি পঁচাত্তর বার ইয়া মুযিল্লু পাঠ করে সেজদার মত নত করে আল্লাহর নিকট দোয়া করবে, আল্লাহ পাক তাকে হিংসুক, জালেম এবং শত্রদের অনিষ্ট থেকে রক্ষা করবেন যদি কোন খাস শত্রথাকে তা হলে সেজদায় তার নাম নিয়ে এরূপ দোয়া করবে, হে আল্লাহ! তুমি আমাকে অমুকের অনিষ্ট থেকে রক্ষা কর ইনশাআল্লাহ, আল্লাহ দোয়া কবুল করবেন
 ২৭. আস-সামী - সবকিছু শ্রবণকারী
যে ব্যক্তি বৃহস্পতিবার চাশতের নামাযের পর পাঁচশ, অথবা একশ কিংবা পঞ্চাশ বারইয়া সামী নামটি পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ তার দোয়া আল্লাহ পাক কবুল করবেন নাম পাঠ করার মাঝে কারুর সাথে কোন কথা বলবে না আর যে ব্যক্তি বৃহস্পতিবার ফজরের সুন্নত ফরযের মাঝে নাম একশ বার পাঠ করবে, আল্লাহ পাক তার প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দান করবেন
 ২৮. আল-বাছিরু - সবকিছুর দর্শক
যে ব্যক্তি জুমার নামাযের পর একশবার নাম পাঠ করবে, আল্লাহ তায়ালা তার দৃষ্টিতে জ্যোতি এবং অন্তরে নূর পয়দা করে দিবেন
 ২৯. আল-হাকামু - চুড়ান্ত হুকুমদাতা
যে ব্যক্তি শেষ রাত্রে অযু অবস্থায় নিরানব্বই বার নাম পাঠ করবে, আল্লাহ পাক তার অন্তরকে ভেদ নূর দ্বারা ভরে দিবেন আর যে ব্যক্তি জুমার রাতে নাম পড়তে পড়তে প্রায় জ্ঞানহারা হয়ে যাবে, আল্লাহ পাক তার কলবেএলহামদান করবেন
৩০. আল-আদলু - পরিপূর্ণ ইনসাফকারী
 যে ব্যক্তি জুমার দিন বা জুমার রাত্রে রুটির বিশখানি টুকরার উপর নাম লিখে আহার করবে, আল্লাহ পাক সমস্ত মাখলুককে তার অধীন করে দিবেন
  ৩১. আল-লাতীফু - পরম স্নেহশীল
 যে ব্যক্তি একশ তেত্রিশ বারইয়া লাতীফুপাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ তার রিজিকে বরকত হবে এবং তার সমস্ত কাজই উত্তমরূপে সম্পন্ন হবে যে ব্যক্তি দারিদ্র্য অভাব অনটনের কষ্ট, অসহায় অবস্থায় দুঃখ কিংবা অন্য কোন প্রকার বিপদে পতিত হবে, সে উত্তম রূপে অযু করতঃ দুই রাকাত নামাজ পড়বে এবং নিজ মাকসুদের কথা স্মরণ করে একশ বার এই নাম পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ তার মাকসুদ পূর্ণ হবে
  ৩২. আল-খাবিরু - মহাজ্ঞানী সতর্ক
 যে ব্যক্তি সাত দিন পর্যন্ত নাম অধিক পরিমাণে পড়তে থাকবে, ইনশাআল্লাহ তার নিকট গোপন বিষয় উদঘাটিত হতে থাকবে যে ব্যক্তি প্রবৃত্তির কামনা বা খাহেশাতে নফসানীর শিকার হবে, সে যেন নাম অধিক মাত্রায় পাঠ করতে থাকে, ইনশাআল্লাহ্ সে মুক্তি লাভ করবে
  ৩৩. আল-হালিমু - মহা ধৈর্যশীল
  নাম কোন কাগজে লিখে তা পানিতে ভিজাবে এবং সেই পানি দ্বারা যা কিছু ধৌত করবে কিংবা কোন কিছুর উপর ছিটিয়ে দিবে, এতে করে তার উপর খায়র বরকত নাযিল হবে এবং যাবতীয় অনিষ্ট থেকে রক্ষা পাবে
  ৩৪. আল-‘আযিমু - অতীব মহান
 যে ব্যক্তি নাম বেশি পরিমাণে পাঠ করতে থাকবে, ইনশাআল্লাহ সে অধিক পরিমাণে মান-মর্যাদা লাভ করবে
  ৩৫. আল-গাফুরু - মহা ক্ষমাশীল
 যে ব্যক্তি নাম অধিক মাত্রায় পাঠ করবে ইনশাআল্লাহ তার সমস্ত দুঃখ কষ্ট দূরীভূত হবে ধন-সম্পদ সন্তান-সন্ততির মাঝে বরকত অবতীর্ণ হবে হাদীস শরীফে আছে, যে ব্যক্তি সেজদার ভেতর (ইয়া রাব্বি গফির লী) তিন বার পাঠ করবে, আল্লাহ পাক তার পূর্বের পরের সমস্ত গোনাহ মার্জনা করে দেবেন
  ৩৬. আশ-শাকুরু - মহমূল্যায়নকারী
 যে ব্যক্তি আর্থিক অনটন কিংবা অন্য কোন দুঃখ-বেদনা বা কষ্টের মাঝে পতিত হয়, সে নাম প্রত্যহ একচল্লিশ বার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ, তা থেকে মুক্তি লাভ করবে
 ৩৭. আল-আলিয়্যু - সর্বোচ্চ
 যে ব্যক্তি নাম সর্বদা পাঠ করবে এবং লিখে নিজের কাছে রাখবে, ইনশাআল্লাহ সে অত্যন্ত সম্মান, স্বাচ্ছন্দ্য সফল হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করবে
 ৩৮. আল-কাবীরু - অতীব মহান
যে ব্যক্তি চাকুরিচ্যুত হয়, সে সাতটি রোযা রাখবে এবং প্রত্যহ এক হাজার বার (ইয়া কাবীরু) পাঠ করবে ইনশাআল্লাহ সে চাকরিতে পুনর্বহাল হবে এবং সম্মানিত হবে
 ৩৯. আল-হাফিযু - সকলের হেফাজতকারী
 যে ব্যক্তি অনেক পরিমাণে (ইয়া হাফীযু) পাঠ করবে এবং লিখে নিজের কাছে রাখবে, সে ইনশাআল্লাহ, অবশ্যই সকল প্রকার ভয়-ভীতি বিপদের হাত থেকে রক্ষা পাবে
 ৪০. আল-মুকিতু - সকলের রুজি সামর্থদানকারী
 যে ব্যক্তি কোন খালি পাত্রে সাত বার নাম পাঠ করে ফুঁ দিয়ে নিজে তাতে পানি পান করবে, কিংবা অন্যকে পান করাবে অথবা তা শুঁকবে, ইনশাআল্লাহ তার মাকসুদ পূর্ণ হবে
 ৪১. আল হাসীবু - সকলের পর্যাপ্ততাদানকারী
 যে কোন ব্যক্তি বা জিনিষের ভয়ে ভীত হবে সে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু করে আট দিন পর্যন্ত সকাল সন্ধ্যায় সত্তর বার করে (হাসবিয়াল্লাহুল হাসীবু) পাঠ করবে, সে ইনশাআল্লাহ সকল জিনিষের অনিষ্ট থেকে নিরাপদ থাকবে
 ৪২. আল জালীলু - মহিমান্নিত
 যে ব্যক্তি মেশক জাফরান দ্বারা নাম লিখে নিজের কাছে রাখবে এবং অধিক পরিমাণে (ইয়া জালীলু) পাঠ করতে করতে শয়ন করবে, আল্লাহ তাকে আলেম, ছালেহ (নেককার) লোকদের মধ্যে সম্মান দান করবেন
 ৪৩. আল-কারিমু - মহান দাতা
 যে ব্যক্তি রোজ শোয়ার সময়ইয়া কারীমুপাঠ করতে করতে শয়ন করবে, আল্লাহ তাকে আলেম, ছালেহ (নেককার) লোকদের মধ্যে সম্মান দান করবেন
 ৪৪. আল-রাকীবু - মহান অভিভাবক
 যে ব্যক্তি নিজ পরিবার-পরিজন এবং মাল-সম্পদের উপর সাত বার নাম পড়ে ফুঁ দেবে এবং রোজ এরূপ করবে, আর ইয়া রাকীবু অজীফা করে নেবে, সে সমস্ত বিপদ থেকে নিরাপদ থাকবে
 ৪৫. আল-মুজীবু - দোয়া শ্রবণকারী মঞ্জুরকারী
 যে ব্যক্তি অধিক পরিমাণেইয়া মুজীবুপাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ্ তার দোয়া আল্লাহ পাক কবুল করতে থাকবেন
 ৪৭. আল-ওয়াসি - প্রশস্ততার অধিকারী
 যে ব্যক্তি বেশি পরিমাণেইয়া ওয়াসি পাঠ করতে থাকবে, ইনশাআল্লাহ্ তাকে আল্লাহ তাআলা প্রকাশ্য গুপ্ত ঐশ্বর্য দান করবেন
 ৪৭. আল-হাকীমু - মহা হেকমতের মালিক
 যে ব্যক্তি অধিক মাত্রায়ইয়া হাকিমুনাম পাঠ করবে, আল্লাহ পাক তার নিকট ইলম হেকমতের দরজা খুলে দেবেন যে ব্যক্তির কোন কাজ পুরো হতে চায় না, সে যদি নাম নিয়মিতভাবে পড়তে থাকে, তা হলে তার সেই কাজ ইনশাআল্লাহ্ পুরো হয়ে যাবে
 ৪৮. আল-ওয়াদুদু - বড় স্নেহশীল
 যে ব্যক্তি এক হাজার বারইয়া ওয়াদুদুপাঠ করে খাদ্য দ্রব্যের উপর দম করবে এবং স্ত্রীর সংগে বসে আহার করবে, তা হলে ইনশাআল্লাহ্, স্বামী-স্ত্রীর কলহ বন্ধ হয়ে যাবে এবং পারস্পারিক ভালবাসা বৃদ্ধি পাবে
 ৪৯. আল-মাজীদু - মহা গৌরবমন্ডিত
 যে ব্যক্তি কোন কষ্টদায়ক ব্যাধি, যথা গনোরিয়া, কুষ্ঠ ইত্যাদি দ্বারা আক্রান্ত হবে, সে ১৩ই, ১৪ই ১৫ই তারিখ রোযা রাখবে এবং ইফতারের পরে অধিক পরিমাণে নাম পাঠ করে পানিতে দম করে পান করবে, ইনশাআল্লাহ, এতে করে সে আরোগ্য লাভ করবে
 ৫০. আল-বাইছু - মৃতকে জীবনদানকারী
 যে ব্যক্তি রোজ শোয়ার সময়ে সিনার উপর হাত রেখে একশ একবারইয়া বাইছু পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ্ তার অন্তর ইলম হেকমত দ্বারা পরিপূর্ণ হবে
 ৫১. আশ-শাহীদু - উপস্থিত দর্শক
 যার স্ত্রী বা সন্তান-সন্ততি অবাধ্য, সে তাদের কপালের উপর হাত রেখে (অতি ভোরে) একুশ বারইয়া শাহীদুপাঠ করে দম করবে, এতে করে অবাধ্য বাধ্যগত হবে
 ৫২. আল-হাক্ক - হক অবিচল
 যে ব্যক্তি চার কোণ বিশিষ্ট কাগজের প্রতি কোণায়আল-হাক্কুলেখে সেহরীর সময় কাগজখানি হাতের তালুতে রেখে আকাশের দিকে উঁচু করে দোয়া করবে, ইনশাআল্লাহ্ সে হারানো ব্যক্তি বা মাল পেয়ে যাবে এবং ক্ষতি থেকে নিরাপদ থাকবে
 ৫৩. আল-ওয়াকীলু - মহান কার্য সম্পাদনকারী
 যে ব্যক্তি আসমানী বিপদের আশংকায় ভীত হয়ে পড়বে, সে যেন বেশি মাত্রায়ইয়া ওয়াকীলুপাঠ করতে থাকে এবং নামকেই তার উকিল বানিয়ে নেয়, এতে করে সে বিপদ থেকে মুক্ত থাকবে
 ৫৪. আল-কাবিয়্যু - মহাশক্তিমান
 যে ব্যক্তি বাস্তবেই মজলুম, দুর্বল এবং সবদিক থেকে অক্ষম পরাভূত, সে যেন জালেমকে ঠেকাবার জন্য নাম বার বার পাঠ করে এতে করে ইনশাআল্লাহ সে নিরাপদে থাকবে কিন্তু সাবধান! আমল যেন খামাখা করা না হয়
 ৫৫. আল-মাতিনু - কঠিন শক্তিধর
 যে মহিলার দুধ হয় না তাকে নামটি কাগজের উপর লিখে তার ধোয়া পানি পান করালে ইশাআল্লাহ্ তার খুব দুধ হবে
 ৫৬. আল-অলীয়্যু - সহানুভূতিশীল, সাহায্যকারী
 যে ব্যক্তি তার স্ত্রীর অভ্যাস, চাল-চলন কথাবার্তায় খুশি হতে পারছে না, সে যখন তার সামনে যাবে তখন নাম পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ্ তার স্বভাব সুন্দর হয়ে উঠবে
 ৫৭. আল-হামীদু - প্রশংসার যোগ্য
 যে ব্যক্তি একটানা পঁয়তাল্লিশ দিন পর্যন্ত নিয়মিতভাবে একা একা তিরানব্বই বার নাম পাঠ করবে, তার মন্দ স্বভাবগুলো ইনশাআল্লাহ্ দূরীভূত হবে
 ৫৮. আল-মুহ্ছী - স্বীয় জ্ঞান গণনায় রক্ষাকারী
যে ব্যক্তি বিশু টুকরা রুটির উপর প্রত্যহ বিশ বার নাম পাঠ করে দম করবে এবং আহার করবে, সমস্ত মাখলুক তার কথা মানতে শুরু করবে
 ৫৯. আল-মুবদি - প্রথম সৃষ্টিকারী
 যে ব্যক্তি সেহরীর সময় গর্ভবতী নারীর পেটের উপর হাত রেখে নিরানব্বই বারইয়া মুবদি নাম পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ তার গর্ভপাত এবং নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে সন্তান প্রসব হবে না
 ৬০. আল-মুঈদু - দ্বিতীয় বার সৃষ্টিকারী
 কোন হারানো ব্যক্তিকে ফিরে পেতে হলে যখন ঘরের সবাই শুয়ে পড়বে, তখন ঘরের চার কোণায় সত্তর বার করেইয়া মুঈদুনাম পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ সাত দিনের মধ্যে সে ব্যক্তি ফিরে আসবে কিংবা কোথায় কিভাবে আছে তা জানা যাবে
 ৬১. আল-মুহ্য়ী - জীবনদানকারী
 যে ব্যক্তি রোগগ্রস্থ সে অধিক পরিমাণ নাম পড়তে থাকবে কিংবা অন্য কোন রুগ্ন ব্যক্তির গায়ে দম করবে, ইনশাআল্লাহ সে সুস্থ হয়ে উঠবে যে ব্যক্তি নিরানব্বই বারআল মুহ্য়ীপাঠ করে নিজের গায়ে দম করবে, সে যাবতীয় বাধা-বন্ধক বা বন্দী অবস্থা থেকে নিরাপদে থাকবে
 ৬২. আল-মুমীতু - মৃত্যুদানকারী
 যে ব্যক্তির নফস বা প্রবৃত্তি তার নিয়ন্ত্রণে থাকে না, শোয়ার সময় সিনার উপর হাত রেখে পাঠ করতে করতে ঘুমিয়ে পড়বে এতে করে ইনশাআল্লাহ তার প্রবৃত্তি নিয়ন্ত্রিত হবে

 ৬৩. আল-হাইয়্যু - চিরজীবন্ত
 যে ব্যক্তি প্রত্যহ তিন হাজার বার (আল-হাইয়্যু) পাঠ করতে থাকবে, সে ইনশাআল্লাহ কখনও রোগগ্রস্থ হবে না যে ব্যক্তি নাম চীনা বরতনের উপর মেশক গোলাপ পানি দিয়ে লিখে মিঠা পানিতে ধুয়ে পান করবে, কিংবা অন্য কোন রুগ্ন ব্যক্তিকে পান করাবে, ইনশাআল্লাহ পূর্ণ আরোগ্য লাভ করবে
 ৬৪. আল-কাইয়্যুম - সবার রক্ষাকর্তা পরিচালক
 যে ব্যক্তি অধিক পরিমাণে (আল-কাইয়্যুম) পাঠ করতে থাকবে, মানুষের মধ্যে তার ইজ্জত সম্মান বেড়ে যাবে যদি কেউ নির্জনে একা একা নাম পাঠ করে, তা হলে সে সচ্ছল হয়ে উঠবে যে ব্যক্তি ফজর বা সূর্যদয় পর্যন্ত (ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুম) পাঠ করতে থাকবে, ইনশাআল্লাহ্ তার অবসাদ অলসতা দূর হয়ে যাবে
 ৬৫. আল-ওয়াজিদু - সবকিছু পাওয়ার অধিকারী
যে ব্যক্তি আহারের সময়ইয়া ওয়াজিদুনাম পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ্ তার খাদ্য কলবের শক্তি সামর্থ্য নূর বাড়িয়ে দিবে

 ৬৬. আল-মাজিদু - শ্রেষ্ঠত্ব মহত্ত্বের অধিকারী
 যে ব্যক্তি একা একা নাম পাঠ করতে করতে আত্মহত্যা হয়ে পড়বে, ইনশাআল্লাহ তার কলবে আল্লাহর নূর প্রকাশিত হতে থাকবে
 ৬৭. আল-ওয়াহেদুল আহাদু - এক একক
 যে ব্যক্তি রোজ এক হাজার বারআল ওয়াহেদুল আহাদুপাঠ করতে থাকবে, ইনশাআল্লাহ্ তার অন্তর থেকে মাখলুকের ভয় কিংবা ভালোবাসা দূর হয়ে যাবে যে ব্যক্তির সন্তান হয় না সে যদি নাম লেখে নিজের সংগে রাখে, তা হলে তার নেককার সন্তান নসীব হবে
 ৬৮. আসসামাদু - অমুখাপেক্ষী
 যে ব্যক্তি সেহরীর সময়ে সেজদায় গিয়ে একশ পনের বা একশ পঁচিশ বার নাম পাঠ করবে, সে ইনশাআল্লাহ, জাহেরী বাতেনী সত্যতা লাভ করবে যে ব্যক্তি অযু অবস্থায় নাম পড়তে থাকবে, সে কখনও মাখলুকের মুখাপেক্ষা হবে না
 ৬৯. আল-কাদিরু - শক্তিমান
 যে ব্যক্তি দুরাকাত নামায পড়ে একশ বার (আল-কাদিরু) পাঠ করবে, আল্লাহ্ তার শত্রকে লাঞ্ছিত অপদস্থ করে দেবেন যদি কাউকে কোন কঠিন কাজ করতে হয় কিংবা তার কাজে কোন কঠিন বাধা এসে যায়, সে যেন একচল্লিশ বারইয়া কাদিরুপাঠ করে, তা হলে তার কাজ সহজ হয়ে যাবে কিংবা কঠিন বাধা অপসারিত হবে
 ৭০. আল-মুকতাদিরু - পূর্ণ শক্তির অধিকারী
 যে ব্যক্তি শোয়া হতে উঠার পর অধিক মাত্রায় (আল-মুকতাদিরু) পাঠ করতে থাকবে, অথবা কমপক্ষে বিশ বার পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ তার সমস্ত কাজই সহজ এবং সুসম্পন্ন হবে
 ৭১. আল-মুকাদ্দিমু - প্রথমে এবং আগে সম্পাদনকারী
 যে ব্যক্তি যুদ্ধের সময়আল মুকাদ্দিমুবেশি পরিমাণে পাঠ করতে থাকবে, আল্লাহ পাক তাকে অগ্রে থাকার তওফীক দান করবেন এবং শত্রদের থেকে হেফাজতে রাখবেন আর যে ব্যক্তি সদা সর্বদা নাম পাঠ করতে থাকবে, ইনশাআল্লাহ সে আল্লাহ্র অনুগত ফরমাবরদার হয়ে যাবে
 ৭২. আল-মুআখ্খিরু - পশ্চাতে এবং পরে সম্পাদনকারী
 যে ব্যক্তি অধিক পরিমাণে (আল-মুআখ্খিরু) পাঠ করতে থাকবে, ইনশাআল্লাহ্ তার সত্যিকার তওবা নসীব হবে যে ব্যক্তি প্রত্যহ নিয়মিতভাবে একশ বার নাম পড়বে, সে আল্লাহ পাকের নৈকট্য লাভ করবে, যে সে তা ছাড়া স্থির থাকতে পারবে না
 ৭৩. আল-আউয়ালু - সর্বপ্রথম
 যে ব্যক্তির কোন ছেলে হয় না, সে চল্লিশ দিন পর্যন্ত প্রত্যহ চল্লিশ বার (আল-আউয়ালু) পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ তার মকসুদ পূর্ণ হবে যে ব্যক্তি মুসাফির, সে জুমার নি এক হাজার বার নাম পাঠ করলে অতি শীঘ্রই নির্বিঘেœ নিরাপদে বাড়ি ফিরতে সক্ষম হবে
 ৭৪. আল-আখিরু - সর্বশেষ
 যে ব্যক্তি রোজ এক হাজার বার (আল-আখিরু) পাঠ করবে, তার অন্তর থেকে ইনশাআল্লাহ, গায়রুল্লাহ্র মহব্বত দূর হয়ে যাবে এবং সমগ্র জীবনের গোনাহ ত্রটি বিচ্যুতির কাফফারা হবে সর্বশেষে সে উত্তম মৃত্যু (হুসনে খাতেমা) বরণ করবে
 ৭৫. আজ-জাহিরু - প্রকাশ্য
 যে ব্যক্তি এশরাকের নামাযের পর পাঁচশ বার (আজ-জাহিরু) পাঠ করবে, আল্লাহ পাক তার চোখে রোশনী এবং অন্তরে নূর দান করবেন
 ৭৬. আল-বাতিনু - গুপ্ত
 যে ব্যক্তি প্রত্যহ ৩৩ বার (ইয়া-বাতিনু) পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ্ তার নিকট গুপ্ত রহস্য প্রকাশিত হবে এবং তার অন্তরে আল্লাহর মহব্বত ভালবাসা সৃষ্টি হবে যে ব্যক্তি দুরাকাত নামায আদায় করে (হুয়াল আউয়ালু ওয়াল আখিরু ওয়াজজাহিরু ওয়াল বাতিনু ওয়া হুয়ুআলা কুল্লিা শাইইন কাদীর) পাঠ করবে, তার সকল অভাব অনটন যাবতীয় প্রয়োজন পূরণ হয়ে যাবে
 ৭৭. আল-ওয়ালিউ - অভিভাবক
 যে ব্যক্তি অধিক মাত্রায় (আল-ওয়ালিউ) পাঠ করবে, সে ইনশাআল্লাহ্ আকস্মিক বিপদ থেকে নিরাপদে থাকবে চীনা পাত্রে নাম লিখে তাতে পানি ভরে সেই পানি বাড়িতে ছিটিয়ে দিলে যাবতীয় আপদ-বিপদ থেকে মুক্ত থাকবে কাউকে বশ করতে ইচ্ছা করলে নাম এগার বার পাঠ করবে ইনশাআল্লাহ সে অনুগত হয়ে যাবে
 ৭৮. আল-মুতাআলী - সবচেয়ে বুলন্দ উচ্চ
 যে ব্যক্তি অধিক পরিমাণে এই নাম পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ তার যাবতীয় সংকট দূরীভূত হয়ে যাবে যে স্ত্রীলোক হায়েজ অবস্থায় এই নাম বেশী মাত্রায় পড়বে, ইনশাআল্লাহ তার কোন কষ্ট হবে না
 ৭৯. আল-বাররু - চূড়ান্ত সদ্ব্যবহারকারী
 যে ব্যক্তি মদ্যপান, ব্যভিচার ইত্যাদির ন্যয় দুষ্কর্মে লিপ্ত, সে যদি প্রত্যহ সাত বার এই নাম পাঠ করে, তা হলে ইনশাআল্লাহ্ তার দুষ্কর্মের ইচ্ছা প্রবণতা দ্রুত কমে যাবে যে ব্যক্তি দুনিয়ার মহব্বতে অন্ধ হয়ে যায়, সে যদি নাম অধিক মাত্রায় পাঠ করে, তা হলে দুনিয়ার মহব্বত ভালবাসা কমে যাবে যে ব্যক্তি সন্তান পয়দা হওয়ার পরেই সাত বার এই নাম পড়ে দম করে আল্লাহর হাতে সোপর্দ করে দিবে, ইনশাআল্লাহ্ সে সন্তান বালেগ হওয়া পর্যন্ত যাবতীয় বিপদ-আপদ থেকে মুক্ত থাকবে
 ৮০. আত-তাওয়াবু - অধিক তওবা গ্রহণকারী
 যে ব্যক্তি চাশতের নামাযের পর তিনশ ষাট বার নাম পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ্ তার সত্যিকার তওবা নসীব হবে যে ব্যক্তি বেশি পরিমাণে নাম পড়তে থাকবে, ইনশাআল্লাহ তার সমস্ত কাজ সহজ হবে যদি কোন জালেমের উপর নাম দশ বার পড়ে দম করা হয়, তা হলে তার হাত থেকে নিস্তার লাভ করবে
 ৮১. আল-মুনতাকিমু - প্রতিশোধ গ্রহণকারী
 যে ব্যক্তি সত্যের উপর অবস্থানকারী, কিন্তু দুশমনের সাথে পেরে উঠছে না, সে যদি তিন জুমা পর্যন্ত বেশি পরিমাণে (ইয়া-মুনতাকিমু) নাম পাঠ করে, আল্লাহ স্বয়ং তার প্রতিশোধ গ্রহণ করবেন
 ৮২. আল-আফুও - মহামার্জনাকারী
 যে ব্যক্তি বেশি মাত্রায় (আল-আফুও) পাঠ করতে থাকবে, আল্লাহ তার গোনাহসমূহ মার্জনা করে দিবেন
 ৮৩. আল-রাফুউ - মহা স্নেহপরায়ণ
 যে ব্যক্তি অধিক পরিমাণে নাম পাঠ করতে থাকবে, ইনশাআল্লাহ সমস্ত মাখলুক তার প্রতি সদয় হবে এবং সেও মাখলুকের প্রতি স্নেহশীল হয়ে উঠবে যে ব্যক্তি দশ বার দরূদ শরীফ এবং দশ বার নাম পাঠ করবে, তার গোস্সা দূরীভূত হবে আর অন্য কোন ভীষণ রাগী ব্যক্তির উপর নাম পড়ে দম করলে তার রাগ চলে যাবে

 ৮৪. মালিকুল - বাদশার বাদশা
 যে ব্যক্তি সর্বদা (ইয়া মলিকুল মুলক) পাঠ করবে, আল্লাহ তাকে ধনী এবং অন্য লোকদের অমুখাপেক্ষী করে দেবেন; সে কারুর প্রতি নির্ভরশীল থাকবে না
৮৫. যুল জালালি ওয়াল ইকরাম - মহত্ত্ব নেয়ামতের মালিক
 যে ব্যক্তি বেশি পরিমাণে (ইয়া যাল জালালি ওয়াল ইকরাম) পাঠ করবে, আল্লাহ পাক তাকে ইজ্জত সম্মান এবং মাখলুক থেকে অমুখাপেক্ষীতা দান করবেন
 ৮৬. আল-মুকসিতু - আদল-ইনসাফ প্রতিষ্ঠাকারী
 যে ব্যক্তি প্রত্যহ নাম পাঠ করবে, সে ইনশাআল্লাহ! শয়তানের কু প্ররোচনা (ওয়াসওয়াসা) থেকে নিরাপদে থাকবে যদি কোন বৈধ খাস উদ্দেশ্যে সাত বার নাম পাঠ করে, তা হলে সে উদ্দেশ্য সফল হবে
 ৮৭. আল-জামি - সবাইকে একত্রকারী
 যে ব্যক্তি আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব বিক্ষিপ্ত হয়ে যায়, সে চাশতের সময় গোসল করবে এবং আসমানের দিকে মুখ করে দশ বার (ইয়া-জামি) পাঠ করবে এবং একটি আঙ্গুল বন্ধ করতে থাকবে এবং সর্বশেষে উভয় হাত মুখের উপর ফিরাবে এতে করে খুব শীঘ্রই তারা এক হয়ে আসবে
 যদি কোন জিনিস হারিয়ে যায় তা হলে পাঠ করবে
 (আল্লাহুম্মা ইয়া জামিআন নাসি লিইয়াওমিল লা রাইবা ফীহি ইজমা যাল্লাতি)
 (আল্লাহুম্মা ইয়া জামিআন নাসি লিইয়াওমিল লা রাইবা ফীহি ইজমা যাল্লাতি)
 ইনশাআল্লাহ এতে করে হারানো জিনিস পাওয়া যাবে বৈধ ভালবাসার জন্যও দোয়া অতুলনীয়
 ৮৮. আল-গানিয়্যু - বড় অভাবমুক্ত বেপরোয়া
 যে ব্যক্তি প্রত্যহ সত্তর বার (ইয়া গানিয়্যু) পাঠ করবে, আল্লাহ তার ধন-সম্পদে বরকত দান করবেন সে কারুর মুখঅপেক্ষী হয়ে থাকবে না যে ব্যক্তি কোন জাহেরী বাতেনী ব্যাধি কিংবা বালা-মসিবতে পতিত হবে সে ইয়া গানিয়্যু পাঠ করবে তার সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এবং শরীরের উপর দম করলে ইনশাআল্লাহ মুক্তি পাবে
 ৮৯. আল-মুগনী - অভাবমুক্ত ধনী করা মালিক
 যে ব্যক্তি প্রথমে শেষে এগার বার দরূদ শরীফ পাঠ করে এগারশ এগার বার অজীফার মত নাম পাঠ করবে, আল্লাহ পাক তাকে জাহেরী বাতেনী ধন দান করবেন ফজরের নামাযের পর কিংবা এশার নামাযের পরে পাঠ করবে এর সাথে সূরা মুজ্জাম্মিলও তেলাওয়াত করবে
  ৯০. আল-মানি - থামিয়ে দেয়ার অধিকারী
 যদি স্ত্রীর সাথে ঝগড়া কিংবা তিক্ততার সৃষ্টি হয়, তা হলে বিছানায় শোয়ার সময় দশ বার নাম পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ ঝগড়া মনোমালিন্যের অবসান হবে এবং পারস্পারিক মহব্বত বৃদ্ধি পাবে যে ব্যক্তি বেশি বেশি নাম পড়বে, সে ইনশাআল্লাহ যাবতীয় ক্ষতি অনিষ্ট থেকে নিরাপদে থাকবে যদি বিশেষ কোন বৈধ উদ্দেশ্যে নাম পাঠ করে তাও হাসিল হবে
 ৯১. আয-র্যারু - ক্ষতি করার অধিকারী
 যে ব্যক্তি জুমার রাত্রে একশ বার (আয-র্যারু) পাঠ করবে, সে ইনশাআল্লাহ যাবতীয় জাহেরী-বাতেনী বিপদ-আপদ থেকে নিরাপদে থাকবে এবং আল্লাহ পাকের নৈকট্য লাভ করবে
 ৯২. আন্ নাফি - উপকার করার মালিক
 যে ব্যক্তি বা অন্য কোন যানবাহনে উড়ে (ইয়া-নাফি) অধিক পরিমাণে পড়বে, সে ইনশাআল্লাহ সকল বিপদ থেকে মুক্ত থাকবে যে কোন কাজ শুরু করার সময়ে একচল্লিশ বার ইয়া নাফি পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ তার সে কাজ আশানুরূপ সম্পন্ন হবে যে ব্যক্তি স্ত্রীর সাথে মিলনের সময় নাম পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ তার সন্তান নেককার হবে
 ৯৩. আন-নূরু - নূর প্রদানকারী
 যে ব্যক্তি জুমার রাত্রে সাত বার সূরা নূর এবং নাম এক হাজার বার পাঠ করবে, আল্লাহ পাক তার অন্তর নূর দ্বারা পূর্ণ করে দেবেন
 ৯৪. আল-হাদিউ - সরল পথ প্রদর্শনকারী এবং তার উপর চালনাকারী
 যে ব্যক্তি আসমানের দিকে মুখ করে দুহাত তুলে অধিক পরিমাণে (ইয়া-হাদি) পাঠ করবে এবং সবশেষে চেহারার উপর হাত ফিরাবে, ইনশাআল্লাহ সে পরিপূর্ণ হেদায়াত এবং মারেফাত লাভের সৌভাগ্য অর্জন করবে
 ৯৫. আল-বাদী - নমুনা ছাড়া সৃষ্টিকারী
 যে ব্যক্তি কোন দুঃখ যন্ত্রণা বা বালা মসিবতে পতিত হয়, সে এক হাজার বার (ইয়া বাদীআস সামাওয়াতি ওয়াল আরয) পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ মুক্তি পাবে যে ব্যক্তি নাম অযু অবস্থায় পড়তে পড়তে শয়ন করবে, সে যে কাজের কথা চিন্তা করবে তা স্বপ্নে দেখতে পাবে যে ব্যক্তি এশার নামাযের পর (ইয়া বাদীআল আজাইবি বিলখায়রি ইয়া বাদী) বারশ বার দিন পর্যন্ত পাঠ করবে, সে তার উদ্দেশ্য উক্ত আমল শেষ হওয়ার পূর্বেই হাসিল করবে এটা পরীক্ষিত আমল
 ৯৬. আল-বাকী - চির বর্তমান
যে ব্যক্তি জুমার রাতে নাম এক হাজার বার পাঠ করবে, আল্লাহ পাক তকে সকল প্রকার ক্ষয়-ক্ষতি থেকে রক্ষা করবেন ইনশাআল্লাহ তার যাবতীয় নেক আমল মঞ্জুর করা হবে
 ৯৭. আল-ওয়ারিছু - সকলের পরে অস্তিত্ববান
 যে ব্যক্তি সূর্যোদয়ের সময় একশ বার নাম পাঠ করবে, সে ইনশাআল্লাহ সকল প্রকার দুঃখ-কষ্ট বালা-মসিবত থেকে নিরাপদে থাকবে এবং ঈমানের সাথে মৃত্যুবরণ করবে আর যে ব্যক্তি মাগরিব এশার মধ্যবর্তী সময়ে এক হাজার বার নাম পাঠ করবে, সে সর্বপ্রকার পেরেশানী উদ্বেগ থেকে নিরাপদে থাকবে
 ৯৮. আর-রাশীদু - সত্যতা পছন্দকারী
 যে ব্যক্তি কোন কাজ বা মকসুদ হাসিলের তদবির সম্পর্কে কি করণীয় তা বুঝতে অক্ষম হয়ে পড়ে, সে মাগরিব এশার মধ্যবর্তী সময়ে এক হাজার বার (ইয়া রাশীদু) পাঠ করবে এতে করে ইনশাআল্লাহ্ তা বুঝতে সক্ষম হবে, কিংবা স্বপ্নে তার তদবির দেখতে পাবে অথবা তার অন্তরে সে সম্পর্কে এলকা হবে যদি কেউ প্রত্যহ নাম অজীফার মত পাঠ করে, তাহলে, তার সকল বিপদ দূরীভূত হবে এবং তার সমস্ত কারবারে উন্নতি হবে
 ৯৯. আছ-ছাবূরু - মহা ধৈর্যশীল
 যে ব্যক্তি সূর্যদয়ের পূর্বে একশ বার নাম পাঠ করেন, সে দিন যাবতীয় বিপদ থেকে নিরাপদ থাকবে এবং দুশমন হিংসুকের মুখ বন্ধ থাকবে কেউ যে কোন ধরনের মসিবতে পতিত হোক না কেন, সে যদি এক হাজার বিশ বার নাম পাঠ করে, সে তা থেকে মুক্তি পাবে এবং আত্মার শান্তি লাভ করবে করার সময়ে একচল্লিশ বার ইয়া নাফি পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ তার সে কাজ আশানুরূপ সম্পন্ন হবে যে ব্যক্তি স্ত্রীর সাথে মিলনের সময় নাম পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ তার সন্তান নেককার হবে

No comments

Featured Post

চাকরি লাভের আমল, রিজিকে বরকত লাভের দোয়া

রিজিকে বরকত লাভে যেভাবে দোয়া করেছেন ঈসা ( আ .)

Powered by Blogger.