রাসুল (সা.) রাতে ঘুমানোর আগে ছোট্ট এই দোয়াটি পাঠ করতে বলেছেন

রাসুল (সা.) রাতে ঘুমানোর আগে ছোট্ট এই দোয়াটি পাঠ করতে বলেছেন

ঘুম যেন এক রহস্য দ্বীপ আবছা আলো-আঁধারে ঢাকাঘুম ঘোরে কে আসে মনোহর?’ আবার, ‘কখনো জাগরণে যায় বিভাবরী শরীর যার, যে জগতে এর বাস, তার যেন তেমন ভূমিকাই নেই, বিস্মৃত সে জগ সম্বন্ধে আমরা সবাই এমন অবস্থায় জীবনের এক-তৃতীয়াংশ সময় কাটাই ঘুম অবশ্য জীবনের অপরিহার্য অংশ
সাত-আট ঘণ্টা ঘুমাতে হয় আমাদের প্রতিদিন আমরা যখন ঘুমাই, তখন শরীরে অদ্ভুত সব ঘটনার ঘনঘটা ঘটেআমরা কখনো অনেক দূরে চলে যাই স্বপ্নের ভুবনে কী আশ্চর্য সফলতার সঙ্গে শরীর তখন নিজের দেখভাল নিজেই করে! ঘুম হয় নানা স্তরে আমরা নেমে আসি অনেক সময় গভীর ঘুমের স্তরে, হঠা আমরা যখন জেগে উঠি, যেন ঘুমের অতল থেকে ওপরে উঠে আসা, আবার আমরা অনেক সময় থাকি নিদ্রাও জাগরণের সীমান্তে
আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের ঘুম বা নিদ্রাকে করেছি ক্লান্তি দূরকারী। (সুরা আন-নাবা; আয়াত -) ঘুম মানুষের মস্তিষ্কজনিত সকল প্রকার চিন্তা-ভাবনাকে দূর করে মস্তিষ্ক অন্তরের সকল প্রকার স্বস্তি শান্তি দান করে। দুনিয়ার জিন্দেগীতে যার বিকল্প কোনো শান্তি হতে পারে না। এই ঘুম বা নিদ্রা আল্লাহর পক্ষ হতে মানব জাতীর জন্য সবচেয়ে বড় নিয়ামত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন রাতে শয্যা গ্রহণ করতেন, তখন নিচের এই দোয়াটি পাঠ করতেন এবং তিনি উম্মতদেরও এই দোয়াটি পাঠ করতে বলেছেন
দোয়াটি হলো: উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা বিসমিকা মু-তু ওয়া হইয়া অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তোমারই নামে আমি মৃত্যুবরণ করছি এবং তোমারই অনুগ্রহে জীবিত হব। (সহীহ বুখারী) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেছেন, যে ব্যক্তি রাতে ঘুমানোর সময় সূরা বাক্বারার শেষ দুটি আয়াত তেলাওয়াত করবে, তার জন্য তা যথেষ্ট হবে।’ (সহীহ বুখারী মুসলিম) এছাড়াও রাতে ঘুমাবার সময় কোনো বান্দা আয়াতুল কুসরি পাঠ করে তবে আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন পাহারাদার নিযুক্ত করা হয় এবং শয়তান তার নিকট আসতে পারে না এবং (তার কোন মালের অনিষ্ট করতে পারে না) (সহীহ বুখারী) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রাতে ঘুমানোর সময় সুরায়ে ইখলাছ, সূরা ফালাক্ব, সূরা নাস পড়তেন

No comments

Powered by Blogger.