আয়াতুল কুরসীর ফজীলত:

আয়াতুল কুরসী

আয়াতুল কুরসীর ফজীলত:

১)সহীহ্ বোখারী শরীফে লিখিত হয়েছে যে,যে ব্যাক্তি প্রভাতে ও শয়নকালে আয়াতুল কুরসী পড়ে আল্লাহ তাহার সয়ং রক্ষক।সুতরাং দিবা রাত্রি শয়তান তাহার কাছে আসিতে পারবে না।শয়তান নিজে অঙ্গিকার করেছে যে, যে ব্যাক্তি আয়তাল কুরসী পড়বে আমি তাহার নিকট যাইবো না।
২)পত্যেক ফরয নামাজের পর ১ বার করে পাঠ করলে রিজিক বৃদ্ধি পাবে।হযরত রাসূল (সা:) মৃত্যুর সময় হযরত আজরাইল (আ:) বলেছেন যে, আপনার উম্মতগনের মদ্ধে যে ব্যাক্তি প্রত্যেক ফরয নামাজের পর ১ বার করে পাঠ করবে আমি তাহার রুহু অতি সহয়ে কবজ করবো।
৩) কোন কাজে রওনা হওয়ার পূর্বে এই আয়াত পড়ে প্রথমে বাম পা আগে ফেলিয়া রওনা হবে তবে সে কাজে অবশ্যই শুফল পাবে।( ইহা ইমিম কুফী (রহ:) এর বর্না ও বহু পরিক্ষীত)
৪)রাতে একাকী চলবার সময় জ্বীন,পরী ,শয়তান এ সব আক্রমন করতে পারবে না বা আক্রমন করলে পালিয়ে যাবে এ আয়াত পড়িলে। (বহু পরিক্ষীত)
৫)বস্তুত আয়তাল কুরসীর এত ফজীলত যা বলে শেষ করা যাবে না।কুরআনের সর্বশ্রেষ্ট আয়াত সমুহের মদ্ধে এটি অন্যমত।এর ফজীলত অবশ্যই মানুষ পাএ যদি সে বিনম্র মনে আল্লাহর উপর সম্পুর্ন বিশ্বাস রেখে পড়ে।
বি:দ্র: নামাজ হলো সবচেয়ে বড় ইবাদত।যে বা যারা নামাজ না পড়ে এই আয়াত বা অন্য আয়াত বা আল্লাহর বানী তাবিজ হিসাবে ব্যবহার করে তারা কখনোই সুফল পাবে না।তাই নামাজ অবশ্যই বাঞ্চনিয়।






উচ্চারণ
আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল ক্বইয়্যুমু লা তা খুজুহু সিনাত্যু ওয়ালা নাউম। লাহু মা ফিছছামা ওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ্। মান যাল্লাযী ইয়াস ফায়ু ইন দাহু ইল্লা বি ইজনিহি ইয়া লামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়ামা খল ফাহুম ওয়ালা ইউ হিতুনা বিশাই ইম্ মিন ইল্ মিহি ইল্লা বিমা সাআ ওয়াসিয়া কুরসিইউ হুস ছামা ওয়াতি ওয়াল আরদ্ ওয়ালা ইয়া উদুহু হিফজুহুমা ওয়াহুয়াল আলিয়্যূল আজীম।

বাংলা অনুবাদ
আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই, তিনিই চিরঞ্জীব; যাবতীয় সবকিছুর ধারক । তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না এবং নিদ্রাও নয় । আসমান ও যমীনে যা কিছু রয়েছে, সবই তাঁর । কে আছ এমন, যে সুপারিশ করবে তাঁর কাছে তাঁর অনুমতি ছাড়া ? দৃষ্টির সামনে কিংবা পিছনে যা কিছু রয়েছে সে সবই তিনি জানেন । তাঁর জ্ঞানসীমা থেকে তারা কোন কিছুকেই পরিবেষ্টিত করতে পারে না, কিন্তু যতটুকু তিনি ইচ্ছা করেন । তাঁর সিংহাসন সমস্ত আসমান ও যমীনকে পরিবেষ্টিত করে আছে । আর সেগুলোকে ধারণ করা তাঁর পক্ষে কঠিন নয় । তিনিই সর্বোচ্চ এবং সর্বাপেক্ষা মহান ।
শয়তানের প্রভাব থেকে বাঁচার আয়াত
হযরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত :রাসুল (সা.) বলেছেন:সুরা বাকারায় একটি শ্রেষ্ঠ আয়াত রয়েছে, যে ঘরে আয়াতুল কুরসী পাঠ করা হবে সেখান থেকে শয়তান পালাতে থাকে। (মুসতাদরাকে হাকিম:২১০৩)

মর্যাদাসম্পন্ন মহান আয়াত

আবু জর জুনদুব ইবনে জানাদাহ (রা.) নবী (সা.) জিজ্ঞেস করেছিলেন, হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! আপনার প্রতি সবচেয়ে মর্যাদাসম্পন্ন কোন আয়াতটি নাজিল হয়েছে? রাসূল (সা.) বলেছিলেন, আয়াতুল কুরসী। (নাসায়ি) উবাই বিন কাব থেকে বর্ণিত:নবী (সা.) উবাই বিন কাবকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন: তোমার কাছে কুরআন মজীদের কোন আয়াতটি সর্ব মহান? তিনি বলেছিলেন: (আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুআল্‌ হাইয়্যূল কাইয়্যূম) তারপর রাসূলুল্লাহ্ নিজ হাত দ্বারা তার বক্ষে আঘাত করে বলেন: আবুল মুনযির! এই ইলমের কারণে তোমাকে ধন্যবাদ।সহীহ মুসলিম ১৭৫৫)

1 comment:

Featured Post

চাকরি লাভের আমল, রিজিকে বরকত লাভের দোয়া

রিজিকে বরকত লাভে যেভাবে দোয়া করেছেন ঈসা ( আ .)

Powered by Blogger.